শিনা চৌহান-ক্রিকেটের পরে গান by কল্লোল মেহেদী
শিনা চৌহান। ভারতের এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় মডেল। হয়েছেন ‘ল্যাকমে মিস কলকাতা’। ২০১০ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স—আই অ্যাম শি’ প্রতিযোগিতায় জিতেছেন ‘আই অ্যাম ভয়েস’ পুরস্কার। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট’।
এই আয়োজন নিয়ে তৈরি প্রতিদিনের টিভি অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপনা করেছেন শিনা। খেলা শুরুর আগে, মধ্যবিরতি এবং শেষে টিভির পর্দায় দর্শক দেখেছেন তাঁকে।
আবারও ঢাকায় এসেছেন শিনা। ক্রিকেট নয়, শিনা এবার উপস্থাপনা করছেন গানের অনুষ্ঠান। নাম গ্রামীণফোন প্রেজেন্টস টিউন ফ্যাক্টরি। চ্যানেল নাইনে আজ রাতে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠানটি।
গত ২৯ মে থেকে এফডিসির নয় নম্বর ফ্লোরে অনুষ্ঠানটির ধারণকাজ হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে গান করছেন ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, তপু, হূদয় খান, রাফা, ওয়ারফেজ, লালন, পাওয়ারসার্জ, শিরোনামহীন, শূন্য, নেমেসিস ও ক্রিপটিক ফেইট।
এফডিসির শুটিং ফ্লোরে নয়, সোমবার সকালে শিনার সঙ্গে কথা হলো হোটেল সোনারগাঁওয়ে, তাঁর রুমে। এফডিসিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
শিনা চৌহানের বাবা প্রয়াত কুলওয়ান্ত সিং চৌহান ছিলেন পাঞ্জাবের আর মা হ্যারি চৌহান কলকাতার। শিনা খুব ভালো বাংলা বলেন। জানালেন, ছোটবেলা থেকে তিনি কলকাতাতেই আছেন, পড়াশোনাও সেখানে।
শুরুতেই বিপিএল-প্রসঙ্গ। শিনা বললেন, ‘আগেই বলে রাখি, আমি কিন্তু কোনো ক্রিকেট-বিশেষজ্ঞ নই। ক্রিকেট ভালোবাসি। মাঠে, মাঠের বাইরে অনেক খেলা দেখেছি। কিন্তু বিপিএল ছিল অন্য রকম। পুরো আয়োজনটি আমি উপস্থাপনা করেছি। এটা ছিল আমার জন্য বড় সম্মান।’
বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পর আবারও শিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চ্যানেল নাইন। গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে হবে তাঁকে। শিনা জানালেন, ছোটবেলা থেকে তিনি বেহালা বাজান। তখন থেকেই সংগীতের প্রতি তাঁর আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। অবসর পেলেই গান শোনেন, সিনেমা দেখেন। বাংলাদেশের শিল্পীদের গান শুনেছেন ইউটিউবে। নিজের মতো করে একটা ইতিবাচক ধারণা নিয়ে এসেছেন। কিন্তু উপস্থাপনা শুরু করার পর সেই ধারণা আরও দৃঢ় হলো। বললেন, ‘বাংলাদেশের এ সময়ের ছেলেমেয়েরা কিন্তু দারুণ গান করছেন। তাঁদের গান, গানের কথা, সুর, সংগীতায়োজন, গানের পেছনের ভাবনা, দর্শন—সব শুনে আমি মুগ্ধ।’
‘মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স—আই অ্যাম শি’ প্রতিযোগিতা নিয়ে বললেন, ‘এই প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাকে আলাদা একটা পরিচিতি এনে দিয়েছে।’
শিনা জানালেন, এই প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রশিক্ষক ছিলেন ১৯৯৪ সালের ‘মিস ইউনিভার্স’ সুস্মিতা সেন। শিনা প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ পেয়েছেন তাঁর কাছ থেকেই।
শিনা এখন জাতিসংঘের ‘ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস’ প্রোগ্রামের শুভেচ্ছা দূত হয়ে কাজ করছেন।
দুই বছরে শিনা অভিনয় করেছেন তিনটি চলচ্চিত্রে। প্রথমটি দক্ষিণের মালয়ালম ভাষায়, নাম দ্য ট্রেন। এরপর অভিনয় করেছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের দুটি হিন্দি ছবি মুক্তি ও পত্রলেখায়। এই দুটি ছবিই বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত তৈরি করছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা অবলম্বনে। দুটি ছবিরই শুটিং শেষ, এখন চলছে শুটিং-পরবর্তী কাজ। শিনা জানান, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের পরের ছবিতেও তিনি অভিনয় করবেন। আর নতুনটি হবে বাংলায়।
ছোটবেলা থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন শিনা। স্কুলে থাকতেই অভিনয় করেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের এ মিডসামার নাইটস ড্রিম নাটকে। এরপর অভিনয় করেছেন অনেক নাটকে।
ছবিতে কাজ শুরু করার আগে শিনাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়ার জন্য বলেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। শিনা বললেন, ‘আমি কবিতা পড়তে দারুণ ভালোবাসি। প্লিজ আবার জিজ্ঞেস করবেন না, কবিতা লিখি কি না।’
বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সময় ২৫ দিন আর এবার থাকছেন ১০ দিন। শিনা জানালেন, ঢাকা ঘুরে দেখার খুব শখ ছিল তাঁর। কিন্তু কাজের চাপে তা হয়নি। বাংলাদেশের সন্দেশ খেয়েছেন, মাছ খেয়েছেন। শুটিংয়ের সময় খুব বেশি খাওয়া হয় মুড়ি আর চা। শাড়ির প্রতি রয়েছে দুর্বলতা। এরই মধ্যে উপহার হিসেবে পেয়েছেন জামদানি।
