ইবির হল ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা by দেলোয়ার মানিক
গাড়ি চাপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু’র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাসে ভ্ংচুর, আগুন, প্রশাসন ভবনসহ প্রায় সব ভবনে হামলা ও পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় গতকাল দুপুরে ক্যাম্পাস বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। ছেলে ও মেয়েদের উভয়কে সকাল দশটায় হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। আজ সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি হলের শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করে নিজ বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দ্যোশে রওনা হচ্ছে। তবে ৫টি পরিবহন ধর্মঘটের কারনে কুষ্টিয়া- খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে তারা।
এদিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহতের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট রাতে শিথিল করা হলেও সকাল ৬টা থেকে ৫ সংগঠন তাদেও ধর্ম ঘট অব্যাহত রেখেছে। কুষ্টিয়া মজমপুর গেইট-এ সমিতির নেতৃবৃন্দ লাঠি শোঠ হাতে অবস্থান নিয়ে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া রুটের চলাচলকারী সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু ক্যাম্পাসের ঝিনাইদহ গামী একটি বাসে উঠার চেষ্টা করে। বাস চালক অপ্রত্যাশিত ভাবে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলে টিটু রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী ‘সাগর’ পরিবহণ (ঝিনাইদহ-ব- ১১-০০১) নামে একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ধাক্কায় গলা ছিঁড়ে ঘটনাস্থলেই ওই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থী মৃত্যুর সংবাদ মুহুর্তে পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
এসময় ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীদের শান্তনা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কিংবা কোন শিক্ষককে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। প্রশাসনের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বহিরাগত ও চাকরি প্রত্যাশি কিছু ছাত্রলীগ কর্মী যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহতায় রূপ নেয়। লাঠি সোটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে ভাংচুর চালায়। এঘটনা আধা ঘন্টা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাস ডিপোতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০টি বাসে ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানে স্থানে আগুনের লেলিহান শিখা, টায়ার পোড়া গন্ধ ও ধোয়ায় ক্যাম্পাস অন্ধকার হয়ে যায়।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আবারো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলে প্রক্টর ড. লোকমান হাকিমের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে টিয়ার শেল, গুলি, রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করে। এসময় অন্তত: ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে সজল, আকাশ, মিথুন, নাইম, তৌহিদ, জহির ও মেহেদির অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সজল নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে পুলিশ ও র্যাব যৌথ ভাবে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গতকাল বেলা তিনটার দিকে এক জরুরি বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা করে।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল ছাত্রদের এবং আগামী সকাল ১০টার মধ্যে সকল ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেন। অপরদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারনে মেয়েরা বিক্ষোভ করে। পরে ছেলে ও মেয়েদের উভয়কে সকাল দশটায় হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহতের ঘটনায় গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট রাতে শিথিল করা হলেও সকাল ৬টা থেকে ৫ সংগঠন তাদেও ধর্ম ঘট অব্যাহত রেখেছে। কুষ্টিয়া মজমপুর গেইট-এ সমিতির নেতৃবৃন্দ লাঠি শোঠ হাতে অবস্থান নিয়ে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া রুটের চলাচলকারী সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু ক্যাম্পাসের ঝিনাইদহ গামী একটি বাসে উঠার চেষ্টা করে। বাস চালক অপ্রত্যাশিত ভাবে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলে টিটু রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী ‘সাগর’ পরিবহণ (ঝিনাইদহ-ব- ১১-০০১) নামে একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ধাক্কায় গলা ছিঁড়ে ঘটনাস্থলেই ওই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থী মৃত্যুর সংবাদ মুহুর্তে পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
এসময় ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীদের শান্তনা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কিংবা কোন শিক্ষককে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। প্রশাসনের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বহিরাগত ও চাকরি প্রত্যাশি কিছু ছাত্রলীগ কর্মী যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহতায় রূপ নেয়। লাঠি সোটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে ভাংচুর চালায়। এঘটনা আধা ঘন্টা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাস ডিপোতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০টি বাসে ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানে স্থানে আগুনের লেলিহান শিখা, টায়ার পোড়া গন্ধ ও ধোয়ায় ক্যাম্পাস অন্ধকার হয়ে যায়।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আবারো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলে প্রক্টর ড. লোকমান হাকিমের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে টিয়ার শেল, গুলি, রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করে। এসময় অন্তত: ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে সজল, আকাশ, মিথুন, নাইম, তৌহিদ, জহির ও মেহেদির অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সজল নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে পুলিশ ও র্যাব যৌথ ভাবে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গতকাল বেলা তিনটার দিকে এক জরুরি বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা করে।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল ছাত্রদের এবং আগামী সকাল ১০টার মধ্যে সকল ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেন। অপরদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারনে মেয়েরা বিক্ষোভ করে। পরে ছেলে ও মেয়েদের উভয়কে সকাল দশটায় হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
No comments