ভক্ত ভয়ংকর
নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে থাকার পর থেকে আর ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন না টাইগার উডস। পেছাতে পেছাতে গলফ র্যাংকিংয়ে তিনি এখন পঞ্চাশেরও বাইরে। এ জন্য তাঁরই এক ভক্ত ক'দিন আগে হটডগ ছুড়ে মেরেছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই গলফারের দিকে। পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও উডসের অনুরোধে ছেড়ে দেওয়া হয় সেই দর্শককে। উডসের মতো মাথা ঠাণ্ডা নয় বলে উত্ত্যক্তকারী এক দর্শককে গ্যালারিতে গিয়ে লাথি মেরেছিলেন এরিক ক্যান্টোনা।
দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খলতার জন্য তো কত ম্যাচই পণ্ড হয়েছে। দর্শক-ভক্তদের অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু আচরণ নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন
কোর্টে 'সন্ত্রাসী'
১৯৯০ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে নতুন ইতিহাস গড়েছিলেন মনিকা সেলেস। এত কম বয়সে রোঁলা গারোর শিরোপা জিততে পারেননি আর কেউ। ধূমকেতুর মতো হারিয়ে না গিয়ে টেনিস রানির মুকুটটাও পেয়ে গিয়েছিলেন যুগোস্লাভিয়ায় জন্ম নেওয়া এই তারকা। ১৯৯৫ থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। স্টেফি গ্রাফকে পেছনে ফেলে পেঁৗছে গিয়েছিলেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। সেটা মেনে নিতে পারেননি গুন্টার পারচে নামের এক স্টেফি গ্রাফ ভক্ত। তাই ১৯৯৩ সালের ৩০ এপ্রিল হামবুর্গ ওপেনে মালিভার বিপক্ষে ম্যাচের সময় হঠাৎ করেই কোর্টে এসে সেলেসের কাঁধে ছুরি চালিয়ে দেন তিনি। কাঁধে ছুরিটা দেবে গিয়ে গভীর ক্ষতর সৃষ্টি করে। ধিক্কার জানিয়ে স্পোর্টস ইলাসট্রেটেড লিখেছিল, 'টেরর অন দি কোর্ট'। এরপর দুই বছর টেনিসের বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ৯টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সেলেস। পরে ফিরে এসে ১৯৯৬-এর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেও হারিয়ে ফেলেছিলেন আগের সেই ধার। ফিটনেস সমস্যাও আর ছাড়েনি তাঁকে। ওই কাপুরুষোচিত আক্রমণটা না হলে ১৯৯৩ পর্যন্ত আটটি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা সেলেস কোথায় ক্যারিয়ার শেষে কোথায় গিয়ে থামতেন কে জানে!
ক্যান্টোনার কুংফু কিক
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকরা ফরাসি তারকা এরিক ক্যান্টোনাকে আদর করে ডাকতেন 'কিং এরিক'। রাজার মেজাজ বলে কথা! ম্যানইউর ঐতিহ্যবাহী ৭ নম্বর জার্সি পরে খেলা ক্যান্টোনা ১৯৯৫ সালে করে বসেন এক অদ্ভুত কাণ্ড। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে একটা ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন রিচার্ড শ'কে ফাউল করে। এরপর মাঠ ছাড়ার সময় ম্যাথু সিমন্স নামের এক দর্শক উত্ত্যক্ত করছিলেন ক্যান্টোনাকে। নিজেকে সামলাতে না পেরে ক্যান্টেনা কুংফু কিকই মেরে বসেন সিমন্সকে! চালিয়ে দেন কয়েকটা ঘুষিও। এমন আচরণের জন্য চরম মূল্যই দিতে হয় ক্যান্টোনাকে। ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি ফুটবলে নিষিদ্ধও থাকেন ৯ মাস। তাতেও অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই। বরং ম্যানইউর হয়ে চারটি প্রিমিয়ার লিগ জেতা ক্যান্টোনা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত বলেই উল্লেখ করেন সেই কংফু কিককে, 'এ ধরনের দর্শকের মাঠে আসার কোনো দরকার নেই। আমরা নিজেদের উজাড় করে দেই মাঠে। অথচ ওরা সারাক্ষণ উত্ত্যক্ত করে যায় ফুটবলারদের।'
'আলু' বলায় রেগে আগুন ইনজামাম
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। ১৯৯৭ সালে টরন্টোয় দুই দলের একটা ম্যাচে মেগাফোন নিয়ে মাঠে আসা দর্শক শিব কুমার সমানে উত্ত্যক্ত করছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়দের। সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করায় ভারতের অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে বলছিলেন, 'ক্রিকেট ছাড়ো, সংগীত শোনো।' পেসার দেবাশিস মোহান্তিকে বলছিলেন 'কালিয়া' (কালো)। আর পাকিস্তানের ইনজামাম উল হককে উদ্দেশ্য করে শিব কুমার অবিরাম বলে যাচ্ছিলেন, 'ও মোটা সোজা দাঁড়িয়ে থাক। মোটা আলু। পচা আলু।'
একসময় মেজাজটা আর ধরে রাখতে পারেননি 'ইনজি'। বাউন্ডারি লাইন থেকে সোজা গ্যালারিতে গিয়ে দুই ঘা দিয়ে আসেন সেই দর্শককে। এ নিয়ে দ্য গার্ডিয়ান লিখেছিল, 'কোথা থেকে যেন একটা ব্যাট পেয়েছিলেন ইনজাজাম। নিরাপত্তারক্ষীরা না আটকালে ইনজি হয়তো মাথা দুই ভাগ করে দিত সেই দর্শকের।' পরে ইনজাজাম নিজের এমন অসুন্দর আচরণের জন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এভাবে, 'ও যা করছিল তা কতক্ষণ মেনে নেওয়া যায়! আমি কেবল জানতে গিয়েছিলাম কেন সে এসব বলছে। অথচ সে আক্রমণ করে বসে মাইক্রোফোন নিয়ে। তাই আমারও পাল্টা আক্রমণ করা ছাড়া উপায় ছিল না।' এই ঘটনার পর ম্যাচ বন্ধ ছিল ৪০ মিনিট। দুই দলের অধিনায়ক শান্ত থাকার অনুরোধ করেন দর্শকদের। সীমানার কাছাকাছি দাঁড়িয়েই ফিল্ডিং করেন ইনজামাম।
দর্শকের উচ্ছৃঙ্খলতায় বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল পণ্ড
ফুটবল, হকি, রাগবিতে দর্শক হাঙ্গামায় ম্যাচ পণ্ড হওয়ার নজির ভূরি ভূরি। তবে 'ভদ্রলোকের খেলা' ক্রিকেটে এটা একেবারেই বিরল। বিরল সেই ঘটনাই প্রথমবারের মতো ঘটে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে, কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। শ্রীলঙ্কার ২৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের স্কোর একটা সময় ছিল ১ উইকেটে ৯৮ রান। কিন্তু দেখতেই দেখতেই ৩৪.১ ওভারে ১২০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এমন বিপর্যয় মেনে নিতে পারছিল না ইডেনের লাখখানেক দর্শক। শুরু হয় ফল আর বোতল বৃষ্টি। সেই তোড়ে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না কোনো লঙ্কান ফিল্ডার। একসময় গ্যালারিতে আগুনও জ্বালানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ আর না চালিয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ফলের জায়গায় লেখা হয়, 'শ্রীলঙ্কা উইন বাই ডিফল্ট'!
