ঝড় তুলবে ঝাড়ু?
(অরবিন্দ
কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রতীক ঝাড়ু। দিল্লি
বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়ু প্রতীক ঝড় তুলতে পারবে কি না, তা জানা যাবে ১০
ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণার দিন। ছবি: এএফপি) কাল
বাদে পরশু দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। কে আসছেন মসনদে—এ নিয়ে চলছে শেষ
মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ। গতকাল বুধবার বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে
জানানো হয়, নির্বাচনপূর্ব জরিপ ও গুঞ্জন যদি সত্যি হয়, তবে দিল্লির
ক্ষমতায় আবার আসছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি
(এএপি)।
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। তিনটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থার জরিপ বলছে, নির্বাচনে এএপি ৩৭টি আসন পেতে পারে। সরকার গঠন করতে প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে তা দুটি বেশি। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও এর মিত্ররা পেতে পারে ২৯টি আসন। আর কংগ্রেস পেতে পারে চারটি আসন।
জরিপের আভাসের চেয়েও বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এএপি। দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নির্বাচন-বিশ্লেষক যোগেন্দ্র যাদবের দাবি, এএপি ৪০-৫০টি আসন পাবে। যাদবের দাবি অনুযায়ী ফলাফল হলে সেটি হবে এএপির জয়জয়কার। আর বিজেপির হবে ভরাডুবি।
৪৬ বছর বয়সী সাবেক আমলা কেজরিওয়ালের রাজনীতিতে অভিষেক হয় ২০১৩ সালে। তখনকার দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে তাঁর দল ২৮টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠন করে এএপি। মুখ্যমন্ত্রী হন কেজরিওয়াল। তবে তাঁর ক্ষমতা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। দুর্নীতিবিরোধী বিলকে কেন্দ্র করে মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় তাঁর সরকার পদত্যাগ করে।
গত বছর ভারতের সাধারণ নির্বাচনে এএপির ভরাডুবি হয়। দলটি মাত্র চারটি আসন পায়। দলের ৯৬ শতাংশ প্রার্থী জামানত হারান। বিজেপির নরেন্দ্র মোদির কাছে লজ্জাজনকভাবে হারেন কেজরিওয়াল। তখন পত্রিকায় শিরোনাম হয়, ‘দলকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল’।
বছর না ঘুরতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে এএপি। সবার ধারণা ভুল প্রমাণিত করেছেন কেজরিওয়াল। দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পেরেছে দলটি। কেজরিওয়ালের ইতিবাচক নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্ব পেয়েছে দিল্লির উন্নয়ন।
গতবার ক্ষমতা পেয়েও তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দিল্লির সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। এখন তিনি বলছেন, আবার নির্বাচিত হলে পুরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করবেন।
কেজরিওয়ালের ভক্ত নন—এমন একজন বিশ্লেষকের ভাষ্য, এএপির প্রধান অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের উন্নতি ঘটিয়েছেন। শব্দ চয়নে আগের চেয়ে বেশ সতর্ক তিনি। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন। এ বিষয়গুলো তাঁর ক্ষেত্রে নতুন।
অনেকের মতে, এবার কেজরিওয়ালকে তাঁর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বাস্তববাদী মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক ভিত্তি ও সুনাম নির্মাণে তাঁকে যত্নশীল দেখা গেছে।
বিশ্লেষক আজাজ আশরাফ বলেন, ক্ষমতা সম্পর্কে কেজরিওয়ালের ধারণা বদলছে। ভোটারদের শ্রদ্ধা ও শাসন ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন তিনি।
এএপির প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ দিচ্ছে বলে মনে হয় না।
অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, বিজেপি ভড়কে গেছে। তারা রীতিমতো আতঙ্কিত। এ কারণেই কেজরিওয়ালের বিপরীতে কিরণ বেদিকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছে মোদি-শাহ জুটি।
ইতিহাসবিদ মুকুল কাসাভানের মতে, বিজেপির কিরণ বেদিকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হয়নি।
এখানেই থেমে নেই বিজেপি। দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে দলটি সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন। মোদির জন্য এ নির্বাচনকে একটি কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চিরাচরিত জাতিপ্রথা ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতিতে দিল্লির ভোটাররা ত্যক্তবিরক্ত। সেই প্রেক্ষাপটে ভোটারদের মনের আশার সঞ্চার ঘটিয়েছেন কেজরিওয়াল। বেড়েছে তাঁর সমর্থন।
