ঘাটাইল ছেড়ে পালিয়েছেন সংসদ সদস্য রানা
টাঙ্গাইল-৩
(ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে এলাকায় পাওয়া
যাচ্ছে না। সর্বশেষ তিন সপ্তাহ আগে তাকে ঘাটাইলে দেখা যায়। এরপর থেকে তাকে
তার ঘাটাইল পৌর এলাকা এবং টাঙ্গাইল কলেজপাড়ার বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। তার
পরিবারের লোকজনও বাড়ি দুটিতে নেই। বাড়িগুলো পাহারা দিচ্ছেন দুজন
কেয়ারটেকার। সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা জানান, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ
নেই। কোথায় আছেন তাও জানেন না। বেশ কিছুদিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায়
তারাও যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার
ভয়ে আমানুর রহমান খান রানা পালিয়েছেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক
নেতাকর্মী জানিয়েছেন। এতে তারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও দ্রুত গ্রেফতার দাবি
করেছেন। সংসদ সদস্য ঢাকায় একজন সাবেক মন্ত্রীর হেফাজতে আছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ
একটি সূত্র জানিয়েছে। রোববার ঘাটাইল পৌর এলাকায় এমপি রানার বাড়িতে খোঁজ
নিয়ে জানা যায়, তিনি সেখানে নেই। কেয়ারটেকার আবদুল হামিদ বলেন, এমপি রানা ৯
নভেম্বরের পর আর ঘাটাইল ঢোকেননি। কোথায় আছেন তা বলতে পারি না। টাঙ্গাইল
কলেজপাড়ার বাসাতে এমপি রানার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যরা থাকতেন। গতকাল খোঁজ
নিয়ে জানা যায়, তারাও কেউ বাড়িতে নেই। ৯ নভেম্বর বাড়ির সবাই ঢাকার উদ্দেশে
রওনা দেন বলে কেয়ারটেকার জানিয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগের প্রভাবশালী
নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যার ঘটনায় এমপি রানা এবং তার ৩ সহোদর
পৌর মেয়র সহিদুর রহমান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান কাকন ও
ছাত্রলীগের সানিয়াত খান বাপ্পার নাম এসেছে। গ্রেফতার দু’জন আসামি
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে এমপি ও তার ভাইদের জড়িত থাকার
কথা বলেন। এরপর থেকে তাদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে। তখন তারা প্রকাশ্যেই
ছিলেন। সম্প্রতি তারা আÍগোপন করেন।
এর মধ্যে কাকন ও বাপ্পা বিদেশ গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। পৌর মেয়র মুক্তি বুধবার সর্বশেষ অফিস করেন। সেদিন তিনি তিন মাসের ছুটি নেন। এরপর থেকে এলাকায় তাকে দেখা যাচ্ছে না। তার বাড়িতেও কেউ নেই। ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল কবির বলেন, এমপি রানার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল সংসদ অধিবেশন বসার আগে। তারপর বিভিন্ন সময়ে তার কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করে চালান দেয়া হলেও তাদের বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য ফোন করেননি। এর আগে যে কোনো আসামি ধরলেই ফোন করতেন। ওসি জানান, ৯ নভেম্বরের পর এমপি টাঙ্গাইল বা ঘাটাইল আসেননি। তার সমর্থকরাও গা ঢাকা দিয়েছে। ঘাটাইল উপজেলার আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম লেবু যুগান্তরকে বলেন, রানা এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক। তার ক্যাডারদের হাতে আওয়ামী লীগেরই অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফারুক হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে ঘাটাইলবাসী খুশি হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, এমপি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, জুয়াড়–, সন্ত্রাসীসহ অপরাধীদের প্রাধান্য দিচ্ছিলেন। এতে এলাকায় দলীয় নেতৃত্বে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। পাশাপাশি এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। তার অনুসারীরা এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, চুক্তিতে সালিশ-দরবার করাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ২ নভেম্বর ধলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় এমপির অনুসারীরা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের জিম্মি করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে চালের বস্তা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ধলাপাড়া চন্দন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনে এমপির লোককে সভাপতি করার জন্য গভীর রাতে প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রের মুখে নোটিশ ও রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নেয়। সাড়ে তিনশ’ শিক্ষার্থী স্বাক্ষর দিয়ে এমপির কাছে নালিশ করেও কোনো ফায়দা হয়নি।
এর মধ্যে কাকন ও বাপ্পা বিদেশ গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। পৌর মেয়র মুক্তি বুধবার সর্বশেষ অফিস করেন। সেদিন তিনি তিন মাসের ছুটি নেন। এরপর থেকে এলাকায় তাকে দেখা যাচ্ছে না। তার বাড়িতেও কেউ নেই। ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল কবির বলেন, এমপি রানার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল সংসদ অধিবেশন বসার আগে। তারপর বিভিন্ন সময়ে তার কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করে চালান দেয়া হলেও তাদের বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য ফোন করেননি। এর আগে যে কোনো আসামি ধরলেই ফোন করতেন। ওসি জানান, ৯ নভেম্বরের পর এমপি টাঙ্গাইল বা ঘাটাইল আসেননি। তার সমর্থকরাও গা ঢাকা দিয়েছে। ঘাটাইল উপজেলার আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম লেবু যুগান্তরকে বলেন, রানা এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক। তার ক্যাডারদের হাতে আওয়ামী লীগেরই অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফারুক হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে ঘাটাইলবাসী খুশি হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, এমপি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, জুয়াড়–, সন্ত্রাসীসহ অপরাধীদের প্রাধান্য দিচ্ছিলেন। এতে এলাকায় দলীয় নেতৃত্বে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। পাশাপাশি এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। তার অনুসারীরা এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, চুক্তিতে সালিশ-দরবার করাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ২ নভেম্বর ধলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় এমপির অনুসারীরা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের জিম্মি করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে চালের বস্তা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ধলাপাড়া চন্দন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনে এমপির লোককে সভাপতি করার জন্য গভীর রাতে প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রের মুখে নোটিশ ও রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নেয়। সাড়ে তিনশ’ শিক্ষার্থী স্বাক্ষর দিয়ে এমপির কাছে নালিশ করেও কোনো ফায়দা হয়নি।
No comments