জোট সরকারে আগ্রহী এরদোগান
জোট সরকার গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। প্রায় চারদিন ধরে নিরব থাকার পর এমন প্রস্তাব পুনঃনির্বাচনের সম্ভাবনাকে দূরে ঠেলতে পারে। খবর এএফপির। যার যার ‘জেদ’ ভুলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠনের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জনগণ তাদের মত দিয়েছে। জনগণের চাওয়া পূরণ করাই রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। অতএব, এক মুহূর্তের জন্যও তুরস্ক সরকারবিহীন দেখতে চাই না।
এরদোগান তার দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর বৃহস্পতিবার প্রথম ভাষণ দেন। এদিকে নির্বাচনে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর তার দল একটি কোয়ালিশন গঠনের লক্ষ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। রোববারের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি অপ্রত্যাশিতভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে কম আসন পাওয়ার পর বলেছে, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে তারা আগাম নির্বাচনসহ সব বিকল্প বিবেচনা করবে। প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগ্লু বলেন, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে সম্ভাব্য নতুন নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘কেবল একেপি কোয়ালিশন আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে। তবে, অন্যরা এর পথ রোধ করলে আমরা সব বিকল্প বিবেচনা করব।’ দাভুতোগ্লু বলেন, কুর্দিপন্থী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ (এইচডিপি) পার্লামেন্টে আসন পেয়েছে এমন তিনটি বিরোধী দলের সঙ্গেই তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আন্তরিকতার সঙ্গেই সব বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলব।
আমাদের কোনো রেড লাইন নাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, কোয়ালিশন সর্বোত্তম বিকল্প নয়। কিন্তু জনগণ যদি তা চায় তাহলে আমাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় এটিকে সর্বোত্তম করে তোলার।’ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী গত ১৩ বছর ধরে শাসন ক্ষমতায় থাকা একেপি ৫৫১ আসনের পার্লামেন্টে ২৫৮ আসন পাবে। রিপাবলিকান পিপল’স পার্টি (সিএইচপি) পাবে ১৩২ আসন, ন্যাশনালিটি মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) ও এইচডিপি প্রত্যেকে ৮০ আসন পাবে। দাভুতোগ্লু বলেন, নির্বাচনে কি ভুল হয়েছে এবং ভোটাররা কি ধরনের কোয়ালিশন চায় তা জানতে তা খুঁজে বের করতে একেপি একটি জরিপ পরিচালনা করবে। তবে তিনি বলেন, তার দল নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে তাও একটি ‘সাফল্য’। এএফপি।
No comments