ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যা ষড়যন্ত্রের প্রমাণ আছে
ইরানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ইরানি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার জোরালো প্রমাণ আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন ওবামা। তিনি বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার জন্য ইরানি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন গাড়ি ব্যবসায়ীকে মেক্সিকোর মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইরানি কর্মকর্তারা যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ওবামা বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য আছে, ওই গাড়ি ব্যবসায়ী সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং ইরানি কর্মকর্তারাই এ নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোনো অভিযোগের পেছনে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না থাকলে তা নিয়ে আমরা এগোই না।’ ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ওবামা বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, এর পেছনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রয়োজন।
হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে সংবাদ সম্মেলনে ওবামা যখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জানায়, হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে।
এ বিষয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে জানান, জাতিসংঘে মার্কিন দূত সুসান ই রাইস ইরানের দূত মোহাম্মদ খাজেয়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি খায়েজিকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
ওবামা বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তিনি বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ আমরা তাদের কাছে তুলে ধরব। আমরা মনে করি, এসব বিশ্লেষণ করে দেখার পর এ ঘটনা নিয়ে আর কারও সন্দেহ থাকবে না। তারা বুঝতে পারবে ঘটনা কী ঘটেছে।’
এ ক্ষেত্রে কিছু সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র এখনই পেয়ে গেছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সাউদ আল-ফয়সাল গত বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই কাপুরুষোচিত ঘটনা থেকেই ইরানের নীতি বোঝা যায়। তবে এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ হাউস অব কমন্সে বলেন, ইরান তাদের ভূখণ্ডের বাইরেও যে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বাড়াচ্ছে, এই হত্যা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা তার নমুনা।
কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান বলেছে, ওয়াশিংটনের অভিযোগ এতটাই হাস্যকর যে মার্কিন রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমও এ কথা বিশ্বাস করছে না।
সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন ওবামা। তিনি বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার জন্য ইরানি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন গাড়ি ব্যবসায়ীকে মেক্সিকোর মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইরানি কর্মকর্তারা যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ওবামা বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য আছে, ওই গাড়ি ব্যবসায়ী সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং ইরানি কর্মকর্তারাই এ নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোনো অভিযোগের পেছনে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না থাকলে তা নিয়ে আমরা এগোই না।’ ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ওবামা বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, এর পেছনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রয়োজন।
হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে সংবাদ সম্মেলনে ওবামা যখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জানায়, হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে।
এ বিষয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে জানান, জাতিসংঘে মার্কিন দূত সুসান ই রাইস ইরানের দূত মোহাম্মদ খাজেয়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি খায়েজিকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
ওবামা বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তিনি বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ আমরা তাদের কাছে তুলে ধরব। আমরা মনে করি, এসব বিশ্লেষণ করে দেখার পর এ ঘটনা নিয়ে আর কারও সন্দেহ থাকবে না। তারা বুঝতে পারবে ঘটনা কী ঘটেছে।’
এ ক্ষেত্রে কিছু সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র এখনই পেয়ে গেছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সাউদ আল-ফয়সাল গত বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই কাপুরুষোচিত ঘটনা থেকেই ইরানের নীতি বোঝা যায়। তবে এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ হাউস অব কমন্সে বলেন, ইরান তাদের ভূখণ্ডের বাইরেও যে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বাড়াচ্ছে, এই হত্যা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা তার নমুনা।
কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান বলেছে, ওয়াশিংটনের অভিযোগ এতটাই হাস্যকর যে মার্কিন রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমও এ কথা বিশ্বাস করছে না।
No comments