শিনা কলকাতা ফিরে যাচ্ছেন ১০ জুন। আজ গ্রামীণফোন প্রেজেন্টস টিউন ফ্যাক্টরির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। বললেন, ‘রাতে শুটিংয়ের ফাঁকেই সেটে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব দেখব।’
আবারও ঢাকায় এসেছেন শিনা। ক্রিকেট নয়, শিনা এবার উপস্থাপনা করছেন গানের অনুষ্ঠান। নাম গ্রামীণফোন প্রেজেন্টস টিউন ফ্যাক্টরি। চ্যানেল নাইনে আজ রাতে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠানটি।
গত ২৯ মে থেকে এফডিসির নয় নম্বর ফ্লোরে অনুষ্ঠানটির ধারণকাজ হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে গান করছেন ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, তপু, হূদয় খান, রাফা, ওয়ারফেজ, লালন, পাওয়ারসার্জ, শিরোনামহীন, শূন্য, নেমেসিস ও ক্রিপটিক ফেইট।
এফডিসির শুটিং ফ্লোরে নয়, সোমবার সকালে শিনার সঙ্গে কথা হলো হোটেল সোনারগাঁওয়ে, তাঁর রুমে। এফডিসিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
শিনা চৌহানের বাবা প্রয়াত কুলওয়ান্ত সিং চৌহান ছিলেন পাঞ্জাবের আর মা হ্যারি চৌহান কলকাতার। শিনা খুব ভালো বাংলা বলেন। জানালেন, ছোটবেলা থেকে তিনি কলকাতাতেই আছেন, পড়াশোনাও সেখানে।
শুরুতেই বিপিএল-প্রসঙ্গ। শিনা বললেন, ‘আগেই বলে রাখি, আমি কিন্তু কোনো ক্রিকেট-বিশেষজ্ঞ নই। ক্রিকেট ভালোবাসি। মাঠে, মাঠের বাইরে অনেক খেলা দেখেছি। কিন্তু বিপিএল ছিল অন্য রকম। পুরো আয়োজনটি আমি উপস্থাপনা করেছি। এটা ছিল আমার জন্য বড় সম্মান।’
বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পর আবারও শিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চ্যানেল নাইন। গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে হবে তাঁকে। শিনা জানালেন, ছোটবেলা থেকে তিনি বেহালা বাজান। তখন থেকেই সংগীতের প্রতি তাঁর আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। অবসর পেলেই গান শোনেন, সিনেমা দেখেন। বাংলাদেশের শিল্পীদের গান শুনেছেন ইউটিউবে। নিজের মতো করে একটা ইতিবাচক ধারণা নিয়ে এসেছেন। কিন্তু উপস্থাপনা শুরু করার পর সেই ধারণা আরও দৃঢ় হলো। বললেন, ‘বাংলাদেশের এ সময়ের ছেলেমেয়েরা কিন্তু দারুণ গান করছেন। তাঁদের গান, গানের কথা, সুর, সংগীতায়োজন, গানের পেছনের ভাবনা, দর্শন—সব শুনে আমি মুগ্ধ।’
‘মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স—আই অ্যাম শি’ প্রতিযোগিতা নিয়ে বললেন, ‘এই প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাকে আলাদা একটা পরিচিতি এনে দিয়েছে।’
শিনা জানালেন, এই প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রশিক্ষক ছিলেন ১৯৯৪ সালের ‘মিস ইউনিভার্স’ সুস্মিতা সেন। শিনা প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ পেয়েছেন তাঁর কাছ থেকেই।
শিনা এখন জাতিসংঘের ‘ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস’ প্রোগ্রামের শুভেচ্ছা দূত হয়ে কাজ করছেন।
দুই বছরে শিনা অভিনয় করেছেন তিনটি চলচ্চিত্রে। প্রথমটি দক্ষিণের মালয়ালম ভাষায়, নাম দ্য ট্রেন। এরপর অভিনয় করেছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের দুটি হিন্দি ছবি মুক্তি ও পত্রলেখায়। এই দুটি ছবিই বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত তৈরি করছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা অবলম্বনে। দুটি ছবিরই শুটিং শেষ, এখন চলছে শুটিং-পরবর্তী কাজ। শিনা জানান, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের পরের ছবিতেও তিনি অভিনয় করবেন। আর নতুনটি হবে বাংলায়।
ছোটবেলা থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন শিনা। স্কুলে থাকতেই অভিনয় করেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের এ মিডসামার নাইটস ড্রিম নাটকে। এরপর অভিনয় করেছেন অনেক নাটকে।
ছবিতে কাজ শুরু করার আগে শিনাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়ার জন্য বলেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। শিনা বললেন, ‘আমি কবিতা পড়তে দারুণ ভালোবাসি। প্লিজ আবার জিজ্ঞেস করবেন না, কবিতা লিখি কি না।’
বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সময় ২৫ দিন আর এবার থাকছেন ১০ দিন। শিনা জানালেন, ঢাকা ঘুরে দেখার খুব শখ ছিল তাঁর। কিন্তু কাজের চাপে তা হয়নি। বাংলাদেশের সন্দেশ খেয়েছেন, মাছ খেয়েছেন। শুটিংয়ের সময় খুব বেশি খাওয়া হয় মুড়ি আর চা। শাড়ির প্রতি রয়েছে দুর্বলতা। এরই মধ্যে উপহার হিসেবে পেয়েছেন জামদানি।
শিনা কলকাতা ফিরে যাচ্ছেন ১০ জুন। আজ গ্রামীণফোন প্রেজেন্টস টিউন ফ্যাক্টরির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। বললেন, ‘রাতে শুটিংয়ের ফাঁকেই সেটে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব দেখব।’
No comments