বাংলাদেশী অভিবাসী ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদির হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ ঠেকানোর প্রত্যয় ঘোষণা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আবারও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার কথা বললেন। ভারতে বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি তাদের তল্পিতল্পা গুছিয়ে রাখার কথা বলেছেন। গতকাল আসামে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতেই তিনি ঢাকার সঙ্গে সীমান্তের ভূমি বিনিময় চুক্তি কার্যকর করবেন। তিনি মনে করেন, এই চুক্তি করলেই আসামে অনুপ্রবেশ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেবে তার সরকার। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসি। এতে আরও বলা হয়, মোদি আবারও বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তার আক্রমণ শাণিত করেছেন। প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামে বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসী থামানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী জনসভায় গত মে মাসে তিনি বারবার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার কথা বলেছেন। বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তাদেরকে তল্পিতল্পা গুছিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন। তার ওই সময়ের বক্তব্যে বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছিল কড়া প্রতিক্রিয়া। আবার সেই অবস্থা ফিরে আসতে পারে আসামে তার দলের একটি র্যালিতে দেয়া সর্বশেষ মন্তব্যে। গত দু’ বছরে সেখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে হত্যাযজ্ঞ। সেখানে ধর্মীয় উত্তেজনা ক্রমবর্ধমান। সেখানেই ভারতীয় জনতা পার্টির এক সভায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, এখন যে সব রোড দিয়ে বাংলাদেশীরা আসামে প্রবেশ করে আসামকে ধ্বংস করে দিচ্ছে আমি সে সব সড়ক বন্ধ করে দেবো। তা নিশ্চিত করতে ভূমি হস্তান্তরের মতো পদক্ষেপও নিতে হতে পারে। উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বছরের পর বছর সীমান্ত সংঘাত বিদ্যমান। ছিটমহল বিনিময় থমকে আছে। মোদি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীর বিষয়টি আসামে স্থায়ী সমাধান এনে দেবে। তিনি বলেন, ভূমি হাতবদলের বিষয়টি আমি বুঝি। বুঝি যে এটা আসামের মানুষের আবেগের বিষয়। কিন্তু অল্প সময়ের জন্য কিছু হারিয়ে দীর্ঘদিনের জন্য আসাম ভাল কিছু অর্জন করবে।
কলকাতা প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী প্রশ্নে সরব হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মোদি গতকাল আসামের গুয়াহাটিতে এক কর্মীসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে তিনি সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন। এই প্রসঙ্গেই তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এটি কার্যকর করা হয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদে মানুষ উপকৃতই হবেন। তাই সংসদের সীমান্ত চুক্তি পাস করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে কলকাতায় এক জনসভায় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহও অনুপ্রবেশ প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, রাজ্যের মানুষ আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। আপনাকে বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি যে, আপনি অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার ইজারা নিয়েছেন। অমিত শাহ আরও অভিযোগ করেছেন, বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে। তাদের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত। সেই সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেন যে, সারদার অর্থও গিয়েছে বর্ধমানে জঙ্গিদের হাতে। তিনি প্রশ্ন করেন, বর্ধমানে বিস্ফোরণে নিহত শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি? এদিনের সভা থেকেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্মূল করার ডাক দিয়েছেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমা চুক্তি অনুমোদন করার পর এখন ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষেই এ ব্যাপারে সংবিধানের সংশোধনী আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এই সংশোধনী পাস করানো গেলেই ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমির বিনিময় করতে পারবে ভারত আর বাংলাদেশ। প্রস্তাবিত স্থলসীমা বিনিময় চুক্তি কার্যকর করা হলে ভারত এবং বাংলাদেশ ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমিগুলির বিনিময় করতে পারবে। ভারত আর বাংলাদেশের মোট ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় সম্ভব হবে। এর জন্য ভারতকে ১৭ হাজারের কিছু বেশি একর জমি বাংলাদেশকে দিতে হবে। ভারত পাবে সাত হাজার একরের একটু বেশি জমি। অপদখলীয় ভূমিগুলিও বিনিময় করা হবে, যার ফলে ভারত প্রায় ২৮০০ একর জমি পাবে আর বাংলাদেশকে দিতে হবে ২২৬০ একরের মতো জমি। প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই বিনিময়ের কথা ছিল। বাংলাদেশের সংসদ ওই চুক্তি অনুমোদন করে দিয়েছে বহু বছর আগে। কিন্তু ভারত বিগত চার দশকেও তা করে উঠতে পারেনি। চুক্তি অনুমোদন করতে গেলে ভারতকে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
কলকাতা প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী প্রশ্নে সরব হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মোদি গতকাল আসামের গুয়াহাটিতে এক কর্মীসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে তিনি সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন। এই প্রসঙ্গেই তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এটি কার্যকর করা হয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদে মানুষ উপকৃতই হবেন। তাই সংসদের সীমান্ত চুক্তি পাস করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে কলকাতায় এক জনসভায় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহও অনুপ্রবেশ প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, রাজ্যের মানুষ আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। আপনাকে বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি যে, আপনি অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার ইজারা নিয়েছেন। অমিত শাহ আরও অভিযোগ করেছেন, বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে। তাদের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত। সেই সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেন যে, সারদার অর্থও গিয়েছে বর্ধমানে জঙ্গিদের হাতে। তিনি প্রশ্ন করেন, বর্ধমানে বিস্ফোরণে নিহত শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি? এদিনের সভা থেকেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্মূল করার ডাক দিয়েছেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমা চুক্তি অনুমোদন করার পর এখন ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষেই এ ব্যাপারে সংবিধানের সংশোধনী আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এই সংশোধনী পাস করানো গেলেই ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমির বিনিময় করতে পারবে ভারত আর বাংলাদেশ। প্রস্তাবিত স্থলসীমা বিনিময় চুক্তি কার্যকর করা হলে ভারত এবং বাংলাদেশ ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমিগুলির বিনিময় করতে পারবে। ভারত আর বাংলাদেশের মোট ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় সম্ভব হবে। এর জন্য ভারতকে ১৭ হাজারের কিছু বেশি একর জমি বাংলাদেশকে দিতে হবে। ভারত পাবে সাত হাজার একরের একটু বেশি জমি। অপদখলীয় ভূমিগুলিও বিনিময় করা হবে, যার ফলে ভারত প্রায় ২৮০০ একর জমি পাবে আর বাংলাদেশকে দিতে হবে ২২৬০ একরের মতো জমি। প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই বিনিময়ের কথা ছিল। বাংলাদেশের সংসদ ওই চুক্তি অনুমোদন করে দিয়েছে বহু বছর আগে। কিন্তু ভারত বিগত চার দশকেও তা করে উঠতে পারেনি। চুক্তি অনুমোদন করতে গেলে ভারতকে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
No comments