ভারত থেকে কেনা ৮১ ওয়াগন ১৬ মাস চট্টগ্রাম বন্দরে
বিমানের জেট ফুয়েল পরিবহনের জন্য ৮৬ কোটি
টাকায় ৮১টি ওয়াগন কিনে ফেলে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ভারত থেকে এই
ওয়াগনগুলো কিনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বিমানের জ্বালানি
পরিবহনে এগুলো কেনা হয়। কিন্তু ঢাকায় বিমানের জ্বালানি রাখার মজুদাগার
(স্টোরেজ) না থাকায় এই ওয়াগনগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে। ১৬ মাস ধরে
চট্টগ্রামের বন্দর ইয়ার্ডে পড়ে আছে এগুলো। ফলে ব্যবহারের আগেই ওয়াগনগুলোর
ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বিপিসি সূত্র জানায়, বিপিসির সঙ্গে এমওইউর পরিপ্রেক্ষিতে ১০০টি মিটার গেজ ট্যাংক ওয়াগন ও পাঁচটি ব্রেকভ্যান সংগ্রহের প্রকল্প হাতে নেয় রেলওয়ে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৭৭ কোটি টাকা। ২০১০ সালে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। তবে বেশি দাম হওয়ায় পরে প্রকল্পটি সংশোধন করে ৮১টি ওয়াগন ও তিনটি ব্রেকভ্যান কেনা হয়। ভারতের টেক্সমাকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এগুলো সরবরাহ করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয় ৮৬ কোটি টাকা।
২০১৩ সালের জুলাই-আগস্টে ট্যাংকারগুলো দেশে পৌঁছে। এগুলো ওয়ারেন্টির মেয়াদকাল শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। ব্যবহারের আগেই ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গেলে চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে তার দায়দায়িত্ব নেবে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমাকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে নৌপথে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত আনা হয় বিমানের জেট ফুয়েল। এরপর সড়কপথে ট্যাংক-লরির মাধ্যমে তা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়। এতে পরিবহন ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি ট্রান্সশিপমেন্টে তেলের অপচয়ও হয়। ব্যয় ও অপচয় কমানোর জন্য রেলপথে জেট ফুয়েল পরিবহনের পরিকল্পনা নেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। এজন্য ২০১০ সালে রেলওয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে বিপিসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রীয় ঋণে (এলওসি) ৮১টি মিটার গেজ তেলবাহী ওয়াগন সংগ্রহ করে রেলওয়ে। প্রতিটি ওয়াগনের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৭৫০ লিটার বা ৪০ টন।
এমওইউ অনুযায়ী, চট্টগ্রামে পদ্মা অয়েলের ডিপো থেকে ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত জেট ফুয়েল পরিবহন করবে রেলওয়ে। বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে বিমানবন্দর রানওয়ে পর্যন্ত তেল পৌঁছানোর দায়িত্ব পদ্মা অয়েলের। এক্ষেত্রে জেট ফুয়েল খালাস করার জন্য রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশনের পাশে সংরক্ষণাগার স্থাপনা ও সেখান থেকে বিমানবন্দরে তেল সরবরাহের পাইপলাইন নির্মাণ করবে বিপিসি।
সংরক্ষণাগার নির্মাণে নির্বাচিত স্থানটি র্যাব কার্যালয় নির্মাণের জন্য ওই সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ওই স্থানে ইতিমধ্যে র্যাবের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ফলে জমি না পাওয়ায় সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা যাচ্ছে না। এতে রেলপথে জেট ফুয়েল পরিবহন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। এ বিষয়ে একাধিকবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এ ব্যাপারে বিপিসির চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত জটিলতা কাটছে না এখনও। শেষ মুহূর্তে জমিটা র্যাবকে দিয়ে দেয়ায় এ জটিলতা আরও বেড়েছে। এখন বিকল্প হিসেবে রেলওয়ে যদি জমি ব্যবস্থা করে তাহলে বিমানবন্দরের সড়ক দিয়ে পাইপলাইন বসিয়ে ফুয়েল পৌঁছানো যেতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমানে আগের নিয়মেই ফুয়েল সরবরাহ করা হচ্ছে।
রেলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ওয়াগনগুলোর প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৭৫০ লিটার। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত এ পরিমাণ জ্বালানি তেল পরিবহনে রেলওয়ের আয় হয় ৩৫ হাজার ৩৭৫ টাকা। সে হিসাবে ৮১টি ওয়াগনে তেল পরিবহন করে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা রেলওয়ের আয় হওয়ার কথা। এ হিসাবে গত ১৬ মাসে প্রায় ১৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে রেলওয়ে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, জমি নিয়ে জটিলতার কারণে বিপিসি তেল খালাসের সংরক্ষণাগার করতে পারেনি। ফলে ওয়াগনগুলো বসে থেকেই ওয়ারেন্টির মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুব শিগগিরই বিকল্প একটি ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এটা নিয়ে রেলওয়ে বিকল্প চিন্তাও করছে। এরই মধ্যে কুমিল্লার ময়নামতিতে স্থাপিত একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে বন্দর থেকে জ্বালানি পরিবহনের বিষয়ে রেলের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায়, শিগগিরই ওয়াগনগুলো দিয়ে পাওয়ার প্ল্যান্টসহ চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু করবে রেলওয়ে।
