গ্রামীণ নারীদের শ্রমের স্বীকৃতি দাবি

খাদ্য উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিরসনে গ্রামীণ নারীর শ্রমের স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছেন কর্মজীবী নারীরা। বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।


কর্মজীবী নারীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন কৃষি শ্রমিক অধিকার মঞ্চের কো-চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু এমপি, বাংলাদেশ পোশাকশিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অঙ্ফামের ভারপ্রাপ্ত পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার তাপস রঞ্জন চক্রবর্তী, অন লাইন নলেজ সোসাইটির মডারেটর প্রদীপ রায়, সুরক্ষা অগ্রগতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জীবনানন্দ জয়ন্ত, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সিদ্দীকুর রহমান, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বেবী, নির্বাহী সদস্য উম্মে হাসান ঝলমল, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হাছিনা আক্তার নাইনু প্রমুখ। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ থেকে আসা নারী কৃষি শ্রমিক রোজি বেগম ও জয়তুন আরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ ও শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারীশ্রমিক নেত্রী সৈয়দা সেলিনা শেলী।
বক্তারা বলেন, আজ গ্রামীণ নারীর পক্ষে শপথ নেওয়ার দিন। তাদের বেঁচে থাকার মতো মজুরি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। অবিলম্বে কৃষি শ্রমিকের শ্রমের স্বীকৃতির জন্য কৃষি শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে, নারী-পুরুষ সমকাজে সমমজুরি দিতে হবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বর্তমানে কৃষি খাতে পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা দিন-দিন কমলেও এ খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই নারী কৃষি শ্রমিকের শ্রমের মর্যাদা এবং তাদের জন্য সরকারিভাবে কৃষি কার্ড ও অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়া জরুরি।
বক্তারা বলেন, গ্রামীণ নারীরা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃষিকাজ, ক্ষুদ্রঋণ, কুটির শিল্প সর্বত্র নারীর সরব অংশগ্রহণ তাই গ্রামীণ নারীর মর্যাদা ও শ্রমের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় চিকিৎসাসেবা ও স্থানীয় সরকারে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
মানিকগঞ্জের নারী কৃষি শ্রমিক রোজি বেগম ও জয়তুন আরা বলেন, সারা দিন কাজ করলেও তাঁদের কাজের দাম নেই। পরিবারের সবার খাবারের চিন্তা তাঁদেরই করতে হয়। সবার মুখে খাবার তুলে দিয়ে কিছু থাকলে তবেই তাঁদের খাবার সুযোগ হয়। তাঁদের একজন বলেন, 'আমরা অসুস্থ হয়ে গেলেও চিকিৎসা পাই না। আমাদের পুরুষদের চেয়ে মজুরি কম দেওয়া হয়। আমাদের কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই। আমাদের নিজের নামে জমি না থাকায় সরকারি সাহায্য আমরা পাই না।

No comments

Powered by Blogger.