প্রকল্পের টাকায় ৮০ কর্মকর্তার ১১৪৪ দিন বিদেশ ভ্রমণ
যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি)
প্রকল্পের টাকায় কর্মকর্তারা এক হাজার ১৪৪ দিন বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। গত চার
বছরে ৪০টি দেশে ১৬৮ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন ৮০ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে
মন্ত্রণালয়ের ২৭ জন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ১৬ জন এবং প্রকল্পের ৩৮
জন কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রকল্পের টাকায় পাল্লা দিয়ে বিদেশ যেতে মন্ত্রণালয়,
অধিদফতর ও প্রকল্পের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের প্রতিযোগিতা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশিক্ষণের নামে যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তাদের
অনেকেরই প্রকল্পে অবদান রাখার সুযোগ নেই। তবু তারা নানাভাবে তদবির করে
বিদেশ যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, শিগগিরই আমরা এমআরপি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করব। সেখানে সব ধরনের প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে।
তবে তিনি জানান, এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি এমআরপি পাসপোর্ট ছাপানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করা হলেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুরুতেই প্রকল্পের টাকায় বিদেশ ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং প্রকল্পের কর্মকর্তারা। সবচেয়ে বেশি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা। তিনি ১০ দফায় ১১টি দেশে ৬০ দিন ভ্রমণ করেছেন। তার ভ্রমণ করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মিসর, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ব্রুনাই, চীন, হংকং, রাশিয়া ও উজবেকিস্তান। ভ্রমণের দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মাবুদ। তিনি ৮ দফায় ৫২ দিনে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মিসর, ইতালি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সাবেক প্রকল্প পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. রেফায়েত উল্লাহ। তিনি ৭ দফায় ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে ৪৭ দিন অবস্থান করেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. মো. হারুন অর রশিদ ছয় দফায় কেনিয়া, বেলজিয়াম, রাশিয়া, মালদ্বীপ, উজবেকিস্তান ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছেন ৪১ দিন। পাঁচ দফায় কেনিয়া, ব্র“নাই, ইতালি, চীন, হংকং ও উজবেকিস্তানে ৩৮ দিন ভ্রমণ করেছেন এমআরপি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল একেএম বদরুদ্দোজা। এছাড়া প্রকল্পের টাকায় ৩৭ দিন মালয়েশিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. সফিকুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কামাল আতাহার হোসাইন পাঁচ দফায় ৩৫ দিন বিদেশে ছিলেন। দেশগুলো হল নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, নেপাল ও জাপান। প্রকল্পের টাকায় ২৮ দিন আলাদাভাবে বিদেশ ছিলেন তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান, উপ-প্রকল্প পরিচালক সিয়াব উদ্দিন খান ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর খন্দকার লোকমান হাকিম। তারা ভ্রমণ করেছেন ব্রুনাই, জাপান, মালদ্বীপ, ইতালি, মরিশাস, বেলজিয়াম, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, উজবেকিস্তান ও মিয়ানমার। এমআরপি প্রকল্পের মেজর মো. আতাউল করিম ও মেজর মো. জাহিদুল ইসলাম ২৭ দিন করে আলাদাভাবে বিদেশ ছিলেন। আতাউল করিম বাহরাইন, ভিয়েতনাম, নেপাল ও ইতালি এবং জাহিদুল ইসলাম মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন। ২৪ দিন বিদেশ ভ্রমণ করেছেন বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং এমআরপি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর শরিফুল ইসলাম। সিরাজ উদ্দিন জর্ডান, ভারত ও মালদ্বীপ এবং শরিফুল ইসলাম কুয়েত, গ্রিস, ভিয়েতনাম ও উজবেকিস্তান ভ্রমণ করেছেন।