শূকরের মাথা দিয়ে আক্রমণ ফিগোকে
বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্কটা সাপে-নেউলে রিয়াল মাদ্রিদের। লুই ফিগো ছিলেন বার্সার নয়নের মণি। অথচ সেই ফিগোই তখনকার রেকর্ড ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি'তে যোগ দেন রিয়ালে, যা মেনে নিতে পারেননি বার্সা সমর্থকরা। তাই ২০০০ সালে ফিগো দল বদলানোর পর প্রথমবার ন্যু ক্যাম্পে গিয়েই পড়েছিলেন রোষানলে। ফিগোর পায়ে বল পড়লেই দুয়ো দিচ্ছেলেন দর্শকরা। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ফিগো একটা কর্নার কিক নেওয়ার সময় বাধে আরো বড় বিপত্তি। ক্ষুব্ধ এক দর্শক পর্তুগিজ এই তারকাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন শূকরের মাথা! ভাগ্যিস লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিল সেটা। সেই মাথাটা এখন আছে বার্সেলোনার জাদুঘরে!
রামোসের ওপর বোতল বৃষ্টি
রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া, টটেনহাম, সিএসকেএ মস্কোর মতো ক্লাবে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন হুয়ান্দে রামোস। কখনো ভেসেছেন প্রশংসা বৃষ্টিতে তো কখনো ডাগআউটে বসেই শুনতে হয়েছে দর্শকদের গালাগাল। কোচদের জীবনটাই এমন। কিন্তু ২০০৭ সালে স্প্যানিশ কোপা দেল রে'র কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে যা হয়েছিল তা ঘটেছে খুব কম কোচের সঙ্গেই। সে সময় সেভিয়ার দায়িত্বে থাকা রামোসের দল খেলছিল রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে। ৫৬ মিনিটে হঠাৎ করেই কয়েকজন দর্শক বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন রামোসকে লক্ষ্য করে। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। একসময় বেটিসের কোচ ছিলেন বলেই হয়তো দর্শকদের এমন ক্ষোভ। তবে কোচের ওপর এমন আক্রমণের প্রতিবাদে আর খেলতে চায়নি সেভিয়ার ফুটবলাররা। এ কারণে ম্যাচের বাকি ৩৪ মিনিট খেলতে হয় আরেক দিন, গেটাফের মাঠে। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে রামোস বলেন, 'দর্শকরা অনেক কিছুই করে গ্যালারিতে। তাই বলে কোচের ওপর এ ধরনের আক্রমণ করে বসবে কল্পনাতেও ছিল না আমার।' ওয়েবসাইট
কোর্টে 'সন্ত্রাসী'
১৯৯০ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে নতুন ইতিহাস গড়েছিলেন মনিকা সেলেস। এত কম বয়সে রোঁলা গারোর শিরোপা জিততে পারেননি আর কেউ। ধূমকেতুর মতো হারিয়ে না গিয়ে টেনিস রানির মুকুটটাও পেয়ে গিয়েছিলেন যুগোস্লাভিয়ায় জন্ম নেওয়া এই তারকা। ১৯৯৫ থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। স্টেফি গ্রাফকে পেছনে ফেলে পেঁৗছে গিয়েছিলেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। সেটা মেনে নিতে পারেননি গুন্টার পারচে নামের এক স্টেফি গ্রাফ ভক্ত। তাই ১৯৯৩ সালের ৩০ এপ্রিল হামবুর্গ ওপেনে মালিভার বিপক্ষে ম্যাচের সময় হঠাৎ করেই কোর্টে এসে সেলেসের কাঁধে ছুরি চালিয়ে দেন তিনি। কাঁধে ছুরিটা দেবে গিয়ে গভীর ক্ষতর সৃষ্টি করে। ধিক্কার জানিয়ে স্পোর্টস ইলাসট্রেটেড লিখেছিল, 'টেরর অন দি কোর্ট'। এরপর দুই বছর টেনিসের বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ৯টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সেলেস। পরে ফিরে এসে ১৯৯৬-এর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেও হারিয়ে ফেলেছিলেন আগের সেই ধার। ফিটনেস সমস্যাও আর ছাড়েনি তাঁকে। ওই কাপুরুষোচিত আক্রমণটা না হলে ১৯৯৩ পর্যন্ত আটটি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা সেলেস কোথায় ক্যারিয়ার শেষে কোথায় গিয়ে থামতেন কে জানে!
