২ মামলায় মৃধাকে বাদ দুদকের
৭০ লাখ টাকার বস্তাসহ হাতেনাতে ধরাপড়া রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধাকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দুই মামলার চার্জশিট জমা দেন প্রতিষ্ঠানটির তদন্ত কর্মকর্তা। এতে মৃধার বিরুদ্ধে ওঠা অর্থগ্রহণের অভিযোগের ব্যাপারে কোন ধরনের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এ সময় আদালতে বিচারক ছিলেন মশিউর রহমান চৌধুরী। অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া মামলা দু’টি হলো রেলে খাদ্য পরিদর্শক ও লোকো মাস্টারপদে নিয়োগ। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, মৃধা সাহেবকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে আজ (গতকাল) তা আদালতে দাখিল করা হলো। আদালত বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরে সিদ্ধান্ত দেবে।
সূত্র জানায়, সহকারী লোকো মাস্টার পদে নিয়োগ-বাণিজ্যের ঘটনায় ২০১২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা প্রথম মামলাটি করেন। এরপর ২০১৩ সালের ১৭ই জুলাই সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান করেন অপর মামলাটি। অভিযোগ উঠেছে, ধরা পড়ার আগে টাকা ছাড়া কিছুই বুঝতেন না রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার নানা অপকর্ম ফাঁস হতে শুরু করে। কিভাবে তিনি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের লোক হয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ালেন, তার মেয়ের জামাইকে প্রধান করে অর্থ আদায়ের জন্য গঠন করেছিলেন ৭-৮ জনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট, নিয়োগ দেয়ার নামে আদায় করেছিলেন কয়েক কোটিরও বেশি টাকা, কিভাবে তার সঙ্গে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের পিএস-এপিসের যোগাযোগ হতো, রেলওয়ের শ্রমিকদের কাজের ভাগবাটোয়ারা কিভাবে করতেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গোপনে আদায় করতেন অগ্রিম টাকা, নিয়োগ পরীক্ষার নামে প্রশ্নপত্র ফাঁস- কোন অনিয়মই যেন বাদ দেননি চট্টগ্রাম রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগের পর সবাই ভেবেছিলেন এবার মৃধার সব অপকর্ম ধরা পড়বে। কিন্তু রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দায়িত্ব নেয়ার পরপরই সবার সেই চিন্তাকে ভুল প্রমাণ করেন ইউসুফ আলী মৃধা। ঘন ঘন ঢাকায় যাওয়া আর সুরঞ্জিতের সহকারী ওমর ফারুকের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ দেখে সবাই এ বিষয়টি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন।
চট্টগ্রাম রেলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলের দায়িত্ব নেয়ার পর তার ব্যক্তিগত সহকারীকে কিভাবে যেন ম্যানেজ করে ফেলেন মৃধা। তবে সবার ধারণা, এ ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে সম্প্রতি হাতে নেয়া ঢাকা টু সিলেট বৈশাখী ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে। এ ট্রেনের খাবারের টেন্ডার, যন্ত্রপাতি মেরামত, তদারকের অর্থবণ্টন নিয়ে তারা এক হয়েছেন। আর সেই সুবাদে চট্টগ্রাম থেকে লোক নিয়োগ দিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী এপিএস ফারুককে ব্যবহার করতেন ইউসুফ আলী মৃধা।
মৃধা কেবল নিয়োগ নয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও পূর্বাঞ্চলের যত সার্ভিস ছিল সব ট্রেনেরই তদারক তার হাতে থাকায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। পূর্বাঞ্চল রেলপথ হয়ে উঠেছিল তার কাছে টাকার খনি। সে টাকার বিনিময়ে তার অনুগত কিংবা বাইরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেনের খাবারের টেন্ডার দিয়েছেন। এ নিয়ে আমাদের লোকজন উচ্চবাচ্য করতেই তাদের শাসানো হতো। নিয়োগ দিয়েই কোটিপতি হয়েছিলেন মৃধা। এ পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়েছিলেন চট্টগ্রাম রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা। চট্টগ্রাম রেলের নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, মৃধা দায়িত্ব নেয়ার পরপরই মোট ৩৪১৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। যাদের কাছ থেকে তিনি সর্বনিম্ন ৩ লাখ ও সর্বোচ্চ ৪ লাখ নিয়েছেন। তবে এ টাকার পুরো অংশ তিনি নিজে নিতেন না। ঢাকায় রেল মন্ত্রণালয়ের একাধিক লোক এর সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মেয়ের জামাই ছাড়াও চট্টগ্রামে এ কাজটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির। রেলের কারিগর সমিতির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, মৃধা সাহেবের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারাও গাঢাকা দিয়েছেন। অফিস করা কমিয়ে দিয়েছেন। এরাও মেলা টাকা-পয়সা কামিয়েছেন। লোকজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে মৃধার সঙ্গে মধ্যস্থতা করতেন। চট্টগ্রাম রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ইউসুফ আলী মৃধা একজন বড় দুর্নীতিবাজ। তাকে চট্টগ্রাম রেলে কেউই আর দেখতে চায় না। তিনি এলে তাকে আমরা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবো।
সূত্র জানায়, সহকারী লোকো মাস্টার পদে নিয়োগ-বাণিজ্যের ঘটনায় ২০১২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা প্রথম মামলাটি করেন। এরপর ২০১৩ সালের ১৭ই জুলাই সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান করেন অপর মামলাটি। অভিযোগ উঠেছে, ধরা পড়ার আগে টাকা ছাড়া কিছুই বুঝতেন না রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার নানা অপকর্ম ফাঁস হতে শুরু করে। কিভাবে তিনি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের লোক হয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ালেন, তার মেয়ের জামাইকে প্রধান করে অর্থ আদায়ের জন্য গঠন করেছিলেন ৭-৮ জনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট, নিয়োগ দেয়ার নামে আদায় করেছিলেন কয়েক কোটিরও বেশি টাকা, কিভাবে তার সঙ্গে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের পিএস-এপিসের যোগাযোগ হতো, রেলওয়ের শ্রমিকদের কাজের ভাগবাটোয়ারা কিভাবে করতেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গোপনে আদায় করতেন অগ্রিম টাকা, নিয়োগ পরীক্ষার নামে প্রশ্নপত্র ফাঁস- কোন অনিয়মই যেন বাদ দেননি চট্টগ্রাম রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগের পর সবাই ভেবেছিলেন এবার মৃধার সব অপকর্ম ধরা পড়বে। কিন্তু রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দায়িত্ব নেয়ার পরপরই সবার সেই চিন্তাকে ভুল প্রমাণ করেন ইউসুফ আলী মৃধা। ঘন ঘন ঢাকায় যাওয়া আর সুরঞ্জিতের সহকারী ওমর ফারুকের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ দেখে সবাই এ বিষয়টি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন।
চট্টগ্রাম রেলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলের দায়িত্ব নেয়ার পর তার ব্যক্তিগত সহকারীকে কিভাবে যেন ম্যানেজ করে ফেলেন মৃধা। তবে সবার ধারণা, এ ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে সম্প্রতি হাতে নেয়া ঢাকা টু সিলেট বৈশাখী ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে। এ ট্রেনের খাবারের টেন্ডার, যন্ত্রপাতি মেরামত, তদারকের অর্থবণ্টন নিয়ে তারা এক হয়েছেন। আর সেই সুবাদে চট্টগ্রাম থেকে লোক নিয়োগ দিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী এপিএস ফারুককে ব্যবহার করতেন ইউসুফ আলী মৃধা।
মৃধা কেবল নিয়োগ নয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও পূর্বাঞ্চলের যত সার্ভিস ছিল সব ট্রেনেরই তদারক তার হাতে থাকায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। পূর্বাঞ্চল রেলপথ হয়ে উঠেছিল তার কাছে টাকার খনি। সে টাকার বিনিময়ে তার অনুগত কিংবা বাইরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেনের খাবারের টেন্ডার দিয়েছেন। এ নিয়ে আমাদের লোকজন উচ্চবাচ্য করতেই তাদের শাসানো হতো। নিয়োগ দিয়েই কোটিপতি হয়েছিলেন মৃধা। এ পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়েছিলেন চট্টগ্রাম রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা। চট্টগ্রাম রেলের নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, মৃধা দায়িত্ব নেয়ার পরপরই মোট ৩৪১৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। যাদের কাছ থেকে তিনি সর্বনিম্ন ৩ লাখ ও সর্বোচ্চ ৪ লাখ নিয়েছেন। তবে এ টাকার পুরো অংশ তিনি নিজে নিতেন না। ঢাকায় রেল মন্ত্রণালয়ের একাধিক লোক এর সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মেয়ের জামাই ছাড়াও চট্টগ্রামে এ কাজটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির। রেলের কারিগর সমিতির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, মৃধা সাহেবের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারাও গাঢাকা দিয়েছেন। অফিস করা কমিয়ে দিয়েছেন। এরাও মেলা টাকা-পয়সা কামিয়েছেন। লোকজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে মৃধার সঙ্গে মধ্যস্থতা করতেন। চট্টগ্রাম রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ইউসুফ আলী মৃধা একজন বড় দুর্নীতিবাজ। তাকে চট্টগ্রাম রেলে কেউই আর দেখতে চায় না। তিনি এলে তাকে আমরা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবো।
No comments