বিপিসি সূত্র জানায়, বিপিসির সঙ্গে এমওইউর পরিপ্রেক্ষিতে ১০০টি মিটার গেজ ট্যাংক ওয়াগন ও পাঁচটি ব্রেকভ্যান সংগ্রহের প্রকল্প হাতে নেয় রেলওয়ে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৭৭ কোটি টাকা। ২০১০ সালে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। তবে বেশি দাম হওয়ায় পরে প্রকল্পটি সংশোধন করে ৮১টি ওয়াগন ও তিনটি ব্রেকভ্যান কেনা হয়। ভারতের টেক্সমাকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এগুলো সরবরাহ করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয় ৮৬ কোটি টাকা।
২০১৩ সালের জুলাই-আগস্টে ট্যাংকারগুলো দেশে পৌঁছে। এগুলো ওয়ারেন্টির মেয়াদকাল শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। ব্যবহারের আগেই ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গেলে চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে তার দায়দায়িত্ব নেবে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমাকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে নৌপথে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত আনা হয় বিমানের জেট ফুয়েল। এরপর সড়কপথে ট্যাংক-লরির মাধ্যমে তা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়। এতে পরিবহন ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি ট্রান্সশিপমেন্টে তেলের অপচয়ও হয়। ব্যয় ও অপচয় কমানোর জন্য রেলপথে জেট ফুয়েল পরিবহনের পরিকল্পনা নেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। এজন্য ২০১০ সালে রেলওয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে বিপিসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রীয় ঋণে (এলওসি) ৮১টি মিটার গেজ তেলবাহী ওয়াগন সংগ্রহ করে রেলওয়ে। প্রতিটি ওয়াগনের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৭৫০ লিটার বা ৪০ টন।
এমওইউ অনুযায়ী, চট্টগ্রামে পদ্মা অয়েলের ডিপো থেকে ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত জেট ফুয়েল পরিবহন করবে রেলওয়ে। বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে বিমানবন্দর রানওয়ে পর্যন্ত তেল পৌঁছানোর দায়িত্ব পদ্মা অয়েলের। এক্ষেত্রে জেট ফুয়েল খালাস করার জন্য রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশনের পাশে সংরক্ষণাগার স্থাপনা ও সেখান থেকে বিমানবন্দরে তেল সরবরাহের পাইপলাইন নির্মাণ করবে বিপিসি।
সংরক্ষণাগার নির্মাণে নির্বাচিত স্থানটি র্যাব কার্যালয় নির্মাণের জন্য ওই সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ওই স্থানে ইতিমধ্যে র্যাবের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ফলে জমি না পাওয়ায় সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা যাচ্ছে না। এতে রেলপথে জেট ফুয়েল পরিবহন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। এ বিষয়ে একাধিকবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এ ব্যাপারে বিপিসির চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত জটিলতা কাটছে না এখনও। শেষ মুহূর্তে জমিটা র্যাবকে দিয়ে দেয়ায় এ জটিলতা আরও বেড়েছে। এখন বিকল্প হিসেবে রেলওয়ে যদি জমি ব্যবস্থা করে তাহলে বিমানবন্দরের সড়ক দিয়ে পাইপলাইন বসিয়ে ফুয়েল পৌঁছানো যেতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমানে আগের নিয়মেই ফুয়েল সরবরাহ করা হচ্ছে।
রেলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ওয়াগনগুলোর প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৭৫০ লিটার। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত এ পরিমাণ জ্বালানি তেল পরিবহনে রেলওয়ের আয় হয় ৩৫ হাজার ৩৭৫ টাকা। সে হিসাবে ৮১টি ওয়াগনে তেল পরিবহন করে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা রেলওয়ের আয় হওয়ার কথা। এ হিসাবে গত ১৬ মাসে প্রায় ১৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে রেলওয়ে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, জমি নিয়ে জটিলতার কারণে বিপিসি তেল খালাসের সংরক্ষণাগার করতে পারেনি। ফলে ওয়াগনগুলো বসে থেকেই ওয়ারেন্টির মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুব শিগগিরই বিকল্প একটি ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এটা নিয়ে রেলওয়ে বিকল্প চিন্তাও করছে। এরই মধ্যে কুমিল্লার ময়নামতিতে স্থাপিত একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে বন্দর থেকে জ্বালানি পরিবহনের বিষয়ে রেলের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায়, শিগগিরই ওয়াগনগুলো দিয়ে পাওয়ার প্ল্যান্টসহ চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু করবে রেলওয়ে।
No comments