ক্যান্টোনার কুংফু কিক
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকরা ফরাসি তারকা এরিক ক্যান্টোনাকে আদর করে ডাকতেন 'কিং এরিক'। রাজার মেজাজ বলে কথা! ম্যানইউর ঐতিহ্যবাহী ৭ নম্বর জার্সি পরে খেলা ক্যান্টোনা ১৯৯৫ সালে করে বসেন এক অদ্ভুত কাণ্ড। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে একটা ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন রিচার্ড শ'কে ফাউল করে। এরপর মাঠ ছাড়ার সময় ম্যাথু সিমন্স নামের এক দর্শক উত্ত্যক্ত করছিলেন ক্যান্টোনাকে। নিজেকে সামলাতে না পেরে ক্যান্টেনা কুংফু কিকই মেরে বসেন সিমন্সকে! চালিয়ে দেন কয়েকটা ঘুষিও। এমন আচরণের জন্য চরম মূল্যই দিতে হয় ক্যান্টোনাকে। ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি ফুটবলে নিষিদ্ধও থাকেন ৯ মাস। তাতেও অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই। বরং ম্যানইউর হয়ে চারটি প্রিমিয়ার লিগ জেতা ক্যান্টোনা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত বলেই উল্লেখ করেন সেই কংফু কিককে, 'এ ধরনের দর্শকের মাঠে আসার কোনো দরকার নেই। আমরা নিজেদের উজাড় করে দেই মাঠে। অথচ ওরা সারাক্ষণ উত্ত্যক্ত করে যায় ফুটবলারদের।'
'আলু' বলায় রেগে আগুন ইনজামাম
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। ১৯৯৭ সালে টরন্টোয় দুই দলের একটা ম্যাচে মেগাফোন নিয়ে মাঠে আসা দর্শক শিব কুমার সমানে উত্ত্যক্ত করছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়দের। সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করায় ভারতের অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে বলছিলেন, 'ক্রিকেট ছাড়ো, সংগীত শোনো।' পেসার দেবাশিস মোহান্তিকে বলছিলেন 'কালিয়া' (কালো)। আর পাকিস্তানের ইনজামাম উল হককে উদ্দেশ্য করে শিব কুমার অবিরাম বলে যাচ্ছিলেন, 'ও মোটা সোজা দাঁড়িয়ে থাক। মোটা আলু। পচা আলু।'
একসময় মেজাজটা আর ধরে রাখতে পারেননি 'ইনজি'। বাউন্ডারি লাইন থেকে সোজা গ্যালারিতে গিয়ে দুই ঘা দিয়ে আসেন সেই দর্শককে। এ নিয়ে দ্য গার্ডিয়ান লিখেছিল, 'কোথা থেকে যেন একটা ব্যাট পেয়েছিলেন ইনজাজাম। নিরাপত্তারক্ষীরা না আটকালে ইনজি হয়তো মাথা দুই ভাগ করে দিত সেই দর্শকের।' পরে ইনজাজাম নিজের এমন অসুন্দর আচরণের জন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এভাবে, 'ও যা করছিল তা কতক্ষণ মেনে নেওয়া যায়! আমি কেবল জানতে গিয়েছিলাম কেন সে এসব বলছে। অথচ সে আক্রমণ করে বসে মাইক্রোফোন নিয়ে। তাই আমারও পাল্টা আক্রমণ করা ছাড়া উপায় ছিল না।' এই ঘটনার পর ম্যাচ বন্ধ ছিল ৪০ মিনিট। দুই দলের অধিনায়ক শান্ত থাকার অনুরোধ করেন দর্শকদের। সীমানার কাছাকাছি দাঁড়িয়েই ফিল্ডিং করেন ইনজামাম।
দর্শকের উচ্ছৃঙ্খলতায় বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল পণ্ড
