রাজশাহী আলীগের নেতৃত্ব দখলে এমপিদের দৌড়ঝাঁপ
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী জেলা
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
অন্যদিকে শীর্ষ পদগুলো পেতে দলীয় এমপিরা শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। আগামী ৬
ডিসেম্বর হবে এ কাউন্সিল। এদিকে নিজ নিজ এলাকার বাইরে সম্ভাব্য
কাউন্সিলরদের ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে ছুটছেন পদপ্রত্যাশী কয়েকজন সংসদ
সদস্য। সভাপতি পদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির প্রার্থী
হওয়ার খবরে চাঞ্চল্যের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র
প্রতিক্রিয়া। নিজ নির্বাচনী এলাকা চারঘাট-বাঘার বাইরে দলের নেতাকর্মীদের
মাঝে তার বিশদ পরিচিতি না থাকায় কাউন্সিলরদের কতটা সমর্থন তিনি পাবেন তা
নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে শাহরিয়ার আলম সভাপতি পদে প্রার্থী হলে এ পদে
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তারও আভাস পাওয়া গেছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরেই চলছে সব তৎপরতা। লবিং-গ্র“পিং আর ম্যানেজ প্রক্রিয়াও শীর্ষ এই দুই পদকে কেন্দ্র করে চলছে যথানিয়মে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। ফলে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচিত হবেন- এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। এবার এমপিরা শীর্ষ পদে প্রার্থী হওয়ায় কাউন্সিলরদের কদর বেড়ে গেছে।
এদিকে রোববার রাজশাহী আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সর্বশেষ সভা লক্ষ্মীপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার দলীয় ৫ এমপি ছাড়াও সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সম্মেলনকে সফল করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় এ সভায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে শেষবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক সভাপতি ও ওমর ফারুক চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠিত হয়। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত পালন না করায় তাজুল ইসলাম ফারুককে অব্যাহতি দিয়ে মেরাজ উদ্দিন মোল্লাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় কেন্দ্র থেকে। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ নিজেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দিয়ে আকতার জাহান এমপিকে জেলা কমিটির সভাপতি করা হয় কেন্দ্র থেকে। শেষ পর্যন্ত জানুয়ারির নির্বাচনের পর ৯ বছর পরে ঘোষণা করা হয় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদে কাউন্সিলরদের সমর্থন পেতে ছোটাছুটি করছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। একই পদে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বর্তমান সভাপতি আকতার জাহান এমপি। বর্তমান কমিটির সহসভাপতি নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডুও সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা না করলেও তার ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা কয়েকদিন আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা ও বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাবলু সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন অনুগামী নেতাকর্মীদের। সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে আকতার জাহান এমপি যুগান্তরকে বলেন, আমার শেকড় আওয়ামী লীগে। নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছি আজীবন। আমি আজীবন তাদের সঙ্গেই থাকতে চাই। আশা করি, নেতাকর্মীরা আমাকে সমর্থন দেবেন। জেলায় দলকে সংগঠিত করার পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার দাবি করে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি যুগান্তরকে বলেন, রাজশাহীতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। যেখানে যখন প্রয়োজন হয়েছে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। রাজশাহীতে দলের ভিত্তি মজবুত করতে রাতদিন শ্রম দিয়েছি। নেতাকর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববারের সভায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে স্মরণীয় করতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। সুশৃংখল আয়োজনের পাশাপাশি কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা না তোলারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্র জানায়, এমপিরাই কাউন্সিলের সমস্ত ব্যয় নির্বাহ করবেন।
এদিকে জেলার ১৩টি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে ৫ জন করে মোট ৬৫ জন বিশেষ কাউন্সিলর হবেন। প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার জন্য ১ জন করে হিসাবে জেলায় কাউন্সিলর হবেন ৩০০ জন। সবচেয়ে বেশি ৪০ জন কাউন্সিলর হবেন বাগমারা থেকে। কাউন্সিল হবে দুটি অধিবেশনে। আনুমানিক খরচ হবে ৫০ লাখ টাকা। কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি যুগান্তরকে বলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন হবে অন্যরকম। সম্মেলন উপলক্ষে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরেই চলছে সব তৎপরতা। লবিং-গ্র“পিং আর ম্যানেজ প্রক্রিয়াও শীর্ষ এই দুই পদকে কেন্দ্র করে চলছে যথানিয়মে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। ফলে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচিত হবেন- এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। এবার এমপিরা শীর্ষ পদে প্রার্থী হওয়ায় কাউন্সিলরদের কদর বেড়ে গেছে।
এদিকে রোববার রাজশাহী আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সর্বশেষ সভা লক্ষ্মীপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার দলীয় ৫ এমপি ছাড়াও সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সম্মেলনকে সফল করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় এ সভায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে শেষবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক সভাপতি ও ওমর ফারুক চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠিত হয়। তবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত পালন না করায় তাজুল ইসলাম ফারুককে অব্যাহতি দিয়ে মেরাজ উদ্দিন মোল্লাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় কেন্দ্র থেকে। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ নিজেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দিয়ে আকতার জাহান এমপিকে জেলা কমিটির সভাপতি করা হয় কেন্দ্র থেকে। শেষ পর্যন্ত জানুয়ারির নির্বাচনের পর ৯ বছর পরে ঘোষণা করা হয় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদে কাউন্সিলরদের সমর্থন পেতে ছোটাছুটি করছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। একই পদে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বর্তমান সভাপতি আকতার জাহান এমপি। বর্তমান কমিটির সহসভাপতি নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডুও সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা না করলেও তার ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা কয়েকদিন আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা ও বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাবলু সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন অনুগামী নেতাকর্মীদের। সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে আকতার জাহান এমপি যুগান্তরকে বলেন, আমার শেকড় আওয়ামী লীগে। নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছি আজীবন। আমি আজীবন তাদের সঙ্গেই থাকতে চাই। আশা করি, নেতাকর্মীরা আমাকে সমর্থন দেবেন। জেলায় দলকে সংগঠিত করার পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার দাবি করে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি যুগান্তরকে বলেন, রাজশাহীতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। যেখানে যখন প্রয়োজন হয়েছে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। রাজশাহীতে দলের ভিত্তি মজবুত করতে রাতদিন শ্রম দিয়েছি। নেতাকর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববারের সভায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে স্মরণীয় করতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। সুশৃংখল আয়োজনের পাশাপাশি কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা না তোলারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্র জানায়, এমপিরাই কাউন্সিলের সমস্ত ব্যয় নির্বাহ করবেন।
এদিকে জেলার ১৩টি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে ৫ জন করে মোট ৬৫ জন বিশেষ কাউন্সিলর হবেন। প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার জন্য ১ জন করে হিসাবে জেলায় কাউন্সিলর হবেন ৩০০ জন। সবচেয়ে বেশি ৪০ জন কাউন্সিলর হবেন বাগমারা থেকে। কাউন্সিল হবে দুটি অধিবেশনে। আনুমানিক খরচ হবে ৫০ লাখ টাকা। কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি যুগান্তরকে বলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন হবে অন্যরকম। সম্মেলন উপলক্ষে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
No comments