বিশ্বজুড়ে করপোরেটবিরোধী অভূতপূর্ব বিক্ষোভ
করপোরেট লালসা ও সরকারগুলোর ব্যাপক কাটছাঁটের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে একযোগে অভূতপূর্ব বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের 'ওয়াল স্ট্রিট দখল' ও স্পেনের 'ইনডিগন্যান্ট' আন্দোলনে উৎসাহী হয়ে গতকাল শনিবার ৮২টি দেশের ৯৫১টি শহরের বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। সিডনি থেকে শুরু করে হংকং, টোকিও, লন্ডন ও মিলান ছিল বিক্ষোভে উত্তাল। স্পেনের মাদ্রিদে গত মে মাসে সামাজিক বৈষম্য ও রাজনীতিতে ব্যবসায়ীগোষ্ঠীর প্রভাবের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার ঢেউ এখন আছড়ে পড়ছে বিশ্বের তাবৎ শহরে।ইতালির বিক্ষোভে প্রাধান্য পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির ঋণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম।
রোমে গতকালের বিক্ষোভে দুই লক্ষাধিক লোক অংশ নেয়। ফুকুশিমার অভিজ্ঞতার পর জাপানের ক্ষেত্রে চলে এসেছে পরমাণু নিরাপত্তার বিষয়টি। টোকিওতে শতাধিক লোকের এক মিছিলে 'টোকিও দখলের' স্লোগান দেওয়া হয়। হোসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তোমোকো হোরাগুচি ওয়াল স্ট্রিটের বিক্ষোভ তাঁকে ছুঁয়ে গেছে জানিয়ে বলেন, 'আমার ভেতরেও একই ধরনের ক্ষোভের জন্ম হয়েছে, বিশেষ করে পরমাণু প্রকল্পের ব্যাপারে আমার অসন্তোষ রয়েছে। দেশের মাত্র এক শতাংশ লোক চায় এগুলো চালু থাকুক।'
হংকংয়ে জড়ো হয় পাঁচ শতাধিক মানুষ। তাদের ক্ষোভ মুক্তবাজার পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে। এক বিক্ষোভকারী ওং ওয়েং-চি বললেন, ওয়াল স্ট্রিট বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। হংকং ধনকুবেরদের শহর হিসেবেই অধিক পরিচিত।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গতকালের বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় দুই হাজার লোক। তাদের মধ্যে ছিলেন আদিবাসী গ্রুপগুলোর সদস্য, কমিউনিস্ট, শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা। অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে তাঁবু স্থাপন করেন তাঁরা। মেলবোর্র্নেও জড়ো হয় সহস্রাধিক মানুষ। একই ধরনের দখল আন্দোলন হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইনেও। 'তাইপে দখল' বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তাইওয়ানের সর্বোচ্চ ভবনের সামনে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, তাইওয়ানের ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান এখন সবচেয়ে বেশি। এরই মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। লন্ডনেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, এ বিক্ষোভের ব্যাপারে তাঁরা ফেইসবুক ও টুইটারের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করেছেন। এ ছাড়া ১৫ অক্টোবর ডট নেট নামের এক ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে আয়োজকরা বিশ্বের মানুষের প্রতি 'জেগে ওঠার' এবং 'নিজের অধিকার ও সত্যিকারের গণতন্ত্রের দাবি তোলার' আহ্বান জানান। এতে বলা হয়, 'বিশ্বজুড়ে অহিংস আন্দোলনে যোগ দেওয়ার এটাই সময়। ক্ষমতাসীনরা মুষ্টিমেয় লোকের কল্যাণের জন্য কাজ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে অগ্রাহ্য করে তারা। এই অসহনীয় পরিস্থিতির সমাপ্তি অবশ্যই টানতে হবে।'
করপোরেটবিরোধী এ ধরনের বিক্ষোভের সূচনা হয় স্পেনে। দেশটিতে বর্তমানে বেকারত্বের হার ২০ দশমিক ৮৯ ভাগ। গত মে মাসে মাদ্রিদে ক্যাম্প স্থাপনের পর প্রায় মাসখানেক বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান করে। এ ধারণা থেকে উৎসাহী হয়ে নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটে অবস্থিত স্টক এঙ্চেঞ্জ ঘেরাওয়ের আন্দোলন শুরু হয়। তারা ২০০৮ সালে ঋণখেলাপি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া সরকারি প্রণোদনা এবং রাজনীতিতে ব্যবসায়ীগোষ্ঠীর প্রভাবের বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ শুরু করে। প্রথম দিকে মাত্র কয়েক ডজন মানুষ নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটের স্টক এঙ্চেঞ্জের সামনে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পাশের জুকোটি পার্কে অবস্থান নেয় তারা। এখন তাদের সংখ্যা কয়েক শ। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
হংকংয়ে জড়ো হয় পাঁচ শতাধিক মানুষ। তাদের ক্ষোভ মুক্তবাজার পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে। এক বিক্ষোভকারী ওং ওয়েং-চি বললেন, ওয়াল স্ট্রিট বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। হংকং ধনকুবেরদের শহর হিসেবেই অধিক পরিচিত।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গতকালের বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় দুই হাজার লোক। তাদের মধ্যে ছিলেন আদিবাসী গ্রুপগুলোর সদস্য, কমিউনিস্ট, শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা। অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে তাঁবু স্থাপন করেন তাঁরা। মেলবোর্র্নেও জড়ো হয় সহস্রাধিক মানুষ। একই ধরনের দখল আন্দোলন হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইনেও। 'তাইপে দখল' বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তাইওয়ানের সর্বোচ্চ ভবনের সামনে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, তাইওয়ানের ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান এখন সবচেয়ে বেশি। এরই মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। লন্ডনেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, এ বিক্ষোভের ব্যাপারে তাঁরা ফেইসবুক ও টুইটারের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করেছেন। এ ছাড়া ১৫ অক্টোবর ডট নেট নামের এক ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে আয়োজকরা বিশ্বের মানুষের প্রতি 'জেগে ওঠার' এবং 'নিজের অধিকার ও সত্যিকারের গণতন্ত্রের দাবি তোলার' আহ্বান জানান। এতে বলা হয়, 'বিশ্বজুড়ে অহিংস আন্দোলনে যোগ দেওয়ার এটাই সময়। ক্ষমতাসীনরা মুষ্টিমেয় লোকের কল্যাণের জন্য কাজ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে অগ্রাহ্য করে তারা। এই অসহনীয় পরিস্থিতির সমাপ্তি অবশ্যই টানতে হবে।'
করপোরেটবিরোধী এ ধরনের বিক্ষোভের সূচনা হয় স্পেনে। দেশটিতে বর্তমানে বেকারত্বের হার ২০ দশমিক ৮৯ ভাগ। গত মে মাসে মাদ্রিদে ক্যাম্প স্থাপনের পর প্রায় মাসখানেক বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান করে। এ ধারণা থেকে উৎসাহী হয়ে নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটে অবস্থিত স্টক এঙ্চেঞ্জ ঘেরাওয়ের আন্দোলন শুরু হয়। তারা ২০০৮ সালে ঋণখেলাপি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া সরকারি প্রণোদনা এবং রাজনীতিতে ব্যবসায়ীগোষ্ঠীর প্রভাবের বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ শুরু করে। প্রথম দিকে মাত্র কয়েক ডজন মানুষ নিউ ইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটের স্টক এঙ্চেঞ্জের সামনে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পাশের জুকোটি পার্কে অবস্থান নেয় তারা। এখন তাদের সংখ্যা কয়েক শ। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
No comments