ফুটবল, হকি, রাগবিতে দর্শক হাঙ্গামায় ম্যাচ পণ্ড হওয়ার নজির ভূরি ভূরি। তবে 'ভদ্রলোকের খেলা' ক্রিকেটে এটা একেবারেই বিরল। বিরল সেই ঘটনাই প্রথমবারের মতো ঘটে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে, কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। শ্রীলঙ্কার ২৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের স্কোর একটা সময় ছিল ১ উইকেটে ৯৮ রান। কিন্তু দেখতেই দেখতেই ৩৪.১ ওভারে ১২০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এমন বিপর্যয় মেনে নিতে পারছিল না ইডেনের লাখখানেক দর্শক। শুরু হয় ফল আর বোতল বৃষ্টি। সেই তোড়ে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না কোনো লঙ্কান ফিল্ডার। একসময় গ্যালারিতে আগুনও জ্বালানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ আর না চালিয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ফলের জায়গায় লেখা হয়, 'শ্রীলঙ্কা উইন বাই ডিফল্ট'!
শূকরের মাথা দিয়ে আক্রমণ ফিগোকে
বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্কটা সাপে-নেউলে রিয়াল মাদ্রিদের। লুই ফিগো ছিলেন বার্সার নয়নের মণি। অথচ সেই ফিগোই তখনকার রেকর্ড ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি'তে যোগ দেন রিয়ালে, যা মেনে নিতে পারেননি বার্সা সমর্থকরা। তাই ২০০০ সালে ফিগো দল বদলানোর পর প্রথমবার ন্যু ক্যাম্পে গিয়েই পড়েছিলেন রোষানলে। ফিগোর পায়ে বল পড়লেই দুয়ো দিচ্ছেলেন দর্শকরা। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ফিগো একটা কর্নার কিক নেওয়ার সময় বাধে আরো বড় বিপত্তি। ক্ষুব্ধ এক দর্শক পর্তুগিজ এই তারকাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন শূকরের মাথা! ভাগ্যিস লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিল সেটা। সেই মাথাটা এখন আছে বার্সেলোনার জাদুঘরে!
রামোসের ওপর বোতল বৃষ্টি
রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া, টটেনহাম, সিএসকেএ মস্কোর মতো ক্লাবে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন হুয়ান্দে রামোস। কখনো ভেসেছেন প্রশংসা বৃষ্টিতে তো কখনো ডাগআউটে বসেই শুনতে হয়েছে দর্শকদের গালাগাল। কোচদের জীবনটাই এমন। কিন্তু ২০০৭ সালে স্প্যানিশ কোপা দেল রে'র কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে যা হয়েছিল তা ঘটেছে খুব কম কোচের সঙ্গেই। সে সময় সেভিয়ার দায়িত্বে থাকা রামোসের দল খেলছিল রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে। ৫৬ মিনিটে হঠাৎ করেই কয়েকজন দর্শক বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন রামোসকে লক্ষ্য করে। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। একসময় বেটিসের কোচ ছিলেন বলেই হয়তো দর্শকদের এমন ক্ষোভ। তবে কোচের ওপর এমন আক্রমণের প্রতিবাদে আর খেলতে চায়নি সেভিয়ার ফুটবলাররা। এ কারণে ম্যাচের বাকি ৩৪ মিনিট খেলতে হয় আরেক দিন, গেটাফের মাঠে। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে রামোস বলেন, 'দর্শকরা অনেক কিছুই করে গ্যালারিতে। তাই বলে কোচের ওপর এ ধরনের আক্রমণ করে বসবে কল্পনাতেও ছিল না আমার।' ওয়েবসাইট
No comments