দুর্নীতিবাজ বিটিসিএল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-অপটিক্যাল ফাইবার লাইন
দেশজোড়া অপটিক্যাল ফাইবার লাইন উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই লাইন স্থাপন প্রকল্প বাস্তবে বিটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে বলি হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে, অন্যদিকে সৎ বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এই দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ হারাবেন।
আখেরে ক্ষতি হবে সরকারের টেলিযোগাযোগ-কাঠামোর এবং জনগণের সেবাপ্রাপ্তির ব্যবস্থার। অবিলম্বে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
বিটিসিএলের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পকে ২০০ কোটি টাকায় উন্নীত করেন। দুর্নীতিবাজেরা এতই বেপরোয়া হন যে বিটিসিএলের অভ্যন্তরীণ আপত্তি, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং আদালতের রায়কেও পরোয়া করা হয়নি। এ বিষয়ে খোদ বিটিসিএলের ভেতর থেকেই আপত্তি উঠেছিল। প্রকল্পের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি ব্যয়বৃদ্ধিকে বাস্তবসম্মত বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদও আপত্তি জানায়। এর আগে দরপত্র জমাদানকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটিকেই প্রাক্-যোগ্যতা যাচাই পর্যায়ে বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি আদালতে গড়ালে উন্মোচিত হয় যে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিল না। বিটিসিএলে রিভিউ প্যানেলও একই রায় দেয়। মন্ত্রণালয়ের দিক থেকেও নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কায়েমি গোষ্ঠীটি নতুন করে দরপত্র গ্রহণ না করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকেই কাজ পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে। দুর্নীতির দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে তাই অসুবিধা হওয়ার
কথা নয়। এমনকি তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে রিট করেও তারা তাদের অনিয়মকে বৈধ করার চেষ্টা করে। তাদের এই মরিয়াপনার প্রেরণা যে বর্ধিত ১১০ কোটি টাকা আত্মসাতের বাসনা, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তেও অভিযোগের সত্যতার আলামত মিলেছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বিটিসিএলের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরামর্শক ও একটি অসাধু চক্রকে চিহ্নিত করা হয়। আমরা আশা করব, এ রকম উন্মোচিত দুর্নীতির যাতে যথাযথ প্রতিকার করা হয়।
সরকারি টেলিযোগাযোগ খাতের প্রধান প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। মন্ত্রণালয়ের বাইরে একে যথেষ্ট স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। দেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে সাবলীল ও সক্ষম করার বিরাট দায়িত্ব এর ওপর। আবার এই খাতে বিপুল বাণিজ্যের ওপরও বিটিসিএলের প্রভাব রয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে এভাবে হরিলুটের খেলা চললে বিপর্যয়ের আর বাকি থাকবে না। সরকারকে অবশ্যই বিটিসিএলের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিটিসিএলের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পকে ২০০ কোটি টাকায় উন্নীত করেন। দুর্নীতিবাজেরা এতই বেপরোয়া হন যে বিটিসিএলের অভ্যন্তরীণ আপত্তি, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং আদালতের রায়কেও পরোয়া করা হয়নি। এ বিষয়ে খোদ বিটিসিএলের ভেতর থেকেই আপত্তি উঠেছিল। প্রকল্পের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি ব্যয়বৃদ্ধিকে বাস্তবসম্মত বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদও আপত্তি জানায়। এর আগে দরপত্র জমাদানকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটিকেই প্রাক্-যোগ্যতা যাচাই পর্যায়ে বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি আদালতে গড়ালে উন্মোচিত হয় যে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিল না। বিটিসিএলে রিভিউ প্যানেলও একই রায় দেয়। মন্ত্রণালয়ের দিক থেকেও নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কায়েমি গোষ্ঠীটি নতুন করে দরপত্র গ্রহণ না করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকেই কাজ পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে। দুর্নীতির দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে তাই অসুবিধা হওয়ার
কথা নয়। এমনকি তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে রিট করেও তারা তাদের অনিয়মকে বৈধ করার চেষ্টা করে। তাদের এই মরিয়াপনার প্রেরণা যে বর্ধিত ১১০ কোটি টাকা আত্মসাতের বাসনা, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তেও অভিযোগের সত্যতার আলামত মিলেছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বিটিসিএলের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরামর্শক ও একটি অসাধু চক্রকে চিহ্নিত করা হয়। আমরা আশা করব, এ রকম উন্মোচিত দুর্নীতির যাতে যথাযথ প্রতিকার করা হয়।
সরকারি টেলিযোগাযোগ খাতের প্রধান প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। মন্ত্রণালয়ের বাইরে একে যথেষ্ট স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। দেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে সাবলীল ও সক্ষম করার বিরাট দায়িত্ব এর ওপর। আবার এই খাতে বিপুল বাণিজ্যের ওপরও বিটিসিএলের প্রভাব রয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে এভাবে হরিলুটের খেলা চললে বিপর্যয়ের আর বাকি থাকবে না। সরকারকে অবশ্যই বিটিসিএলের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments