পাহাড়ে নগ্ন হয়ে ছবি তোলায় চার পর্যটকের সাজা
বিদেশি পর্যটকের কিনাবালু পর্বতের চূড়ায় তোলা সেই ছবি |
আজ আদালতে নিয়ে যাওয়ার ছবি। ছবি: এএফপি। |
মালয়েশিয়ায়
পাহাড়ে নগ্ন হয়ে ছবি তোলার দায়ে চার বিদেশি পর্যটককে কারাদণ্ড ও জরিমানা
করেছেন সে দেশের আদালত। সম্প্রতি দেশটিতে পাঁচ দশমিক নয় মাত্রার এক
ভূমিকম্পের জন্য পর্যটক দলটির এ কাণ্ডকে দায়ী করা হচ্ছিল। কোটা কিনাবালু
নামের ওই পর্বতকে মালয়েশিয়ায় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সাজা পাওয়া পর্যটকেরা হলেন, ব্রিটিশ নাগরিক ইলেনর হকিন্স, কানাডার লিন্ডসে ও ড্যানিয়েলা পিটারসন ও ডাচ নাগরিক ডিলান স্নেল। তাঁরা ওই ঘটনার মাধ্যমে মানুষকে বিরক্ত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তাঁদের তিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা এ কয়দিন আটক ছিলেন বলে তাঁদের শাস্তি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেন, ৯ জুন থেকে তাঁদের শাস্তি কার্যকর হবে। এর ফলে তাঁরা এখন মুক্ত। তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার মালেশিয়ান রিঙ্গিত করে জরিমানা করা হয়েছে। চার পর্যটকের প্রত্যেকেই ‘জনসম্মুখে অশ্লীল কাজ’ করার দোষ স্বীকার করেছেন। আদালতে সরকারের কৌঁসুলি গণমাধ্যমকে জানান, ওই চার পর্যটক সূর্যোদয় উপভোগ করতে গত ৩০ মে ওই পর্বতের চূড়ায় ওঠেন। এর পর তাঁরা একে অপরকে নিজ নিজ কাপড় খুলে ফেলার চ্যালেঞ্জ জানান।
তাঁদের আরও বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তাঁরা সঙ্গে থাকা গাইডের নিষেধ শোনেননি। বরং তাঁকে ‘চুপ থাক! ’ এবং ‘নরকে যা! ’ বলে ধমক দিয়েছিলেন। তবে আদালত এ অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী চ্যাম আদালতকে বলেন, গাইড কাপড় খুলতে নিষেধ করলে তাঁরা সাধারণভাবেই তা শোনেননি। গাইডকে কোনো ধরনের অপমান করেননি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী চ্যাম আদালতকে বলেন, ওই পর্যটকেরা স্থানীয় রীতিনীতিকে অসম্মান করেছেন। এ আচরণের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের ও তাঁদের দেশকে লজ্জিত করেছেন। তবে তিনি আদালতকে বলেন, এ ঘটনার কথা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের ফলে তাঁদের ইতিমধ্যে বেশ সাজা হয়েছে। আদালত যেন সেটি বিবেচনায় রাখেন।
তবে সরকারি কৌঁসুলি এর বিরোধিতা করে বলেন, মালেশিয়ান আইন অনুযায়ী এ ধরনের অশ্লীল আচরণের জন্য কমপক্ষে তিন মাসের সাজা হওয়া উচিত। তিনি বলেন তাঁদের এ আচরণের ফলে অনেক মালেশিয়ান নাগরিকের মাঝে ক্ষোভের তৈরি হয়েছে। তিনি এ ঘটনাটি দেশটির ‘রীতি ও নৈতিকতার’ জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
সাজা পাওয়া পর্যটকেরা হলেন, ব্রিটিশ নাগরিক ইলেনর হকিন্স, কানাডার লিন্ডসে ও ড্যানিয়েলা পিটারসন ও ডাচ নাগরিক ডিলান স্নেল। তাঁরা ওই ঘটনার মাধ্যমে মানুষকে বিরক্ত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তাঁদের তিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা এ কয়দিন আটক ছিলেন বলে তাঁদের শাস্তি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেন, ৯ জুন থেকে তাঁদের শাস্তি কার্যকর হবে। এর ফলে তাঁরা এখন মুক্ত। তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার মালেশিয়ান রিঙ্গিত করে জরিমানা করা হয়েছে। চার পর্যটকের প্রত্যেকেই ‘জনসম্মুখে অশ্লীল কাজ’ করার দোষ স্বীকার করেছেন। আদালতে সরকারের কৌঁসুলি গণমাধ্যমকে জানান, ওই চার পর্যটক সূর্যোদয় উপভোগ করতে গত ৩০ মে ওই পর্বতের চূড়ায় ওঠেন। এর পর তাঁরা একে অপরকে নিজ নিজ কাপড় খুলে ফেলার চ্যালেঞ্জ জানান।
তাঁদের আরও বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তাঁরা সঙ্গে থাকা গাইডের নিষেধ শোনেননি। বরং তাঁকে ‘চুপ থাক! ’ এবং ‘নরকে যা! ’ বলে ধমক দিয়েছিলেন। তবে আদালত এ অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী চ্যাম আদালতকে বলেন, গাইড কাপড় খুলতে নিষেধ করলে তাঁরা সাধারণভাবেই তা শোনেননি। গাইডকে কোনো ধরনের অপমান করেননি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী চ্যাম আদালতকে বলেন, ওই পর্যটকেরা স্থানীয় রীতিনীতিকে অসম্মান করেছেন। এ আচরণের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের ও তাঁদের দেশকে লজ্জিত করেছেন। তবে তিনি আদালতকে বলেন, এ ঘটনার কথা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের ফলে তাঁদের ইতিমধ্যে বেশ সাজা হয়েছে। আদালত যেন সেটি বিবেচনায় রাখেন।
তবে সরকারি কৌঁসুলি এর বিরোধিতা করে বলেন, মালেশিয়ান আইন অনুযায়ী এ ধরনের অশ্লীল আচরণের জন্য কমপক্ষে তিন মাসের সাজা হওয়া উচিত। তিনি বলেন তাঁদের এ আচরণের ফলে অনেক মালেশিয়ান নাগরিকের মাঝে ক্ষোভের তৈরি হয়েছে। তিনি এ ঘটনাটি দেশটির ‘রীতি ও নৈতিকতার’ জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
No comments