জোড়া খুন- যানজটে বিরক্ত হয়ে গুলি চালান এমপিপুত্র রনি
পহেলা
বৈশাখের আগের রাত ছিল। তাই মধ্যরাতেও রাস্তায় কিছুটা যানজট ছিল। সামান্য
এই যানজটেই বিরক্ত হয়ে কোমর থেকে লাইসেন্সকৃত পিস্তল বের করেন তিনি। ছিলেন
মদ্যপ। তাই নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। রাস্তায় এলোপাতাড়ি গুলি
ছুঁড়েন। মুহূর্তেই রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে চলে যান তিনি। নিজে
জানতেনও না তার ছোড়া গুলিতেই নিভে গেছে দুজনের প্রাণ। চার দিনের রিমান্ডের
তৃতীয় দিনে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে এসব স্বীকার করেছেন এমপিপুত্র
বখতিয়ার আলম রনি। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী
আসনের এমপি পিনু খানের ছেলে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনার সময়
রনির সঙ্গে গাড়িতে আরও তিন বন্ধু ছিল। ওই তিন বন্ধুকেও শনাক্ত করা হয়েছে।
তাদের আটকের জন্য পুলিশ খুঁজছে। পুলিশ বলছে, ওই তিন বন্ধুকে আটক করে
জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে পুরো ঘটনাটি আরও পরিষ্কার হবে।
গত ১৩ই এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে তাতে দৈনিক জনকণ্ঠের অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ১৫ই এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, রনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই চলছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ২৪শে মে এই জোড়া খুনের মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। অবশ্য এর আগে থেকে ডিবির একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত করছিল। একপর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তা ও অন্যান্য সোর্সের মাধ্যমে রনির ব্যবহৃত গাড়িটি শনাক্ত করা হয়। গত ৩১শে মে প্রথমে সেই গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই ইমরান ফকির পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা দেয়। পরে রনিকে একই দিন ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনকে একসঙ্গে আদালতে পাঠানো হলে ইমরান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে রনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করলে রিমান্ড আবেদন করে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে। কিন্তু রিমান্ড হওয়ার পরপরই এমপিপুত্র রনি অসুস্থতার ভান করে। পরে তাকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বখতিয়ার আলম রনি তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে গুলির কথা স্বীকার করেছে। তবে সে সময় সে মদ্যপান অবস্থায় ছিল বলে তার দাবি। এ ছাড়া গাড়িতে তার সঙ্গে রনির আরও তিন বন্ধু ছিল। পুলিশ ওই তিন বন্ধুকে আটকের চেষ্টা করছে। সূত্র জানায়, ঘটনাটি পরিকল্পিত না হলেও কেন সে গুলি করলো এবং এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রনির তিন বন্ধুকে আটক করতে পারলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। তারা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী না হলে তাদের সাক্ষী বানানো হতে পারে বলেও ওই সূত্র জানিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার জানান, রনি গুলির কথা স্বীকার করেছে। তবে সেটি পরিকল্পিত না অন্য কিছু তা জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ১৩ই এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে তাতে দৈনিক জনকণ্ঠের অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ১৫ই এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, রনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই চলছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ২৪শে মে এই জোড়া খুনের মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। অবশ্য এর আগে থেকে ডিবির একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত করছিল। একপর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তা ও অন্যান্য সোর্সের মাধ্যমে রনির ব্যবহৃত গাড়িটি শনাক্ত করা হয়। গত ৩১শে মে প্রথমে সেই গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই ইমরান ফকির পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা দেয়। পরে রনিকে একই দিন ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনকে একসঙ্গে আদালতে পাঠানো হলে ইমরান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে রনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করলে রিমান্ড আবেদন করে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে। কিন্তু রিমান্ড হওয়ার পরপরই এমপিপুত্র রনি অসুস্থতার ভান করে। পরে তাকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বখতিয়ার আলম রনি তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে গুলির কথা স্বীকার করেছে। তবে সে সময় সে মদ্যপান অবস্থায় ছিল বলে তার দাবি। এ ছাড়া গাড়িতে তার সঙ্গে রনির আরও তিন বন্ধু ছিল। পুলিশ ওই তিন বন্ধুকে আটকের চেষ্টা করছে। সূত্র জানায়, ঘটনাটি পরিকল্পিত না হলেও কেন সে গুলি করলো এবং এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রনির তিন বন্ধুকে আটক করতে পারলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। তারা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী না হলে তাদের সাক্ষী বানানো হতে পারে বলেও ওই সূত্র জানিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার জানান, রনি গুলির কথা স্বীকার করেছে। তবে সেটি পরিকল্পিত না অন্য কিছু তা জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
No comments