কেজরিওয়ালের দলের প্রতীক ঝাড়ু। শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়ু প্রতীক কি ঝড় তুলতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ফলাফল ঘোষণার দিন—১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। তিনটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থার জরিপ বলছে, নির্বাচনে এএপি ৩৭টি আসন পেতে পারে। সরকার গঠন করতে প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে তা দুটি বেশি। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও এর মিত্ররা পেতে পারে ২৯টি আসন। আর কংগ্রেস পেতে পারে চারটি আসন।
জরিপের আভাসের চেয়েও বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এএপি। দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নির্বাচন-বিশ্লেষক যোগেন্দ্র যাদবের দাবি, এএপি ৪০-৫০টি আসন পাবে। যাদবের দাবি অনুযায়ী ফলাফল হলে সেটি হবে এএপির জয়জয়কার। আর বিজেপির হবে ভরাডুবি।
৪৬ বছর বয়সী সাবেক আমলা কেজরিওয়ালের রাজনীতিতে অভিষেক হয় ২০১৩ সালে। তখনকার দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে তাঁর দল ২৮টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠন করে এএপি। মুখ্যমন্ত্রী হন কেজরিওয়াল। তবে তাঁর ক্ষমতা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। দুর্নীতিবিরোধী বিলকে কেন্দ্র করে মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় তাঁর সরকার পদত্যাগ করে।
গত বছর ভারতের সাধারণ নির্বাচনে এএপির ভরাডুবি হয়। দলটি মাত্র চারটি আসন পায়। দলের ৯৬ শতাংশ প্রার্থী জামানত হারান। বিজেপির নরেন্দ্র মোদির কাছে লজ্জাজনকভাবে হারেন কেজরিওয়াল। তখন পত্রিকায় শিরোনাম হয়, ‘দলকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল’।
বছর না ঘুরতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে এএপি। সবার ধারণা ভুল প্রমাণিত করেছেন কেজরিওয়াল। দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পেরেছে দলটি। কেজরিওয়ালের ইতিবাচক নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্ব পেয়েছে দিল্লির উন্নয়ন।
গতবার ক্ষমতা পেয়েও তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দিল্লির সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। এখন তিনি বলছেন, আবার নির্বাচিত হলে পুরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করবেন।
কেজরিওয়ালের ভক্ত নন—এমন একজন বিশ্লেষকের ভাষ্য, এএপির প্রধান অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের উন্নতি ঘটিয়েছেন। শব্দ চয়নে আগের চেয়ে বেশ সতর্ক তিনি। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন। এ বিষয়গুলো তাঁর ক্ষেত্রে নতুন।
অনেকের মতে, এবার কেজরিওয়ালকে তাঁর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বাস্তববাদী মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক ভিত্তি ও সুনাম নির্মাণে তাঁকে যত্নশীল দেখা গেছে।
বিশ্লেষক আজাজ আশরাফ বলেন, ক্ষমতা সম্পর্কে কেজরিওয়ালের ধারণা বদলছে। ভোটারদের শ্রদ্ধা ও শাসন ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন তিনি।
এএপির প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ দিচ্ছে বলে মনে হয় না।
অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, বিজেপি ভড়কে গেছে। তারা রীতিমতো আতঙ্কিত। এ কারণেই কেজরিওয়ালের বিপরীতে কিরণ বেদিকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছে মোদি-শাহ জুটি।
ইতিহাসবিদ মুকুল কাসাভানের মতে, বিজেপির কিরণ বেদিকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হয়নি।
এখানেই থেমে নেই বিজেপি। দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে দলটি সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন। মোদির জন্য এ নির্বাচনকে একটি কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চিরাচরিত জাতিপ্রথা ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতিতে দিল্লির ভোটাররা ত্যক্তবিরক্ত। সেই প্রেক্ষাপটে ভোটারদের মনের আশার সঞ্চার ঘটিয়েছেন কেজরিওয়াল। বেড়েছে তাঁর সমর্থন।
কেজরিওয়ালের দলের প্রতীক ঝাড়ু। শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়ু প্রতীক কি ঝড় তুলতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ফলাফল ঘোষণার দিন—১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
No comments