লাশ চুরির শঙ্কায় শামারুখের কবরে পুলিশের পাহারা
কবর থেকে লাশ চুরির শঙ্কায় নারী চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিনের কবরে পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। গতকাল রোববার রাত থেকে যশোরের কারবালা কবরস্থানে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাতেই কবরস্থান এলাকা থেকে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, লাশ চুরির আশঙ্কা ও কবরস্থান এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারবালা কবরস্থানে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করার জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন যশোর শহরের কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার মো. বদরুদ্দোজা, কিসমত নওয়াপাড়া এলাকার কামাল আরিফ ও খোলাডাঙ্গা এলাকার সুমন।
জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর জানান, নতুন করে ময়নাতদন্তের জন্যে বুধবার কবর থেকে শামারুখের লাশ তোলা হবে। সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
শামারুখের বাবা নূরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা শামারুখের হত্যা মামলাটি রোববার ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকার ধানমন্ডিতে যশোর-৫ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের বাসায় গত ১৩ নভেম্বর শামারুখের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। শামারুখ সাংসদের পুত্রবধূ। এ ঘটনায় শামারুখের শ্বশুর খান টিপু সুলতান, তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক জেসমিন আরা, ছেলে হুমায়ুন সুলতানকে আসামি করে ওই দিন রাতেই ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শামারুখের বাবা মো. নুরুল ইসলামের করা মামলায় শামারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। অন্য দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
২৩ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় পাঠানো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শামারুখের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যাজনিত’ বলে উল্লেখ করা হয়। পরদিন ময়নাতদন্তের ওই প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে শামারুখের বাবা নূরুল ইসলাম লাশের পুনঃময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে আবেদন করেন। আদালত শামারুখের লাশ তুলে নতুন করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নিতে যশোরের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর জানান, নতুন করে ময়নাতদন্তের জন্যে বুধবার কবর থেকে শামারুখের লাশ তোলা হবে। সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
শামারুখের বাবা নূরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা শামারুখের হত্যা মামলাটি রোববার ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকার ধানমন্ডিতে যশোর-৫ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের বাসায় গত ১৩ নভেম্বর শামারুখের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। শামারুখ সাংসদের পুত্রবধূ। এ ঘটনায় শামারুখের শ্বশুর খান টিপু সুলতান, তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক জেসমিন আরা, ছেলে হুমায়ুন সুলতানকে আসামি করে ওই দিন রাতেই ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শামারুখের বাবা মো. নুরুল ইসলামের করা মামলায় শামারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। অন্য দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
২৩ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় পাঠানো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শামারুখের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যাজনিত’ বলে উল্লেখ করা হয়। পরদিন ময়নাতদন্তের ওই প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে শামারুখের বাবা নূরুল ইসলাম লাশের পুনঃময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে আবেদন করেন। আদালত শামারুখের লাশ তুলে নতুন করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নিতে যশোরের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
No comments