‘আরব বসন্ত’ গণ-আন্দোলনে ক্ষতি ৫৫ বিলিয়ন ডলার
চলতি বছর উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ‘আরব বসন্ত’ গণ-আন্দোলনে অঞ্চলটির ক্ষতি হয়েছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। জিওপলিসি নামের একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব বসন্তের ফলে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হয়েছে মিসর, সিরিয়া ও লিবিয়াকে। আঞ্চলিক সহায়তা কর্মসূচি ছাড়া দেশগুলো পিছিয়ে পড়তে পারে। তবে বিদ্রোহ দমন বা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হওয়া তেল উৎপাদনকারী কয়েকটি দেশ আরব বসন্তে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে।
জিওপলিসির প্রতিবেদনে অবশ্য এটাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের আরব বসন্তের প্রভাব যথাযথভাবে নিরূপণ করা যায়নি। কারণ, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচক বর্তমানে সহজলভ্য নয় এবং পরিস্থিতি এখনো বেশ পরিবর্তনশীল।
লিবিয়া, সিরিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেন ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। ইয়েমেনে চলমান আন্দোলন ও লিবিয়ায় সরকার পতনের ফলে জনগণের ব্যয়ের পরিমাণের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও কমে গেছে। ইয়েমেনে রাজস্ব কমেছে ৭৭ শতাংশ এবং লিবিয়ায় ৮৪ শতাংশ। মানুষের মৃত্যু, অবকাঠামো ধ্বংস, ক্ষতি এবং ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষতি এ হিসাবের মধ্যে রাখা হয়নি।
আবার এই আরব বসন্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল সার্বিকভাবে লাভবানও হয়েছে। বিশেষ করে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কুয়েত ও সৌদি আরব সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বলে জানায় জিওপলিসি। সৌদি আরবে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেশ ইতিবাচক। সেখানে রাজস্ব বেড়েছে ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে ইউএইতে রাজস্ব বেড়েছে ৩১ শতাংশ।
জিওপলিসি বলেছে, লিবিয়ার ভাগ্য এখনো অনিশ্চিত। দেশটির বর্তমান অস্থিতিশীলতার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশগুলোর মধ্যে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে তেলসম্পদের বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো লাভবান হয়েছে এবং তেল আমদানিকারক দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জিওপলিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার মিডলব্রুক বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে গবেষণাকাজ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। জি-২০, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা যেমন—আরব লিগের জন্য এটি সহায়ক হবে। এ ছাড়া আরব বসন্তে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনেও এটি কাজে লাগবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব বসন্তের ফলে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হয়েছে মিসর, সিরিয়া ও লিবিয়াকে। আঞ্চলিক সহায়তা কর্মসূচি ছাড়া দেশগুলো পিছিয়ে পড়তে পারে। তবে বিদ্রোহ দমন বা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হওয়া তেল উৎপাদনকারী কয়েকটি দেশ আরব বসন্তে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে।
জিওপলিসির প্রতিবেদনে অবশ্য এটাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের আরব বসন্তের প্রভাব যথাযথভাবে নিরূপণ করা যায়নি। কারণ, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচক বর্তমানে সহজলভ্য নয় এবং পরিস্থিতি এখনো বেশ পরিবর্তনশীল।
লিবিয়া, সিরিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেন ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। ইয়েমেনে চলমান আন্দোলন ও লিবিয়ায় সরকার পতনের ফলে জনগণের ব্যয়ের পরিমাণের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও কমে গেছে। ইয়েমেনে রাজস্ব কমেছে ৭৭ শতাংশ এবং লিবিয়ায় ৮৪ শতাংশ। মানুষের মৃত্যু, অবকাঠামো ধ্বংস, ক্ষতি এবং ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষতি এ হিসাবের মধ্যে রাখা হয়নি।
আবার এই আরব বসন্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল সার্বিকভাবে লাভবানও হয়েছে। বিশেষ করে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কুয়েত ও সৌদি আরব সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বলে জানায় জিওপলিসি। সৌদি আরবে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেশ ইতিবাচক। সেখানে রাজস্ব বেড়েছে ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে ইউএইতে রাজস্ব বেড়েছে ৩১ শতাংশ।
জিওপলিসি বলেছে, লিবিয়ার ভাগ্য এখনো অনিশ্চিত। দেশটির বর্তমান অস্থিতিশীলতার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশগুলোর মধ্যে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে তেলসম্পদের বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো লাভবান হয়েছে এবং তেল আমদানিকারক দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জিওপলিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার মিডলব্রুক বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে গবেষণাকাজ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। জি-২০, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা যেমন—আরব লিগের জন্য এটি সহায়ক হবে। এ ছাড়া আরব বসন্তে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনেও এটি কাজে লাগবে।
No comments