এমআরপি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম সৌদি আরব, বাহরাইন ও অস্ট্রেলিয়ায় ২৩ দিন ভ্রমণ করলেও অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রাশেদুল মান্নান কুয়েত, ওমান ও ফ্রান্সে ২২ দিন ভ্রমণ করেছেন। কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে ২১ দিন ছিলেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল আবদুল লতিফ তালুকদার। তালুকদারের সমসংখ্যক দিন আলাদাভাবে বিদেশ ছিলেন উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মাকসুদুল হক। তিনি ছিলেন জর্ডান, ভুটান ও মালদ্বীপে।
ফ্রান্স, গ্রিস ও জাপানে এমআরপি প্রকল্পের টাকায় ১৯ দিন ভ্রমণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ। ১৮ দিন করে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন প্রকল্পের উপপরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহমুদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল হাসান। কামরুল কেনিয়া, জর্ডান ও রাশিয়া এবং মাহমুদ কানাডা, গ্রিস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেন। পাশাপাশি ১৭ দিন সৌদি আরব ও কেনিয়া ভ্রমণ করেছেন প্রকল্পের মেজর সৈয়দ ইউসুফ ইকবাল। প্রকল্পের টাকায় ১৬ দিন বিদেশ ভ্রমণ করেছেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক ব্রি. জেনারেল মির্জা এনামুল হক মরিশাস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লে. রাশেদ উল করিম সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র এবং নির্বাহী প্রকৌশলী লে. মো. খোরশেদ আলম চীন, হংকং ও মিসর।
১৪ দিন করে ৯ জন কর্মকর্তা দুটি করে দেশ ভ্রমণ করেছেন। তারা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, পাসপোর্ট অধিদফতরের উপপরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম, প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল রফিক আহমেদ, লে. কর্নেল আহসান আজিজ, লে. কর্নেল আরশাদুজ্জামান, লে. কর্নেল ইমরান আহমেদ চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাচ্চু মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কনস্যুলার) ওয়াহিদা আহমেদ এবং সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর এএসএম আশরাফুল আলম।
এছাড়া এমআরপি প্রকল্পের টাকায় ১০ দিন দুজন, ৯ দিন দুজন এবং এক সপ্তাহ বিদেশ ভ্রমণ করেছেন ২৮ জন কর্মকর্তা। ৬ দিন করে চারজন, ৫ দিন করে দুজন এবং ৪ দিন করে চারজন কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের নভেম্বরের মধ্যে সবার হাতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তুলে দিতে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ৭১০ কোটি ২৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, শিগগিরই আমরা এমআরপি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করব। সেখানে সব ধরনের প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে।
তবে তিনি জানান, এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি এমআরপি পাসপোর্ট ছাপানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করা হলেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুরুতেই প্রকল্পের টাকায় বিদেশ ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং প্রকল্পের কর্মকর্তারা। সবচেয়ে বেশি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা। তিনি ১০ দফায় ১১টি দেশে ৬০ দিন ভ্রমণ করেছেন। তার ভ্রমণ করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মিসর, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ব্রুনাই, চীন, হংকং, রাশিয়া ও উজবেকিস্তান। ভ্রমণের দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মাবুদ। তিনি ৮ দফায় ৫২ দিনে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মিসর, ইতালি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সাবেক প্রকল্প পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. রেফায়েত উল্লাহ। তিনি ৭ দফায় ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে ৪৭ দিন অবস্থান করেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. মো. হারুন অর রশিদ ছয় দফায় কেনিয়া, বেলজিয়াম, রাশিয়া, মালদ্বীপ, উজবেকিস্তান ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছেন ৪১ দিন। পাঁচ দফায় কেনিয়া, ব্র“নাই, ইতালি, চীন, হংকং