অবচেতনে স্বতঃস্ফূর্ত শিল্পচর্চা by জাফরিন গুলশান
কাগজ-কলম হাতে থাকলেই অন্য মনস্কভাবে এলোমেলো আঁকিবুঁকি-কাটাকুটি করাটা আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। অবচেতনে গড়ে ওঠা এই অভ্যাস পুরোনো বই-খাতা বা ডায়েরি খুললে অনেক চিন্তা বা স্মৃতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করে অসীম কল্পনার কিংবা বাস্তব জগতের প্রতিরূপ হিসেবে। স্থপতি মুস্তফা খালিদ পলাশের ‘অব টিয়ারান অ্যান্ড জয়’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সময়ে, পরিবেশে, অবস্থানে কাগজ-কলমে অবচেতন অভ্যাসবশত এঁকে যাওয়া ড্রইংগুলো দর্শকের সামনে এসেছে গুরুত্বসহকারে।
ডুডুল যাকে বলা হচ্ছে অন্যমনস্কভাবে আঁকিবুকি। ডুডুল ড্রইংয়ের মূল বৈশিষ্ট্য সারল্য। শিল্পীর আঁকাআঁকিতে বিমূর্ত জ্যামিতিক ফরম, কল্পনা, মহাজাগতিক বিভিন্ন চরিত্র, বর্ণলিপি, টেক্সচার-এর ব্যবহার লক্ষণীয়ভাবে সম্পর্ক স্থাপন করেছে স্থাপনা জগতের কোনো প্রজক্ট পরিকল্পনার সঙ্গে। বেশির ভাগ ফ্রেমই যেন স্থাপনা শিল্পকে চারুশিল্পের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের প্রাণান্ত চেষ্টায় মত্ত। ছোট ছোট প্রায় ১০০টি ফ্রেমে শিল্পী (যদিও পেশায় পুরোদস্তুর একজন স্থপতি) কলম, পেস্টেল, গ্রাফাইট ব্যবহার করেছেন কখনো কাগজে, লেখার নোটবুকে কিংবা চিঠির খাম বা টিস্যু পেপারে—এ রকম বিচিত্র মাধ্যমে করা অপরিকল্পিত, অন্যমনস্ক ড্রইংগুলো বিশেষ বৈচিত্র্য পেয়েছে জটিল কম্পোজিশনে। জ্যামিতিক ফরম-এর মধ্যে ‘বৃত্ত’ খুব কর্তৃত্বপরায়ণ পলাশের ছবিতে।
বিল্ডিং পরিকল্পনায় ‘বৃত্ত’ জলাধারকে উপস্থাপন করে প্রায়ই, কিন্তু, আরও অসংখ্য জৈবিক ফরম, রেখা, টোন, একত্র হয়ে চারুশিল্পের ভাষার সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। বৃত্তের কোনো শুরু বা শেষবিন্দু নেই, যেন অনন্ত-এর চলার পথ কিন্তু সীমাবদ্ধ বৃত্তেই।
কখনো মানুষের প্রতিকৃতি, প্রাকৃতিক নকশার ফরম এসব এসেছে স্থাপনা ড্রইংকে ছাপিয়ে জীবনের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে। উষ্ণ ও শীতল রং-এর নিয়মমাফিক পরিমিত ব্যবহার চোখকে প্রশান্তি দেয়। চিত্রশিল্পের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো লেখাপড়া না থাকলেও নিজস্ব তাড়নায় মনের অভ্যন্তর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসা এসব ড্রইংয়ে বিশেষ অর্থপূর্ণ অবস্থান আছে শিল্পীর কাছে।
প্রদর্শনীতে আকা দ্রুত রেখাভিত্তিক ছবিগুলোর স্বতঃস্ফূর্ততা আরও সৃজনশীল বিস্তৃতির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। প্রদর্শনী দেখার পর অনেক দর্শকই নিজের খাতা, ডায়েরিতে আরেকবার চোখ বোলাতে উৎসাহ বোধ করতে পারেন। কিংবা অন্যমনস্কভাবে আঁকা রেখাচিত্র নিয়ে নিজেকে নতুন আঙ্গিকে বিশাল জনসমষ্টির সামনে উপস্থাপনের চমৎকার পরিকল্পনা মাথায় খেলে যেতে পারে।
বিল্ডিং পরিকল্পনায় ‘বৃত্ত’ জলাধারকে উপস্থাপন করে প্রায়ই, কিন্তু, আরও অসংখ্য জৈবিক ফরম, রেখা, টোন, একত্র হয়ে চারুশিল্পের ভাষার সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। বৃত্তের কোনো শুরু বা শেষবিন্দু নেই, যেন অনন্ত-এর চলার পথ কিন্তু সীমাবদ্ধ বৃত্তেই।
কখনো মানুষের প্রতিকৃতি, প্রাকৃতিক নকশার ফরম এসব এসেছে স্থাপনা ড্রইংকে ছাপিয়ে জীবনের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে। উষ্ণ ও শীতল রং-এর নিয়মমাফিক পরিমিত ব্যবহার চোখকে প্রশান্তি দেয়। চিত্রশিল্পের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো লেখাপড়া না থাকলেও নিজস্ব তাড়নায় মনের অভ্যন্তর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসা এসব ড্রইংয়ে বিশেষ অর্থপূর্ণ অবস্থান আছে শিল্পীর কাছে।
প্রদর্শনীতে আকা দ্রুত রেখাভিত্তিক ছবিগুলোর স্বতঃস্ফূর্ততা আরও সৃজনশীল বিস্তৃতির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। প্রদর্শনী দেখার পর অনেক দর্শকই নিজের খাতা, ডায়েরিতে আরেকবার চোখ বোলাতে উৎসাহ বোধ করতে পারেন। কিংবা অন্যমনস্কভাবে আঁকা রেখাচিত্র নিয়ে নিজেকে নতুন আঙ্গিকে বিশাল জনসমষ্টির সামনে উপস্থাপনের চমৎকার পরিকল্পনা মাথায় খেলে যেতে পারে।
No comments