টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো ডিএসইতে দরপতন
আরও একটি পতন দিয়েই শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। আগের সপ্তাহের তুলনায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচকের পতন হয়েছে ১৫৯ পয়েন্ট। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহেও ডিএসই সূচকের পতন হয়েছে। আগের সপ্তাহে সূচকের পতন হয়েছিল ১৮২ পয়েন্ট। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল ৫ হাজার ৭২৭ দশমিক ৮০ পয়েন্ট সপ্তাহ শেষে সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৬৮ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। তবে সপ্তাহের শেষ দুই দিনে সূচক ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে বড় ধরনের পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।
শেয়ারাজারে কালো টাকা বিনিয়োগ করা হলে অর্থের উত্স সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না—এসইসি চেয়ারম্যানের এ ধরনের আশ্বাসে সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসইর সাধারণ সূচক ২০৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এছাড়া শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা বহাল, মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর ধার্যকৃত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার এবং শর্তসাপেক্ষে ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের ওপর কর হ্রাসে এনবিআরের আশ্বাসেও সপ্তাহের শেষ দিনে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় ধরনের উল্লমম্ফনে ভূমিকা রেখেছে। এদিকে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে গত সপ্তাহেও বিনিয়োগকারীরা ডিএসই চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল মতিঝিল এলাকা। তারা শেয়ারবাজারে স্থায়ী স্থিতিশীলতা ফিরে না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
সপ্তাহের লেনদেন চিত্রে দেখা যাচ্ছে, বড় ধরনের পতন দিয়েই শুরু হয় ডিএসইর লেনদেন। সপ্তাহের প্রথম দিনই ডিএসই সূচকের পতন ঘটে ১৯৪ পয়েন্টের। এর পরদিন ১৫ পয়েন্টের পতন হলেও সপ্তাহের তৃতীয় লেনদেন দিবসে ২২৫ পয়েন্টের পতন ঘটে। শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতনে সরকারের শীর্ষ মহলও বিচলিত হয়ে পড়ে। অবশেষে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এসইসি চেয়ারম্যান বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শেয়ারবজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এসইসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন এসইসি চেয়ারম্যান। বৈঠক শেষে এসইসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন পুঁজিবাজারের নিম্নমুখী প্রবণতা নিয়ে সরকারের শীর্ষ মহলের উদ্বেগের বিষয়টি জানান। তিনি কালোটাকা শেয়ারবজারে বিনিয়োগ করা হলে এনবিআর কিংবা অন্য কোনো সংস্থা থেকে অর্থের উত্স সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না বলে জানান। একই সঙ্গে এসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা বহাল, মিউচুয়াল ফান্ডের কর প্রত্যাহার এবং বিনিয়োগকারীদের লেনদেন চার্জ কমানোর শর্তে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ওপর কর ০.১০ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশ করার ব্যাপারে এনবিআরের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এনবিআর এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানান এসইসি চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের ঘোষণা ও আশ্বাসে সপ্তাহের শেষ দিনে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। একদিনেই সূচক বেড়ে যায় ২০৮ পয়েন্ট। তবে এসব ঘোষণার ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। এর আগেও বিভিন্ন ঘোষণায় বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও খুব একটা স্থায়ী হয়নি। এজন্য বিনিয়োগকারীরা এসব ঘোষণায় খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছেন না।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। প্রথম তিন কার্যদিবসে টানা দরপতনে সূচক কমে যায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। শেষ দুই দিনে বাজার ঘুরে দাঁড়ালে আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে মূলধন দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৭ কোটি ৭৯ লাখ ৩ হাজার টাকায়। এদিকে সূচক ও মূলধনের পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে তা কমে হয়েছে ৩১৯ কোটি৬ ৪ লাখ টাকায়। অর্থাত্ আগের সপ্তাহের তুলনায় দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে একদিন বেশি লেনদেন হওয়ায় মোট লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আগের সপ্তাহে মোট আর্থিক লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৩১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৭ টাকা। গত সপ্তাহে তা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৫ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৮ টাকা। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৪ কোটি ৩২ লাখ ১ হাজার ৫৭৮ টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৬৯ লাখ ৫ হাজার টাকায়। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪ লাখ ২৫ হাজার ৯১৬ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৭১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ২২৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ১২টির ও লেনদেন হয়নি ৫টির।
গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো—রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সেকেন্ড আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বার্জার পেইন্টস, পঞ্চম আইসিবি, বাটা সু, ঢাকা ব্যাংক, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড এনআরবি, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রামীণ ওয়ান স্কিম টু।
সপ্তাহের লেনদেন চিত্রে দেখা যাচ্ছে, বড় ধরনের পতন দিয়েই শুরু হয় ডিএসইর লেনদেন। সপ্তাহের প্রথম দিনই ডিএসই সূচকের পতন ঘটে ১৯৪ পয়েন্টের। এর পরদিন ১৫ পয়েন্টের পতন হলেও সপ্তাহের তৃতীয় লেনদেন দিবসে ২২৫ পয়েন্টের পতন ঘটে। শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতনে সরকারের শীর্ষ মহলও বিচলিত হয়ে পড়ে। অবশেষে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এসইসি চেয়ারম্যান বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শেয়ারবজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এসইসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন এসইসি চেয়ারম্যান। বৈঠক শেষে এসইসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন পুঁজিবাজারের নিম্নমুখী প্রবণতা নিয়ে সরকারের শীর্ষ মহলের উদ্বেগের বিষয়টি জানান। তিনি কালোটাকা শেয়ারবজারে বিনিয়োগ করা হলে এনবিআর কিংবা অন্য কোনো সংস্থা থেকে অর্থের উত্স সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না বলে জানান। একই সঙ্গে এসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা বহাল, মিউচুয়াল ফান্ডের কর প্রত্যাহার এবং বিনিয়োগকারীদের লেনদেন চার্জ কমানোর শর্তে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ওপর কর ০.১০ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশ করার ব্যাপারে এনবিআরের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এনবিআর এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানান এসইসি চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের ঘোষণা ও আশ্বাসে সপ্তাহের শেষ দিনে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। একদিনেই সূচক বেড়ে যায় ২০৮ পয়েন্ট। তবে এসব ঘোষণার ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। এর আগেও বিভিন্ন ঘোষণায় বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও খুব একটা স্থায়ী হয়নি। এজন্য বিনিয়োগকারীরা এসব ঘোষণায় খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছেন না।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। প্রথম তিন কার্যদিবসে টানা দরপতনে সূচক কমে যায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। শেষ দুই দিনে বাজার ঘুরে দাঁড়ালে আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে মূলধন দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৭ কোটি ৭৯ লাখ ৩ হাজার টাকায়। এদিকে সূচক ও মূলধনের পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে তা কমে হয়েছে ৩১৯ কোটি৬ ৪ লাখ টাকায়। অর্থাত্ আগের সপ্তাহের তুলনায় দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে একদিন বেশি লেনদেন হওয়ায় মোট লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আগের সপ্তাহে মোট আর্থিক লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৩১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৭ টাকা। গত সপ্তাহে তা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৫ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৮ টাকা। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৪ কোটি ৩২ লাখ ১ হাজার ৫৭৮ টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৬৯ লাখ ৫ হাজার টাকায়। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪ লাখ ২৫ হাজার ৯১৬ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৭১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ২২৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ১২টির ও লেনদেন হয়নি ৫টির।
গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো—রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সেকেন্ড আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বার্জার পেইন্টস, পঞ্চম আইসিবি, বাটা সু, ঢাকা ব্যাংক, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড এনআরবি, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রামীণ ওয়ান স্কিম টু।
No comments