নারীর ক্ষমতায়নে দেশ এগিয়েছে আবার পিছিয়েও আছে
বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১২ : লিঙ্গ সমতা এবং উন্নয়ন' বিষয়ক প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে 'থিংক ইক্যুয়াল' শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, 'বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে অনেক কিছুতে পিছিয়ে আছে তবে এ কথাও সত্যি, আমরা অনেক কিছুতেই এগিয়ে আছি। ৫০ বা ৬০ বছর আগেও দেশের বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যেত ১৬ বছরের মধ্যে। ১৫, ১৪, ১৩ এমনকি ১০-১১ বছরেও মেয়েদের বিয়ে হতো। অবস্থার এখন কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে।
গত বছর আমরা জেন্ডার বাজেট করেছি। শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নতি হয়েছে।' ফতোয়াকেই নারীর ক্ষমতায়নে প্রধান অন্তরায় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে শরিয়তের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। দেশের অনেক জায়গায় এখনো ফতোয়া প্রচলিত আছে। তবে আমরা আশা করছি, খুব শিগগির এসব থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারব। বর্তমান সরকার নারীর সমতায় বিশ্বাস করে।' বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কেবল নারী ও শিশুবিষয়ক নয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নারীদের দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কো-ডিরেক্টর সুধীর শেঠি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে ভালো উন্নতি হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ৮২.৯ শতাংশ ছেলে পড়লেও মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হার ৮৯.৯ শতাংশ। শ্রমেও নারীদের অংশগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে এখনো বেতনের ক্ষেত্রে পুরুষ যেখানে এক ডলার রোজগার করে, সেখানে নারী মাত্র ১২ সেন্ট আয় করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ নারীর সমতায় বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, 'আমাদের সমাজব্যবস্থায় নারীর সমতা অর্জনে প্রতিবেশীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সমাজ পরিবর্তনে, নারীর ক্ষমতায়নে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।'
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইলেন গোল্ডস্ট্রেইন বলেন, সারা বিশ্বেই নারীর ক্ষমতায়নের ওপর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উৎপাদন নির্ভর করে। অর্থনীতির সাফল্য আসে নারীদের ক্ষমতায়নের হাত ধরে। এখনো বাংলাদেশসহ বিশ্বের কারখানা এবং ব্যবসাক্ষেত্রে নারীদের বেতন কাঠামোতে বৈষম্য রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে ১৫ বছরের আগেই। দুই দশকে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে, নারীরা শ্রমের বাজারে কাজ করছেন। এ ছাড়া পরিবারে এবং সমাজে নারীদের অংশগ্রহণ, তাদের গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালোমেঘ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর আফরোজ হ্যাপি, বেসরকারি সংস্থা 'নতুন জীবন'-এর প্রতিনিধি জামালপুরের শামীমা আক্তার রত্না, 'এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব ওমেনে'র শিক্ষার্থী অনন্যা পাল কৌশী।
বিশ্বব্যাংকের কো-ডিরেক্টর সুধীর শেঠি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে ভালো উন্নতি হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ৮২.৯ শতাংশ ছেলে পড়লেও মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হার ৮৯.৯ শতাংশ। শ্রমেও নারীদের অংশগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে এখনো বেতনের ক্ষেত্রে পুরুষ যেখানে এক ডলার রোজগার করে, সেখানে নারী মাত্র ১২ সেন্ট আয় করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ নারীর সমতায় বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, 'আমাদের সমাজব্যবস্থায় নারীর সমতা অর্জনে প্রতিবেশীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সমাজ পরিবর্তনে, নারীর ক্ষমতায়নে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।'
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইলেন গোল্ডস্ট্রেইন বলেন, সারা বিশ্বেই নারীর ক্ষমতায়নের ওপর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উৎপাদন নির্ভর করে। অর্থনীতির সাফল্য আসে নারীদের ক্ষমতায়নের হাত ধরে। এখনো বাংলাদেশসহ বিশ্বের কারখানা এবং ব্যবসাক্ষেত্রে নারীদের বেতন কাঠামোতে বৈষম্য রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে ১৫ বছরের আগেই। দুই দশকে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে, নারীরা শ্রমের বাজারে কাজ করছেন। এ ছাড়া পরিবারে এবং সমাজে নারীদের অংশগ্রহণ, তাদের গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালোমেঘ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর আফরোজ হ্যাপি, বেসরকারি সংস্থা 'নতুন জীবন'-এর প্রতিনিধি জামালপুরের শামীমা আক্তার রত্না, 'এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব ওমেনে'র শিক্ষার্থী অনন্যা পাল কৌশী।
No comments