চলন্ত বাসে উত্ত্যক্তকারীদের মারলেন দুই বোন
(ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে গত শুক্রবার চলন্ত বাসে তিন উত্ত্যক্তকারীকে মারধর করেন দুই বোন। ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়ার সৌজন্যে) ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে চলন্ত বাসে উত্ত্যক্ত করায় তিন ব্যক্তিকে বেদম মারধর করেছেন দুই বোন। তাঁদের ওই মারধরের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সাহসিকতার জন্য ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে এ দুই বোনকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হরিয়ানা রাজ্য সরকার।
আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, গত শুক্রবার কলেজের পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন আরতী (২২) ও পূজা (১৯)। বাসে ওঠার আগে থেকেই তিন বখাটে তাঁদের উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। বাসে ওঠার পর তারা দুই বোনকে লক্ষ্য করে নিজেদের মোবাইল নম্বর লিখে কাগজের টুকরো ছুড়ে মারে। এরপর আজেবাজে মন্তব্য, নানান ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। এমনকি তাঁদের গায়ে হাত দেয়। এসব দেখেও বাসের যাত্রীরা কেউ এগিয়ে আসেননি। তাঁরা নির্বিকারভাবে বসে ছিলেন। এমনকি বাসচালক ও তাঁর সহকারীও টুঁ শব্দটি করেনি। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে দুই বোন ওই তিনজনকে মারধর করেন। তাঁদের এ মারধরের দৃশ্য ধারণ করেন ওই বাসেরই যাত্রী এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। পরে এ ঘটনায় তাঁরা থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
পূজা বলেন, ‘বাসের ভেতরে তারা আমাদের উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। আমাদের গায়ে হাত দেয় এবং আজেবাজে মন্তব্য করে। আমরা আর নিতে পারছিলাম না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে আমরা ওই তিনজনকে মারধর শুরু করি। এ সময় একজন আমার বোনের হাত চেপে ধরে ও অন্যজন আমার ঘাড় ধরে। তখন আমার বোন তাঁর কোমরের বেল্ট খুলে মারতে শুরু করে।’
দুই বোনের একজন আরতী গণমাধ্যমকে জানান, ‘বাসে অন্যরা আমাদের বলে “তোমরা কিছু কোরো না...তারা তোমাদের ধর্ষণ করবে বা মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারবে। তারা তোমাদের মেরে ফেলবে”...আমরা ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু হাল ছাড়িনি।’
মারধরের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল রোববার রাতে কুলদীপ, মোহিত ও দীপক নামের তিন বখাটেকে আটক করে। এ তিনজনই হরিয়ানার একটি গ্রামের বাসিন্দা। ওই দিন তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছিল।
এ ঘটনার পর ওই তিনজনের আবেদন বাতিলের ঘোষণা দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারতের সেনাবাহিনীতে এ ধরনের লোকের কোনো স্থান নেই।
দুই বোন দাবি করেন, পুলিশের কাছে করা অভিযোগ তুলে নিতে ওই তিনজনের পরিবার তাঁদের চাপ দিচ্ছে। পূজা বলেন, ‘তাঁরা আমাদের বাবাকে বলছেন, আমরা পুলিশেকে যা বলেছি তা যেন পরিবর্তন করি। ওই তিন ব্যক্তি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছে। এই অভিযোগের কারণে তাদের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের (দুই বোন) জীবনের কী হবে? এ ধরনের মানুষেরা কী আমাদের দেশকে রক্ষা করতে পারবে?’
হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম এল খাত্তার সাহসিকতার জন্য দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসে দুই বোনের প্রত্যেককে ৩১ হাজার রুপি পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সড়কে বাসে চলাচলের সময় যাত্রীদের বিশেষ করে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক ও রাজ্য পরিবহন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া ওই বাসের চালক ও তাঁর সহকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, গত শুক্রবার কলেজের পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন আরতী (২২) ও পূজা (১৯)। বাসে ওঠার আগে থেকেই তিন বখাটে তাঁদের উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। বাসে ওঠার পর তারা দুই বোনকে লক্ষ্য করে নিজেদের মোবাইল নম্বর লিখে কাগজের টুকরো ছুড়ে মারে। এরপর আজেবাজে মন্তব্য, নানান ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। এমনকি তাঁদের গায়ে হাত দেয়। এসব দেখেও বাসের যাত্রীরা কেউ এগিয়ে আসেননি। তাঁরা নির্বিকারভাবে বসে ছিলেন। এমনকি বাসচালক ও তাঁর সহকারীও টুঁ শব্দটি করেনি। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে দুই বোন ওই তিনজনকে মারধর করেন। তাঁদের এ মারধরের দৃশ্য ধারণ করেন ওই বাসেরই যাত্রী এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। পরে এ ঘটনায় তাঁরা থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
পূজা বলেন, ‘বাসের ভেতরে তারা আমাদের উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। আমাদের গায়ে হাত দেয় এবং আজেবাজে মন্তব্য করে। আমরা আর নিতে পারছিলাম না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে আমরা ওই তিনজনকে মারধর শুরু করি। এ সময় একজন আমার বোনের হাত চেপে ধরে ও অন্যজন আমার ঘাড় ধরে। তখন আমার বোন তাঁর কোমরের বেল্ট খুলে মারতে শুরু করে।’
দুই বোনের একজন আরতী গণমাধ্যমকে জানান, ‘বাসে অন্যরা আমাদের বলে “তোমরা কিছু কোরো না...তারা তোমাদের ধর্ষণ করবে বা মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারবে। তারা তোমাদের মেরে ফেলবে”...আমরা ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু হাল ছাড়িনি।’
মারধরের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল রোববার রাতে কুলদীপ, মোহিত ও দীপক নামের তিন বখাটেকে আটক করে। এ তিনজনই হরিয়ানার একটি গ্রামের বাসিন্দা। ওই দিন তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছিল।
এ ঘটনার পর ওই তিনজনের আবেদন বাতিলের ঘোষণা দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারতের সেনাবাহিনীতে এ ধরনের লোকের কোনো স্থান নেই।
দুই বোন দাবি করেন, পুলিশের কাছে করা অভিযোগ তুলে নিতে ওই তিনজনের পরিবার তাঁদের চাপ দিচ্ছে। পূজা বলেন, ‘তাঁরা আমাদের বাবাকে বলছেন, আমরা পুলিশেকে যা বলেছি তা যেন পরিবর্তন করি। ওই তিন ব্যক্তি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছে। এই অভিযোগের কারণে তাদের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের (দুই বোন) জীবনের কী হবে? এ ধরনের মানুষেরা কী আমাদের দেশকে রক্ষা করতে পারবে?’
হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম এল খাত্তার সাহসিকতার জন্য দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসে দুই বোনের প্রত্যেককে ৩১ হাজার রুপি পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সড়কে বাসে চলাচলের সময় যাত্রীদের বিশেষ করে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক ও রাজ্য পরিবহন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া ওই বাসের চালক ও তাঁর সহকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
No comments