টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-সরকার আন্তরিক হলে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সম্ভব

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উত্সাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।


শেখ নাসির, চাকরিজীবী
বেনাপোল, যশোর
এ মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা মনে হয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছেন না। তাঁদের প্রয়োজনীয় জনবল, অস্ত্র, গাড়ি এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম প্রদান করতে হবে। বেতন-ভাতাদি বাড়াতে হবে। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে মনে হয়।
তুষার কান্তি বণিক, চাকরিজীবী
ডেল্টা হাসপাতাল, ঢাকা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অধিকতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বর্তমানে যে অবনতি ঘটছে, তার স্বল্পমেয়াদি সমাধান হিসেবে একজন সেনা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল গঠন করা উচিত।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, উন্নয়নকর্মী
রিকাবীবাজার, মুন্সিগঞ্জ
পুলিশি আইনে সময়োপযোগী সংস্কার নিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর ওপর রাজনৈতিক প্রভাব অত্যন্ত তীব্র থাকার কারণে জনগণ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এম এ গফুর, প্রকৌশলী
লালখানবাজার, চট্টগ্রাম
যত দিন পুলিশ বাহিনীকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা না দেওয়া হবে, তত দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির টেকসই উন্নতি হবে না। যেমন—পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ইত্যাদি কাজে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বার বার অবনতি রোধ করার কোনো আশা করা যায় না। পুলিশ আসামি ধরলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের ছাড়িয়ে নেন, নানা হুমকিধমকি দেন। তাই তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভয় পায়।
মো. আকবর হোসেন, শিক্ষার্থী
রাজশাহী কলেজ
সম্প্রতি চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধ বেড়ে গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এগুলো উঠে আসছে। সরকার চাইলে এগুলো দমন করতে পারে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর প্রমাণ রেখেছিল। তাই এসব অপরাধ দমনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ রইল।
জাহেদুর রহমান, শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা শুধু পুলিশ দিয়ে হয় না। জনগণের সচেতন সম্পৃক্ততা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ছিনতাই ঘটে বহু মানুষের সামনে কিন্তু তারা তা প্রতিহত করতে কোনো ভূমিকা নেয় না, নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা নেয়। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
আকতার হোসেন, শিক্ষক
উত্তরখান, ঢাকা
বর্তমানে চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাঘাত ঘটছে, এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও হামলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সজল বিশ্বাস, শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সাম্প্রতিককালে ঢাকাসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, গুপ্তহত্যা এখন ঘন ঘন ঘটে চলেছে। কূটনৈতিকপাড়ায় ছিনতাই এবং পুলিশ হত্যার মতো ঘটনা প্রমাণ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূইয়া, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পুলিশের দায়িত্ব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা নিজেরাই এখন নিরাপত্তাহীনতার শিকার। সন্ত্রাসীদের হাতে পুলিশ নিহত ও হামলার শিকার হচ্ছে কিছু দিন পর পর। এতে বোঝা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা অবনতি হয়েছে। আর এ পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। অবলিম্বে মূল সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
তানিম আহমেদ, শিক্ষার্থী
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমরা পত্রিকায় পড়ছি, এখানে-সেখানে চুরি হয়েছে, ডাকাতি হয়েছে, কেউ আহত, কেউ খুন হয়েছে। কিন্তু এসব অপরাধ যারা করছে তাদের প্রতিহত করার বদলে অনেকক্ষেত্রে পুলিশ তাদের সাহায্য করে। আমি এখানে প্রথম আলোর স্লোগান তুলে ধরব, বদলে যাও বদলে দাও, আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বদলাতে হবে। তবেই তারা দেশকে বদলাতে পারবে।
মাহেরু ইসলাম, শিক্ষার্থী
মীরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ
