অধিনায়ক মুশফিকের সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি
শফিকুল হক হীরার সঙ্গে কথোপকথন কাল দ্বিতীয় ওয়ানডের মাঝামাঝি, বাংলাদেশ ২২০ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর। তার পরও কিন্তু জয়ের আশা ছাড়ছিলেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও ম্যানেজার। সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্ব এবং বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের নানা বিষয় নিয়ে কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি...কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : কেমন দেখছেন 'নতুন' বাংলাদেশকে?শফিকুল হক হীরা : ভালোই তো। তবে এর আগে আমি একটা কথা বলে নিই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বার্থে নতুন অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক নির্বাচন করতেই পারে বোর্ড, তবে উচিত ছিল, এ নিয়ে সাকিব-তামিমের সঙ্গে একটু কথা বলা।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট যদি তাঁদের চায়ের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে বলতেন, 'এত দিন দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ, এখন তোমাদের জায়গায় অন্যরা আসবে'_তাহলে সেটি অনেক ভালো হতো। সাবেক অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের এটুকু সম্মান প্রাপ্য ছিল।
প্রশ্ন : নতুন অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের শুরুটা কেমন হলো?
শফিকুল : বেশ ভালো। টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচ ও একাই জেতাল। আমার ধারণা, এটি অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। অনেক নির্ভার হয়ে এখন অধিনায়কত্ব করতে পারবে ও। আর আজও (কাল) দেখলেন না বিপদের সময় কী অসাধারণ এক ইনিংস খেলল মুশফিক!
প্রশ্ন : মুশফিকের মধ্যে অধিনায়কত্বের গুণাবলি কি আপনি আগে থেকেই দেখেছেন?
শফিকুল : অবশ্যই। বয়সভিত্তিক দলে ও অধিনায়কত্ব করেছে। জাতীয় দলের সহ-অধিনায়কও ছিল। আমি যখন জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলাম, দেখেছি ওর মধ্যে অধিনায়কত্বের গুণাবলি ভালোভাবেই আছে। উইকেটরক্ষক তো, কাজটি তাই অনেক সহজ হয়ে যায়। আমি নিজে উইকেটরক্ষক ছিলাম বলেই জানি। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারে গ্লাভস হাতে স্টাম্পের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি। তাদের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনা করে বোলারকে সে অনুযায়ী টিপস দিতে পারে, সাজাতে পারে ফিল্ডিং। এ কারণেই অধিনায়ক মুশফিকের সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
প্রশ্ন : দুঃস্বপ্নের জিম্বাবুয়ে সফরের পর এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ। এখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?
শফিকুল : দেখুন, টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে জিতে এরই মধ্যে নিজেদের সামর্থ্য আমরা প্রমাণ করেছি। নিজেদের উইকেটে পরিচিত কন্ডিশনে খেলা। আর বছর দুয়েক আগে এই দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে কিন্তু আমরাই জিতেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি দুর্বল ছিল_এই তো বলবেন! তবে খেয়াল করলে দেখবেন, প্রায় ওই দলটিই কিন্তু আছে ওদের। নতুন কয়েকজন যোগ হয়েছে কেবল। একসঙ্গে অনেক দিন খেলতে খেলতে ওরা আরো অভিজ্ঞ হয়েছে, এই যা। আমি তো বলব, এই সিরিজে বাংলাদেশই ফেভারিট আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আন্ডারডগ।
প্রশ্ন : কিন্তু সেই ফেভারিট দল যে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়ার শঙ্কায়...
শফিকুল : কেন? আমি কিন্তু হাল ছাড়ছি না। আমরা ২২০ রান করেছি না? আমার মনে হয়, এই স্কোর নিয়েও জেতা সম্ভব। বোলারদের শুধু নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। তবে আড়াই শ রান করতে পারলে আমি জোর গলায় বলতাম, জিতবই। আমার মতে, প্রথম ওয়ানডেতেও টস জিতে আমাদের আগে ব্যাটিং করা উচিত ছিল। সেদিন পরে ব্যাটিং করে ২৫৮ করেছি। ওই রান শুরুতে করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই জিততাম। দেখাই যাক না আজ ছেলেরা কিভাবে ২২০ রান ডিফেন্ড করে।
প্রশ্ন : নতুন অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের শুরুটা কেমন হলো?
শফিকুল : বেশ ভালো। টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচ ও একাই জেতাল। আমার ধারণা, এটি অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। অনেক নির্ভার হয়ে এখন অধিনায়কত্ব করতে পারবে ও। আর আজও (কাল) দেখলেন না বিপদের সময় কী অসাধারণ এক ইনিংস খেলল মুশফিক!
প্রশ্ন : মুশফিকের মধ্যে অধিনায়কত্বের গুণাবলি কি আপনি আগে থেকেই দেখেছেন?
শফিকুল : অবশ্যই। বয়সভিত্তিক দলে ও অধিনায়কত্ব করেছে। জাতীয় দলের সহ-অধিনায়কও ছিল। আমি যখন জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলাম, দেখেছি ওর মধ্যে অধিনায়কত্বের গুণাবলি ভালোভাবেই আছে। উইকেটরক্ষক তো, কাজটি তাই অনেক সহজ হয়ে যায়। আমি নিজে উইকেটরক্ষক ছিলাম বলেই জানি। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারে গ্লাভস হাতে স্টাম্পের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি। তাদের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনা করে বোলারকে সে অনুযায়ী টিপস দিতে পারে, সাজাতে পারে ফিল্ডিং। এ কারণেই অধিনায়ক মুশফিকের সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
প্রশ্ন : দুঃস্বপ্নের জিম্বাবুয়ে সফরের পর এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ। এখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?
শফিকুল : দেখুন, টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে জিতে এরই মধ্যে নিজেদের সামর্থ্য আমরা প্রমাণ করেছি। নিজেদের উইকেটে পরিচিত কন্ডিশনে খেলা। আর বছর দুয়েক আগে এই দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে কিন্তু আমরাই জিতেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি দুর্বল ছিল_এই তো বলবেন! তবে খেয়াল করলে দেখবেন, প্রায় ওই দলটিই কিন্তু আছে ওদের। নতুন কয়েকজন যোগ হয়েছে কেবল। একসঙ্গে অনেক দিন খেলতে খেলতে ওরা আরো অভিজ্ঞ হয়েছে, এই যা। আমি তো বলব, এই সিরিজে বাংলাদেশই ফেভারিট আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আন্ডারডগ।
প্রশ্ন : কিন্তু সেই ফেভারিট দল যে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়ার শঙ্কায়...
শফিকুল : কেন? আমি কিন্তু হাল ছাড়ছি না। আমরা ২২০ রান করেছি না? আমার মনে হয়, এই স্কোর নিয়েও জেতা সম্ভব। বোলারদের শুধু নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। তবে আড়াই শ রান করতে পারলে আমি জোর গলায় বলতাম, জিতবই। আমার মতে, প্রথম ওয়ানডেতেও টস জিতে আমাদের আগে ব্যাটিং করা উচিত ছিল। সেদিন পরে ব্যাটিং করে ২৫৮ করেছি। ওই রান শুরুতে করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই জিততাম। দেখাই যাক না আজ ছেলেরা কিভাবে ২২০ রান ডিফেন্ড করে।
No comments