সোনালী ব্যাংকের ঋণের ৫২৩ কোটি টাকা হাওয়া
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের ৫২৩
কোটি টাকার ঋণের কোনো হদিস মিলছে না। কারা কোথায় এবং কিভাবে এসব টাকা
নিয়েছে পাওয়া যাচ্ছে না তার কোনো সন্ধান। প্রধান কার্যালয়ের নিচে অবস্থিত
স্থানীয় কার্যালয়ের সব রেকর্ড, ফাইলপত্র তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, হয় ঋণের টাকার হদিস করতে হবে, অন্যথায় এর বিপরীতে
শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে। একই সঙ্গে এসব টাকা গায়েব করার সঙ্গে যারা জড়িত
তাদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবল চাপে
সোনালী ব্যাংক এখন ঋণের কাগজপত্র উদ্ধারে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।
শীর্ষপর্যায় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যে করেই হোক ওইসব ফাইলপত্র খুঁজে বের
করতে হবে। এরপর দীর্ঘ চেষ্টায় তারা কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছে। এগুলো
বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থাপন করে সোনালী ব্যাংক দাবি করেছে, ঋণের ওইসব টাকা
গায়েব বা হাওয়া হয়নি। হিসাবের ভুল বা ফাইলপত্র হারিয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি
হয়েছে। এগুলো সবই পাওয়া যাবে। তবে একটু সময় লাগবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের
কাছে আরও সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের উদ্ধার করা কাগজপত্রগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। এতে সঠিকতা পাওয়া গেলে পরে এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংককে কিছু ছাড় দেয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান যুগান্তরকে বলেন, সোনালী ব্যাংক বলছে ঋণের টাকা যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের কিছু কাগজপত্র তারা সংগ্রহ করেছে। এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাও দিয়েছে। এখন ওইগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কাগজপত্রগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ এক নির্বাহী যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাটি অনেক আগের। গত বছর এটি আলোচনায় এসেছে। আমরা অনুসন্ধান করছি। আশা করি শিগগিরই সব কাগপত্র পেয়ে যাব। তিনি আরও বলেন, হিসাবের ভুল ও কাগজপত্র হারিয়ে যাওয়ার কারণে এমনিটি হয়েছে। এর বাইরে এটি কোনো জাল-জালিয়াতির ঘটনা নয়। তারপরেও এই ভুল বা দায়িত্বহীনতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকের কাছে অনেক ক্ষেত্রে টাকার চেয়েও কাগজপত্র বেশি জরুরি। এজন্য টাকা যেমন সুরক্ষিত ভল্টে রাখা হয়, তেমনি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রাখার জন্য এক ধরনের সুরক্ষিত স্থান ব্যবহার করা হয়। ইদানীং ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বাইরে অন্য কোনো গোপন স্থানেও সংরক্ষণ করা হয়। যাতে এক জায়গা থেকে কাগজপত্র হারানো গেলেও অন্য জায়গা থেকে পাওয়া যায়। এ ধরনের সুরক্ষিত স্থান থেকে কাগজপত্র হারিয়ে যেতে পারে না। তারপরও হারিয়ে গেলে প্রথমেই সন্দেহ হবে জালিয়াতি আড়াল করার জন্য ফাইল হারানোর নাটক সাজানো হয়েছে। আর প্রকৃতই ফাইল হারিয়ে গেলে ব্যাংকের টাকা লেনদেনের লেজারে বা খাতাপত্রে রেকর্ড পাওয়া যাবে, কে কখন কিভাবে এই টাকা তুলে নিয়েছে, সেই রেকর্ড থেকে ঋণের টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। এ দুটির একটিও যদি না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিতে হবে এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংঘবদ্ধ জালিয়াতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক শওকত আলী যুগান্তরকে জানান, ঋণের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। যারা নিয়েছেন তারা এখন ব্যবসাও করছেন। এর বেশি কিছু বলা যাবে না। কেননা গ্রাহকের লেনদেনের গোপনীয়তা রক্ষা করা ব্যাংকারের দায়িত্ব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল এই ঘটনা শনাক্ত করার পর সোনালী ব্যাংকের ফাইল তলব করলে তারা তা দেখাতে পারেনি। পরে এসব টাকার লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা ওই টাকার লেনদেনের কোনো তথ্যও উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে পরিদর্শক দল এই টাকার বিষয়ে আপত্তি দেয়।
সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে ২০১২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল তদন্ত করার সময়ে কিছু ঋণের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টিকে আমলে নিয়ে আরও ব্যাপকভিত্তিক তদন্ত করে। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে ঋণের টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনাটি। তদন্তের সময়ে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ওইসব টাকা কাদের ঋণ হিসেবে দিয়েছে তার স্বপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও অনুসন্ধান করে দেখতে পায়, ২০০৪ সালে শাখা থেকে যেসব ঋণ দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে ৫২৩ কোটি টাকার হদিস নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত শেষে সোনালী ব্যাংককে ওই ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংক এক বছরের মধ্যে এ ব্যাপারে সব ধরনের কাগজপত্র উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে উপস্থাপন করার অঙ্গীকার করেছিল। ফলে ওই টাকার বিপরীতে তাদের প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেয়।
২০১৩ সালের তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে তদন্ত শুরু করে। তখন ওই ঘটনার অগ্রগতি জানতে গিয়ে পরিদর্শক দল দেখতে পায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এক বছরেও সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে করা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কিছুই করতে পারেনি। ঋণের টাকা কোথায় গেল তার একটি ফাইলও উদ্ধার করতে পারেনি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর। এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবার সোনালী ব্যাংকে ওই ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার আবারও নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সোনালী ব্যাংক এবারও এর বিপরীতে প্রভিশন মওকুফ সুবিধা চায়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এবার আর এই সুবিধা দিতে নারাজ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সোনালী ব্যাংকের এমডি যদি এই বিষয়ে ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দেন তবে তারা প্রভিশন মওকুফ সুবিধাটিতে ছাড় দিতে পারে। অন্যথায় শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের এমডি ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দিতে নারাজ। তিনি বিষয়টি পর্ষদে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন।
সোনালী ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধার কাগজপত্রের সূত্র ধরে আরও অনুসন্ধান চলছে। তারা আশা করছেন, এখন সব কাগজই পাওয়া যাবে। যেসব কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে ওইগুলো থেকে কারা ঋণ নিয়েছে তা শনাক্ত হয়েছে, তবে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে তারা নারাজ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের উদ্ধার করা কাগজপত্রগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। এতে সঠিকতা পাওয়া গেলে পরে এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংককে কিছু ছাড় দেয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান যুগান্তরকে বলেন, সোনালী ব্যাংক বলছে ঋণের টাকা যাদের দেয়া হয়েছে, তাদের কিছু কাগজপত্র তারা সংগ্রহ করেছে। এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাও দিয়েছে। এখন ওইগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কাগজপত্রগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ এক নির্বাহী যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাটি অনেক আগের। গত বছর এটি আলোচনায় এসেছে। আমরা অনুসন্ধান করছি। আশা করি শিগগিরই সব কাগপত্র পেয়ে যাব। তিনি আরও বলেন, হিসাবের ভুল ও কাগজপত্র হারিয়ে যাওয়ার কারণে এমনিটি হয়েছে। এর বাইরে এটি কোনো জাল-জালিয়াতির ঘটনা নয়। তারপরেও এই ভুল বা দায়িত্বহীনতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকের কাছে অনেক ক্ষেত্রে টাকার চেয়েও কাগজপত্র বেশি জরুরি। এজন্য টাকা যেমন সুরক্ষিত ভল্টে রাখা হয়, তেমনি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রাখার জন্য এক ধরনের সুরক্ষিত স্থান ব্যবহার করা হয়। ইদানীং ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বাইরে অন্য কোনো গোপন স্থানেও সংরক্ষণ করা হয়। যাতে এক জায়গা থেকে কাগজপত্র হারানো গেলেও অন্য জায়গা থেকে পাওয়া যায়। এ ধরনের সুরক্ষিত স্থান থেকে কাগজপত্র হারিয়ে যেতে পারে না। তারপরও হারিয়ে গেলে প্রথমেই সন্দেহ হবে জালিয়াতি আড়াল করার জন্য ফাইল হারানোর নাটক সাজানো হয়েছে। আর প্রকৃতই ফাইল হারিয়ে গেলে ব্যাংকের টাকা লেনদেনের লেজারে বা খাতাপত্রে রেকর্ড পাওয়া যাবে, কে কখন কিভাবে এই টাকা তুলে নিয়েছে, সেই রেকর্ড থেকে ঋণের টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। এ দুটির একটিও যদি না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিতে হবে এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংঘবদ্ধ জালিয়াতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক শওকত আলী যুগান্তরকে জানান, ঋণের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। যারা নিয়েছেন তারা এখন ব্যবসাও করছেন। এর বেশি কিছু বলা যাবে না। কেননা গ্রাহকের লেনদেনের গোপনীয়তা রক্ষা করা ব্যাংকারের দায়িত্ব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল এই ঘটনা শনাক্ত করার পর সোনালী ব্যাংকের ফাইল তলব করলে তারা তা দেখাতে পারেনি। পরে এসব টাকার লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা ওই টাকার লেনদেনের কোনো তথ্যও উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে পরিদর্শক দল এই টাকার বিষয়ে আপত্তি দেয়।
সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে ২০১২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল তদন্ত করার সময়ে কিছু ঋণের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টিকে আমলে নিয়ে আরও ব্যাপকভিত্তিক তদন্ত করে। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে ঋণের টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনাটি। তদন্তের সময়ে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ওইসব টাকা কাদের ঋণ হিসেবে দিয়েছে তার স্বপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও অনুসন্ধান করে দেখতে পায়, ২০০৪ সালে শাখা থেকে যেসব ঋণ দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে ৫২৩ কোটি টাকার হদিস নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত শেষে সোনালী ব্যাংককে ওই ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংক এক বছরের মধ্যে এ ব্যাপারে সব ধরনের কাগজপত্র উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে উপস্থাপন করার অঙ্গীকার করেছিল। ফলে ওই টাকার বিপরীতে তাদের প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেয়।
২০১৩ সালের তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে তদন্ত শুরু করে। তখন ওই ঘটনার অগ্রগতি জানতে গিয়ে পরিদর্শক দল দেখতে পায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এক বছরেও সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে করা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কিছুই করতে পারেনি। ঋণের টাকা কোথায় গেল তার একটি ফাইলও উদ্ধার করতে পারেনি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর। এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবার সোনালী ব্যাংকে ওই ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার আবারও নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সোনালী ব্যাংক এবারও এর বিপরীতে প্রভিশন মওকুফ সুবিধা চায়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এবার আর এই সুবিধা দিতে নারাজ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সোনালী ব্যাংকের এমডি যদি এই বিষয়ে ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দেন তবে তারা প্রভিশন মওকুফ সুবিধাটিতে ছাড় দিতে পারে। অন্যথায় শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের এমডি ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দিতে নারাজ। তিনি বিষয়টি পর্ষদে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন।
সোনালী ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধার কাগজপত্রের সূত্র ধরে আরও অনুসন্ধান চলছে। তারা আশা করছেন, এখন সব কাগজই পাওয়া যাবে। যেসব কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে ওইগুলো থেকে কারা ঋণ নিয়েছে তা শনাক্ত হয়েছে, তবে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে তারা নারাজ।
No comments