অধিনায়কের কাঠগড়ায় টপ অর্ডার
সংবাদ সম্মেলনের শুরুটাই হলো এমন প্রশ্ন দিয়ে যে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা এভাবে ব্যর্থ হলেন কেন! এর কী জবাব দেবেন মুশফিকুর রহিম? তিনি নিজেই তো ভেবে পাচ্ছিলেন না, 'এর উত্তর আমার কাছেও নেই। এ রকম ফ্ল্যাট উইকেটে টস জিতে ব্যাটিং নিলাম কারণ উইকেটে কিছু ছিল না। এখানে কোনো মুভমেন্ট ছিল না। আবার এমন উইকেটও নয় যে আপনি গিয়েই মারতে শুরু করবেন। আরো সময় নেওয়া দরকার ছিল।'এ দরকারি কথাটা টিম মিটিংয়ে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কানে আওড়ানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁরা মাঠে গিয়ে দিব্যি ভুলে গিয়েছিলেন বোধহয়! সুবাদে যা হওয়ার তা-ই হলো। ১৮ রানেই ৪ উইকেট নেই।
মুশফিকের ভাষায়, 'সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা ভীষণ কঠিন।' সেই কঠিন কাজটা তবু হয়েছে বলে রক্ষা, 'শেষ পর্যন্ত নাসির, রাজ ভাই (আবদুর রাজ্জাক) ও আমার ব্যাটিংয়ে একটা সম্মানজনক স্কোর অন্তত হয়েছে।' সেটি হয়েছে বলেই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ অধিনায়কের দীর্ঘশ্বাস ভারী হয়েছে আরো, 'আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারানো। তখন ৩০-৩৫ রান হলেও পরে পুষিয়ে দেওয়া যেত। দুঃখজনকভাবে সেটি হয়নি। টপ অর্ডারের বাজে শট খেলার জন্যই সেটা হলো না।'
বাজে শটের মহড়ায় অবস্থাটা এমন হয়ে গিয়েছিল যে একপর্যায়ে বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৫৮ রানের দুঃস্বপ্নও ফিরে আসছিল? এমন অপ্রিয় প্রশ্নও শুনতে হলো মুশফিককে। তিনি অবশ্য নিশ্চিত করলেন যে সে রকম কিছু সাজঘরে ভয়ের শিরশিরে অনুভূতি ছড়ায়নি, 'নাহ, তেমন দুশ্চিন্তা কাজ করেনি। অলক ভাইকে (অলক কাপালি) বলছিলাম, রান যা-ই হোক ২০-২৫ ওভার পর্যন্ত খেলতে হবে। তবে ৫৮ রানের ভয় কাজ করেনি।' বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। তবে বিশ্বকাপের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরা মারলন স্যামুয়েলস এ সিরিজে ভীষণ ধারাবাহিক। করলেন টানা তৃতীয় ফিফটি। সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ৫৮ রান করার পাশাপাশি ১৪ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ৭১ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ৪২ রানে ২ শিকার। কাল অফ স্পিনে ২৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংসের জন্য হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচও। সেই স্যামুয়েলস কিন্তু '৫৮-লজ্জা'য় বাংলাদেশকে আবারও ডোবাতে চেয়েছিলেন, 'অবশ্যই কাজটা আমরা আবারও করতে চাই। তবে এটা সব সময় হয় না। না হলেও ম্যাচে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পুরোপুরি পেশাদার।'
এর বিপরীতে পেশাদার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কী করলেন? ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রসঙ্গ এসেই যাচ্ছিল। একপর্যায়ে রাগ-ক্ষোভ আর চাপা দিয়ে রাখতে পারলেন না মুশফিক। একরকম ধুয়েই দিলেন টপ অর্ডারদের, 'সবাই জানে, টিম মিটিংয়ে বলি, এক উইকেট পড়লে ধরে খেলতে হবে। দুই-তিন উইকেট যেন দ্রুত না পড়ে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হয়েছে। আজ আমাদের ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। ব্যাটসম্যানদের আরো দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত ছিল।' এমন পারফরম্যান্সের পর উইকেটেও আশ্রয় খুঁজছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'ফলাফলের ওপর নির্ভর করে উইকেট কেমন। তিনটি ম্যাচের উইকেটে কোনো দোষ ছিল না। দোষ দিলে নিজেদের ঘাটতিগুলো দূর হবে না। এই উইকেটে আগেও খেলেছি। ভালোও যেমন হয়েছে, তেমনি খারাপও। আসলে আমাদের নিয়মিত ভালো খেলা শিখতে হবে।'
শুরুর বিপর্যয়ের পর ২২০ রান করা গেছে। ২৩০-২৪০ হলেও ম্যাচটা অন্যরকম হতো বলে বিশ্বাস মুশফিকের। সেই সঙ্গে মনে করেন কাল ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং থেকেও শেখার আছে অনেক। স্যামুয়েলসের কথাই শুনুন, 'ওরা শেষ পর্যন্ত ভালো একটা সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেটা খুব স্মার্টলি চেজ করেছি।' ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের স্মার্টনেসের বিপরীতে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটিং ছিল এক কথায় 'আগলি'। মুশফিকের হতাশার ভাবার্থ তো এ ইংরেজি শব্দটাই!
