অগ্নিগর্ভ মিসরে আবার আন্দোলন
আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে কায়রো। উত্তাল হয়ে পড়েছে মিসর। কায়রোর ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে নজিরবিহীন বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।
পতিত স্বৈরশাসক হোসনি মোবারককে খুন ও দুর্নীতির সব মামলা থেকে অব্যাহতি
দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার রাতে তাহরির স্কয়ারে শত শত বিক্ষোভকারী সমবেত হন।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত
একজন বিক্ষোভকারী মারা যান। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ২০১১ সালে এ তাহরির
স্কয়ার থেকে মিসরীয় বিপ্লবের সূচনা হয়, যাতে দ্রুতই পতন হয় মোবারকের। সে
সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৮০০ বিক্ষোভকারী মারা যান। ওই ঘটনায়
মোবারককে দোষী সাব্যস্ত করে প্রথমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে গত বছর
দেশটিতে উর্দি শাসন জারি হলে তার পুনর্বিচারে নির্দেশ দেয়া হয় এবং শনিবার
ঘোষিত রায়ে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে অর্থ আÍসাতের একটি মামলায় ৮৬
বছর বয়সী মোবারক বর্তমানে ৩ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন। মোবারককে খালাস দেয়ার
প্রতিবাদে শনিবার তাহরির স্কয়ারে শত শত বিক্ষোভকারী সমবেত হন। পুলিশ তাহরির
স্কয়ারের প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিলেও বিক্ষোভকারীদের ঠেকানো যায়নি।
আদালতের রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা তাহরির স্কয়ারে সমবেত
হন। বিবিসি জানায়, মোবারকবিরোধী অনেক উদারপন্থী নাগরিকও বতর্মান
স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের বিক্ষোভে শামিল
হন।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় রমাদান আহমেদ নামের একজন বিক্ষোভকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শত শত আন্দোলনকারীর মৃত্যু আর রক্তকে এই রায় ধুলোয় মিশিয়ে দিল। এ দেশে ন্যায়বিচার নেই। এটা মোবারকের আইন।’ ২০১১ সালে আলেকজান্দ্রিয়ায় তার ছেলে মোহাম্মদ নিহত হন।
শতাব্দীর নিকৃষ্টতম বিচার : গণহত্যার অভিযোগ থেকে মোবারককে মুক্তি দেয়ায় মিসরের আদালতের এই রায়কে ‘ট্রায়াল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর নিকৃষ্টতম বিচার বলে অভিহিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। ২০১১ সালের ওই গণবিপ্লবের লক্ষ্যের বিরুদ্ধে একযোগে বর্তমান সরকার ও বিচার বিভাগ যে একজোট হয়েছে, এটা তার ইঙ্গিত। মিসরের রাজনীতিবিষয়ক একজন কলামিস্ট মোহাম্মাদ আল দাশাম বলেন, ‘চার বছরের মধ্যেই এমন রায় শুনে আমরা কেবল বিস্মিতই নই, মনক্ষুণ্ন।’ মানবাধিকার কর্মী আহমেদ রাগাব বললেন, মোবারককে খালাস দিয়ে এটাই বোঝানো হল যে, সেসময় লাখ লাখ মানুষের রাস্তায় নামার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছেন মোবারক
মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক শিগগিরই মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ফারিদ আল দিব। রোববার তিনি জানান, দুর্নীতি মামলার দুই-তৃতীয়াংশ সময় জেলে কাটানোর পর তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শনিবার গণহত্যা মামলা থেকে খালাস পান তিনি। রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় মোবারক বর্তমানে তিন বছরের সাজা ভোগ করছেন। তিন দশক ধরে মিসর শাসন করেছেন হোসনি মোবারক। দিব বলেন, ২০১১ সালে গ্রেফতারের পর থেকে মোবারক ইতিমধ্যে তিন বছরের দুই-তৃতীয়াংশ সময় পার করে ফেলেছেন।
৮৬ বছর বয়সী হোসনি মোবরক শিগগিরই মুক্তি পেতে পারেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন মাদি সামরিক হাসপাতাল থেকেই তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। এএফপি।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় রমাদান আহমেদ নামের একজন বিক্ষোভকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শত শত আন্দোলনকারীর মৃত্যু আর রক্তকে এই রায় ধুলোয় মিশিয়ে দিল। এ দেশে ন্যায়বিচার নেই। এটা মোবারকের আইন।’ ২০১১ সালে আলেকজান্দ্রিয়ায় তার ছেলে মোহাম্মদ নিহত হন।
শতাব্দীর নিকৃষ্টতম বিচার : গণহত্যার অভিযোগ থেকে মোবারককে মুক্তি দেয়ায় মিসরের আদালতের এই রায়কে ‘ট্রায়াল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর নিকৃষ্টতম বিচার বলে অভিহিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। ২০১১ সালের ওই গণবিপ্লবের লক্ষ্যের বিরুদ্ধে একযোগে বর্তমান সরকার ও বিচার বিভাগ যে একজোট হয়েছে, এটা তার ইঙ্গিত। মিসরের রাজনীতিবিষয়ক একজন কলামিস্ট মোহাম্মাদ আল দাশাম বলেন, ‘চার বছরের মধ্যেই এমন রায় শুনে আমরা কেবল বিস্মিতই নই, মনক্ষুণ্ন।’ মানবাধিকার কর্মী আহমেদ রাগাব বললেন, মোবারককে খালাস দিয়ে এটাই বোঝানো হল যে, সেসময় লাখ লাখ মানুষের রাস্তায় নামার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছেন মোবারক
মিসরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক শিগগিরই মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ফারিদ আল দিব। রোববার তিনি জানান, দুর্নীতি মামলার দুই-তৃতীয়াংশ সময় জেলে কাটানোর পর তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শনিবার গণহত্যা মামলা থেকে খালাস পান তিনি। রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় মোবারক বর্তমানে তিন বছরের সাজা ভোগ করছেন। তিন দশক ধরে মিসর শাসন করেছেন হোসনি মোবারক। দিব বলেন, ২০১১ সালে গ্রেফতারের পর থেকে মোবারক ইতিমধ্যে তিন বছরের দুই-তৃতীয়াংশ সময় পার করে ফেলেছেন।
৮৬ বছর বয়সী হোসনি মোবরক শিগগিরই মুক্তি পেতে পারেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন মাদি সামরিক হাসপাতাল থেকেই তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। এএফপি।
No comments