ও উজবেকিস্তানে ৩৮ দিন ভ্রমণ করেছেন এমআরপি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল একেএম বদরুদ্দোজা। এছাড়া প্রকল্পের টাকায় ৩৭ দিন মালয়েশিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. সফিকুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কামাল আতাহার হোসাইন পাঁচ দফায় ৩৫ দিন বিদেশে ছিলেন। দেশগুলো হল নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, নেপাল ও জাপান। প্রকল্পের টাকায় ২৮ দিন আলাদাভাবে বিদেশ ছিলেন তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান, উপ-প্রকল্প পরিচালক সিয়াব উদ্দিন খান ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর খন্দকার লোকমান হাকিম। তারা ভ্রমণ করেছেন ব্রুনাই, জাপান, মালদ্বীপ, ইতালি, মরিশাস, বেলজিয়াম, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, উজবেকিস্তান ও মিয়ানমার। এমআরপি প্রকল্পের মেজর মো. আতাউল করিম ও মেজর মো. জাহিদুল ইসলাম ২৭ দিন করে আলাদাভাবে বিদেশ ছিলেন। আতাউল করিম বাহরাইন, ভিয়েতনাম, নেপাল ও ইতালি এবং জাহিদুল ইসলাম মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন। ২৪ দিন বিদেশ ভ্রমণ করেছেন বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং এমআরপি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর শরিফুল ইসলাম। সিরাজ উদ্দিন জর্ডান, ভারত ও মালদ্বীপ এবং শরিফুল ইসলাম কুয়েত, গ্রিস, ভিয়েতনাম ও উজবেকিস্তান ভ্রমণ করেছেন।
এমআরপি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম সৌদি আরব, বাহরাইন ও অস্ট্রেলিয়ায় ২৩ দিন ভ্রমণ করলেও অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রাশেদুল মান্নান কুয়েত, ওমান ও ফ্রান্সে ২২ দিন ভ্রমণ করেছেন। কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে ২১ দিন ছিলেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল আবদুল লতিফ তালুকদার। তালুকদারের সমসংখ্যক দিন আলাদাভাবে বিদেশ ছিলেন উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মাকসুদুল হক। তিনি ছিলেন জর্ডান, ভুটান ও মালদ্বীপে।
ফ্রান্স, গ্রিস ও জাপানে এমআরপি প্রকল্পের টাকায় ১৯ দিন ভ্রমণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ। ১৮ দিন করে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন প্রকল্পের উপপরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহমুদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল হাসান। কামরুল কেনিয়া, জর্ডান ও রাশিয়া এবং মাহমুদ কানাডা, গ্রিস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেন। পাশাপাশি ১৭ দিন সৌদি আরব ও কেনিয়া ভ্রমণ করেছেন প্রকল্পের মেজর সৈয়দ ইউসুফ ইকবাল। প্রকল্পের টাকায় ১৬ দিন বিদেশ ভ্রমণ করেছেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক ব্রি. জেনারেল মির্জা এনামুল হক মরিশাস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লে. রাশেদ উল করিম সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র এবং নির্বাহী প্রকৌশলী লে. মো. খোরশেদ আলম চীন, হংকং ও মিসর।
১৪ দিন করে ৯ জন কর্মকর্তা দুটি করে দেশ ভ্রমণ করেছেন। তারা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, পাসপোর্ট অধিদফতরের উপপরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম, প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল রফিক আহমেদ, লে. কর্নেল আহসান আজিজ, লে. কর্নেল আরশাদুজ্জামান, লে. কর্নেল ইমরান আহমেদ চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাচ্চু মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কনস্যুলার) ওয়াহিদা আহমেদ এবং সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর এএসএম আশরাফুল আলম।
এছাড়া এমআরপি প্রকল্পের টাকায় ১০ দিন দুজন, ৯ দিন দুজন এবং এক সপ্তাহ বিদেশ ভ্রমণ করেছেন ২৮ জন কর্মকর্তা। ৬ দিন করে চারজন, ৫ দিন করে দুজন এবং ৪ দিন করে চারজন কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের নভেম্বরের মধ্যে সবার হাতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তুলে দিতে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ৭১০ কোটি ২৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
No comments