মীর কাসেম আলীর আপিল দায়ের
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর
কাসেম আলী আপিল দায়ের করেছেন। রোববার তার আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্টের
সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দাখিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের দেয়া দণ্ড থেকে
খালাস চাওয়া হয়েছে।
মীর কাসেমের আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ১৮১টি যুক্তিতে আপিলটি দাখিল করা হয়েছে। ১৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে এক হাজার ৭৫৫ পৃষ্ঠার তথ্যাদি দাখিল করা হয়েছে। চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার হিসেবে পরিচিত মীর কাশেম আলীকে ২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি অভিযোগ আনে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে ১২টি ছিল নির্যাতনের আর দুটি হত্যার অভিযোগ। ট্রাইব্যুনালের রায়ে নির্যাতনসংক্রান্ত ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ এবং হত্যাসংক্রান্ত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। হত্যাসংক্রান্ত দুটি অভিযোগে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে বলেন, ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ অভিযোগে ৭ বছর করে এবং ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর দণ্ড ঘোষণা করা হল। এই সাজা একই সঙ্গে (যুগপৎভাবে) ভোগ করবে। হত্যাসংক্রান্ত ১১ নম্বর অভিযোগে মীর কাশেম দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং এ অপরাধে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বলা হয় রায়ে।
এ ছাড়া হত্যাসংক্রান্ত ১২ নম্বর অভিযোগে তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। অর্থাৎ এ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতির মধ্যে দুজন বিচারপতি একমত পোষণ করেন। রায়ে বলা হয়, এই মৃত্যুদণ্ডের সাজাটি ১১ নম্বর অভিযোগে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজার সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। মীর কাশেম একটি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে দেয়া সাজার আদেশ এই মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। তার বিরুদ্ধে আনা বাকি ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল। আইন অনুযায়ী রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করতে হয়। এ সময়ের আগেই কাশেম আলীর পক্ষে রোববার আপিল দায়ের করা হল।
মীর কাসেমের আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ১৮১টি যুক্তিতে আপিলটি দাখিল করা হয়েছে। ১৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে এক হাজার ৭৫৫ পৃষ্ঠার তথ্যাদি দাখিল করা হয়েছে। চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার হিসেবে পরিচিত মীর কাশেম আলীকে ২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি অভিযোগ আনে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে ১২টি ছিল নির্যাতনের আর দুটি হত্যার অভিযোগ। ট্রাইব্যুনালের রায়ে নির্যাতনসংক্রান্ত ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ এবং হত্যাসংক্রান্ত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। হত্যাসংক্রান্ত দুটি অভিযোগে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে বলেন, ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ অভিযোগে ৭ বছর করে এবং ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর দণ্ড ঘোষণা করা হল। এই সাজা একই সঙ্গে (যুগপৎভাবে) ভোগ করবে। হত্যাসংক্রান্ত ১১ নম্বর অভিযোগে মীর কাশেম দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং এ অপরাধে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বলা হয় রায়ে।
এ ছাড়া হত্যাসংক্রান্ত ১২ নম্বর অভিযোগে তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। অর্থাৎ এ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতির মধ্যে দুজন বিচারপতি একমত পোষণ করেন। রায়ে বলা হয়, এই মৃত্যুদণ্ডের সাজাটি ১১ নম্বর অভিযোগে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজার সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। মীর কাশেম একটি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে দেয়া সাজার আদেশ এই মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। তার বিরুদ্ধে আনা বাকি ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল। আইন অনুযায়ী রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করতে হয়। এ সময়ের আগেই কাশেম আলীর পক্ষে রোববার আপিল দায়ের করা হল।
No comments