বাজে শটের মহড়ায় অবস্থাটা এমন হয়ে গিয়েছিল যে একপর্যায়ে বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৫৮ রানের দুঃস্বপ্নও ফিরে আসছিল? এমন অপ্রিয় প্রশ্নও শুনতে হলো মুশফিককে। তিনি অবশ্য নিশ্চিত করলেন যে সে রকম কিছু সাজঘরে ভয়ের শিরশিরে অনুভূতি ছড়ায়নি, 'নাহ, তেমন দুশ্চিন্তা কাজ করেনি। অলক ভাইকে (অলক কাপালি) বলছিলাম, রান যা-ই হোক ২০-২৫ ওভার পর্যন্ত খেলতে হবে। তবে ৫৮ রানের ভয় কাজ করেনি।' বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। তবে বিশ্বকাপের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরা মারলন স্যামুয়েলস এ সিরিজে ভীষণ ধারাবাহিক। করলেন টানা তৃতীয় ফিফটি। সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ৫৮ রান করার পাশাপাশি ১৪ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ৭১ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ৪২ রানে ২ শিকার। কাল অফ স্পিনে ২৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংসের জন্য হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচও। সেই স্যামুয়েলস কিন্তু '৫৮-লজ্জা'য় বাংলাদেশকে আবারও ডোবাতে চেয়েছিলেন, 'অবশ্যই কাজটা আমরা আবারও করতে চাই। তবে এটা সব সময় হয় না। না হলেও ম্যাচে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পুরোপুরি পেশাদার।'
এর বিপরীতে পেশাদার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কী করলেন? ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানাভাবে তাঁদের প্রসঙ্গ এসেই যাচ্ছিল। একপর্যায়ে রাগ-ক্ষোভ আর চাপা দিয়ে রাখতে পারলেন না মুশফিক। একরকম ধুয়েই দিলেন টপ অর্ডারদের, 'সবাই জানে, টিম মিটিংয়ে বলি, এক উইকেট পড়লে ধরে খেলতে হবে। দুই-তিন উইকেট যেন দ্রুত না পড়ে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হয়েছে। আজ আমাদের ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। ব্যাটসম্যানদের আরো দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত ছিল।' এমন পারফরম্যান্সের পর উইকেটেও আশ্রয় খুঁজছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'ফলাফলের ওপর নির্ভর করে উইকেট কেমন। তিনটি ম্যাচের উইকেটে কোনো দোষ ছিল না। দোষ দিলে নিজেদের ঘাটতিগুলো দূর হবে না। এই উইকেটে আগেও খেলেছি। ভালোও যেমন হয়েছে, তেমনি খারাপও। আসলে আমাদের নিয়মিত ভালো খেলা শিখতে হবে।'
শুরুর বিপর্যয়ের পর ২২০ রান করা গেছে। ২৩০-২৪০ হলেও ম্যাচটা অন্যরকম হতো বলে বিশ্বাস মুশফিকের। সেই সঙ্গে মনে করেন কাল ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং থেকেও শেখার আছে অনেক। স্যামুয়েলসের কথাই শুনুন, 'ওরা শেষ পর্যন্ত ভালো একটা সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেটা খুব স্মার্টলি চেজ করেছি।' ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের স্মার্টনেসের বিপরীতে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটিং ছিল এক কথায় 'আগলি'। মুশফিকের হতাশার ভাবার্থ তো এ ইংরেজি শব্দটাই!
No comments