যেকোনো মূল্যে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করলে আমার মনে হয় আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে। বন্ধ মিলকারখানা খুলে দিতে হবে।
শ্রীশান্ত, শিক্ষার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমার মতে, বর্তমান সরকার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত উন্নতি করতে পারেনি।
এস এম সাইফুল্লাহ খালেদ, মুক্ত সাংবাদিক
কুতুবদিয়া, কক্সবাজার
চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের শাস্তি যথাযথভাবে দ্রুত প্রয়োগ না হওয়ায়, প্রকৃত অপরাধীদের পাশ কাটিয়ে বারবার নিরীহ মানুষের ওপর দোষ চাপানোর ব্যবস্থা থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে সততা ও নিরপেক্ষতার পরিবর্তে ইচ্ছাকৃত অনিয়ম বেড়ে যায়।
এস আলম, ব্যবসায়ী
শ্রীপুর, গাজীপুর
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির অবনতির মূল কারণ, অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।
এম শয়ন, শিক্ষার্থী
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আইন প্রয়োগের ব্যবস্থায় অনেক সমস্যা আছে। তাই এসব সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।
ওয়াসেল সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অবৈধ টাকার জন্য পুলিশ-ডাকাত বন্ধু হয়ে যায়। এর মূল কারণ, সারা দেশে দুর্নীতির অবাধ রাজত্ব। সরকারকে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
বিশ্বজিত সেন, কবি ও গল্পকার, চট্টগ্রাম
আমার মনে হয়, সরকার শক্ত হাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে, যদি সরষের ভেতর লুকিয়ে থাকা ভূতগুলোকে সময়মতো বের করে দিতে পারে।
শেখ সাদী, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবশ্যই বড় অবনতি হয়েছে। সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর প্রভাব খাটাচ্ছে। সরকার কঠোর হস্তে সন্ত্রাস দমন করা উচিৎ।
ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক, রাজশাহী
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা দুর্বল নয়। অতএব, তারা চাইলেই এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। কিন্তু সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে দশা তাতে মনে হয়, দেশে কোনো সরকার নেই।
মণি অরণ্য, কৃষক, নবীনগর, সাভার
যেদিন যায়, ভালো যায়। এই প্রবাদ বাক্য অনুসারে আমরা যথারীতি এগোচ্ছি। এখন বড় অপরাধ-প্লাবিত সময়; এসব নিয়ন্ত্রণ সম্ভব এবং জরুরি। সামাজিক সন্ত্রাস বেড়ে গেলে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি নাজুক হয়ে পড়ে। তাই আমাদের প্রত্যাশা, জনগণ অসুস্থ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক স্বস্তি নিয়ে।
মিরাজাউল ইসলাম, শিক্ষার্থী
মীর কাদিম, মুন্সিগঞ্জ
সন্ত্রাসীরা এখন পুলিশকে ভয় পায় না। অনেক সন্ত্রাসী সব অপকর্ম থেকে অর্জিত টাকা পুলিশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়। তাই শুধু পুলিশ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা যাবে না। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আবারও যৌথ বাহিনীকে মাঠে নামানো যেতে পারে।
হাসিব হোসেন, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিএএফ শাহীন কলেজ
সাধারণ পুলিশরাই মাঠে কাজ করে থাকে, যাদের বেতন কাঠামো বাজার মূল্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তাদের কর্মঘণ্টাও বেশি। তাদের যানবাহন ও আধুনিক অস্ত্রের অভাব। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে পুলিশের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
এইচ এম ডি ইব্রাহিম, শিক্ষার্থী, জামালপুর
চুরি, হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি আজ আমাদের দেশে মামুলি ব্যাপার। চোর-ডাকাত ও চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্য হয়েছে দেশ। এই চরম অবস্থা থেকে বর্তমান সরকার বেরিয়ে আসতে পারবে বলে আমি মনে করি না।
উত্পল কুমার, শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেমন হওয়ার কথা বর্তমানে তেমন নেই। আমার মনে হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধী দলের দোষ না দিয়ে এর সমাধানের চেষ্টা করলেই ভালো হয়।
ওয়াহিদ মুরাদ
স্বরূপকাঠী, পিরোজপুর
ঈদের সময় এগিয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রায়ই খারাপ হয়ে পড়ে। এবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরাও রেহাই পাচ্ছেন না। সরকারকের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানাব, চিহ্নিত দাগি আসামি কিংবা থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আটক করার জন্য।

No comments

Powered by Blogger.