পাহাড়ে অবৈধ বসতি স্থাপন রোধ করুন-দেশটা যেন রাডারবিহীন হয়ে না পড়ে
আমাদের মতো সমুদ্র-উপকূলবর্তী দেশে সারা বছর ঘূর্ণিঝড়-সামুুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস লেগেই থাকে। তাই রাডার ছাড়া চলা মুশকিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে যে কক্সবাজারে একটি পাহাড় কেটে অবৈধ জনবসতি গড়ে তোলায় সেই পাহাড়চূড়ায় স্থাপিত উন্নত প্রযুক্তির ডপলার রাডার স্টেশনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়া বিপর্যয়ে সৃষ্ট নিম্নচাপ, লঘুচাপসহ প্রতিরক্ষাবিষয়ক নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত এই রাডার স্টেশনের সাহায্যে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়। পাহাড় যদি ধসে পড়ে, তাহলে আক্ষরিক অর্থেই দেশটি রাডারবিহীন দশায় পড়বে; কারণ ঢাকা, রংপুর ও খেপুপাড়ায় যে তিনটি রাডার স্টেশন রয়েছে, তা নিম্নচাপের আগাম সংবাদ দিয়ে দেশকে নিরাপদে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রথম শ্রেণীর জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) হিসেবে রাডার কেন্দ্রটি যতটা সরকারি নিরাপত্তা পাওয়ার কথা, তা সেখানে নেই। এখানে প্রায় সোয়া চার একর সরকারি খাসজমিতে প্রথম রাডার কেন্দ্র স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এক ছটাক জমিও বরাদ্দ বা রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তার জন্য আনসার পুলিশও পাওয়া যাচ্ছে না। এই সুযোগে চুরি হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সরকারেরই গরজ কম। না হলে রাডার কেন্দ্রকে জমি লিখে দিতে এত কার্পণ্য কেন? আর সরকার যদি নিস্পৃহ হয়, তাহলে উদ্বাস্তু মানুষের অবৈধ বসতি রোধের প্রথম শর্তটিই তো অনুপস্থিত হয়ে যায়। তাই সর্বাগ্রে সরকারকে সজাগ হতে হবে।
পাহাড়ধসের আশঙ্কা কোনো অংশে অমূলক নয়। গত বর্ষায় স্টেশনের পশ্চিম অংশে ব্যাপক হারে পাহাড়ধসের ফলে রাডারটি এখন ঝুঁকির মুখে। অথচ জমির মালিকানাসংক্রান্ত দলিলপত্র না থাকায় অবৈধ বসতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারও সেখানে বাসা বেঁধেছে। রাডার কেন্দ্রটি এখন শুধু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির মধ্যেই নয়, অন্তর্ঘাতমূলক তত্পরতার শিকারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেও পড়েছে।
রাডার কেন্দ্রটি তৈরিতে জাপান সরকার ৮৫ কোটি টাকা দিয়েছে। তাদের প্রকৌশলীদের নকশায় এটি নির্মিত হয়েছে। এখন যদি আমাদের অবহেলা-অসতর্কতায় রাডার কেন্দ্রটি বিপন্ন হয়, তাহলে দেশের বিপদ তো হবেই, সুনামও ক্ষুণ্ন হবে। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই।
প্রথম শ্রেণীর জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) হিসেবে রাডার কেন্দ্রটি যতটা সরকারি নিরাপত্তা পাওয়ার কথা, তা সেখানে নেই। এখানে প্রায় সোয়া চার একর সরকারি খাসজমিতে প্রথম রাডার কেন্দ্র স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এক ছটাক জমিও বরাদ্দ বা রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তার জন্য আনসার পুলিশও পাওয়া যাচ্ছে না। এই সুযোগে চুরি হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সরকারেরই গরজ কম। না হলে রাডার কেন্দ্রকে জমি লিখে দিতে এত কার্পণ্য কেন? আর সরকার যদি নিস্পৃহ হয়, তাহলে উদ্বাস্তু মানুষের অবৈধ বসতি রোধের প্রথম শর্তটিই তো অনুপস্থিত হয়ে যায়। তাই সর্বাগ্রে সরকারকে সজাগ হতে হবে।
পাহাড়ধসের আশঙ্কা কোনো অংশে অমূলক নয়। গত বর্ষায় স্টেশনের পশ্চিম অংশে ব্যাপক হারে পাহাড়ধসের ফলে রাডারটি এখন ঝুঁকির মুখে। অথচ জমির মালিকানাসংক্রান্ত দলিলপত্র না থাকায় অবৈধ বসতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারও সেখানে বাসা বেঁধেছে। রাডার কেন্দ্রটি এখন শুধু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির মধ্যেই নয়, অন্তর্ঘাতমূলক তত্পরতার শিকারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যেও পড়েছে।
রাডার কেন্দ্রটি তৈরিতে জাপান সরকার ৮৫ কোটি টাকা দিয়েছে। তাদের প্রকৌশলীদের নকশায় এটি নির্মিত হয়েছে। এখন যদি আমাদের অবহেলা-অসতর্কতায় রাডার কেন্দ্রটি বিপন্ন হয়, তাহলে দেশের বিপদ তো হবেই, সুনামও ক্ষুণ্ন হবে। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই।
No comments