জাবির পঞ্চম সমাবর্তন by মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সভাপতিত্ব করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীদের সনদপত্র প্রদান করবেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম সমাবর্তনে ভাষণ দেবেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করায় বিভিন্ন নামে প্রদত্ত ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তিপ্রাপ্ত ২০ জনেরও অধিক গ্র্যাজুয়েটকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রদান করবেন। সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে বর্ণিলরূপে। উৎসবের অপেক্ষায় সবকিছুতেই যেন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশাল এলাকাজুড়ে সমাবর্তন প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে।
পঞ্চম সমাবর্তন যখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন এ বিশ্ববিদ্যালয় ৪৫ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। তবে এর আগে ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে ক্লাস শুরু হয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ হাজার ১৮৬ জন স্নাতক (সম্মান) ও ১৯ হাজার ৮৯৬ জন স্নাতকোত্তর, ২৭৭ জন এমফিল গবেষক ও ৫৪৫ জন পিএইচডি গবেষক তাদের গবেষণা সম্পন্ন করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রথম সমাবর্তনে নিবন্ধকৃত গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪৮৪ জন, দ্বিতীয় সমাবর্তনে ৫ হাজার ১২ জন, তৃতীয় সমাবর্তনে ৪ হাজার ৩৮৩, চতুর্থ সমাবর্তনে ৩ হাজার ৮৭৪ জন, ২২ জন এমফিল এবং ৫৩ জন পিএইচডি। পঞ্চম সমাবর্তনে প্রায় ৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী অংশগ্রহণ করছেন।
৪৫ বছরের পথ পরিক্রমায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণাসহ নানা ক্ষেত্রে গৌরব রচনা করেছে। এ গৌরবের সর্বশেষ সংযুক্তি ঘটেছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'প্রথম নারী উপাচার্য' যোগদানের মধ্য দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ২ মার্চ ২০১৪ তারিখে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে এ অনন্য গৌরব রচনা করেন। অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম নির্বাচিত উপাচার্য। তিনি সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে প্রথম হয়েছিলেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সুনাম বহুলাংশে নির্ভর করে তার শিক্ষা ও গবেষণা কর্মকাণ্ড দিয়ে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা দেশ-বিদেশে সম্মানজনক অনেক পুরস্কার, অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় শিক্ষা ও সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, কানাডা, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, ইতালি, বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় নিয়োজিত থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছরের অগ্রযাত্রায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমেই তার প্রত্যাশা পূরণে ধাবমান। যে একটি মাত্র আবাসিক হল দিয়ে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হল সংখ্যা ১৬। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। বিশাল আয়তনের এ ক্যাম্পাসে বর্তমান শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে।
উপ-পরিচালক, জনসংযোগ অফিস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পঞ্চম সমাবর্তন যখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন এ বিশ্ববিদ্যালয় ৪৫ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। তবে এর আগে ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে ক্লাস শুরু হয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ হাজার ১৮৬ জন স্নাতক (সম্মান) ও ১৯ হাজার ৮৯৬ জন স্নাতকোত্তর, ২৭৭ জন এমফিল গবেষক ও ৫৪৫ জন পিএইচডি গবেষক তাদের গবেষণা সম্পন্ন করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রথম সমাবর্তনে নিবন্ধকৃত গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪৮৪ জন, দ্বিতীয় সমাবর্তনে ৫ হাজার ১২ জন, তৃতীয় সমাবর্তনে ৪ হাজার ৩৮৩, চতুর্থ সমাবর্তনে ৩ হাজার ৮৭৪ জন, ২২ জন এমফিল এবং ৫৩ জন পিএইচডি। পঞ্চম সমাবর্তনে প্রায় ৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী অংশগ্রহণ করছেন।
৪৫ বছরের পথ পরিক্রমায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণাসহ নানা ক্ষেত্রে গৌরব রচনা করেছে। এ গৌরবের সর্বশেষ সংযুক্তি ঘটেছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'প্রথম নারী উপাচার্য' যোগদানের মধ্য দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ২ মার্চ ২০১৪ তারিখে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে এ অনন্য গৌরব রচনা করেন। অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম নির্বাচিত উপাচার্য। তিনি সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে প্রথম হয়েছিলেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সুনাম বহুলাংশে নির্ভর করে তার শিক্ষা ও গবেষণা কর্মকাণ্ড দিয়ে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা দেশ-বিদেশে সম্মানজনক অনেক পুরস্কার, অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় শিক্ষা ও সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, কানাডা, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, ইতালি, বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় নিয়োজিত থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছরের অগ্রযাত্রায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমেই তার প্রত্যাশা পূরণে ধাবমান। যে একটি মাত্র আবাসিক হল দিয়ে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হল সংখ্যা ১৬। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। বিশাল আয়তনের এ ক্যাম্পাসে বর্তমান শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে।
উপ-পরিচালক, জনসংযোগ অফিস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments