ব্যবসায়ীদের বৈঠকে হট্টগোল
দেশের
বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এফবিসিসিআইয়ের দেয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নের
জন্য ডাকা সমন্বয় সভায় ব্যবসায়ীদের মাঝে হট্টগোল হয়েছে। সভায় এক ব্যবসায়ী
‘খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানে ভোগবিলাস করেছেন’ এমন বক্তব্য
দেয়ায় এ হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। গতকাল এফবিসিসিআই ‘দেশ বাঁচাও, অর্থনীতি
বাঁচাও, হরতাল-অবরোধ আইন করে বন্ধ কর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে তিনি
রোববার ১৫ মিনিটের জন্য সারা দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সাদা পতাকা
হাতে নিয়ে আইন করে হরতাল-অবরোধ বন্ধ করার আহ্বান জানান। বৈঠকে উপস্থিত
ব্যবসায়ীরা জানান, ফজলে এলাহী নামের এক ব্যবসায়ী খালেদা জিয়াকে নিয়ে
কটূক্তি করে বক্তব্য দেন। এ সময় সংগঠনের অন্য নেতারা প্রতিবাদ করেন। এতে
দুই পক্ষের নেতাদের উচ্চ-বাক্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদকারীরা বলেন,
এখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া যাবে না। কোন জাতীয় নেতার বিরুদ্ধে কোন
ব্যবসায়ী মন্তব্য করতে পারবেন না। যার যে দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে তা মনে
মনে রাখবেন। অন্তত এ জায়গায় রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ
অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ হট্টগোল চলতে থাকে। একপর্যায়ে সংগঠনের সহসভাপতি হেলাল
উদ্দিন বলেন, সভার শুরুতেই বলা হয়েছে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা করতে চাই, রাজনীতি নয়। সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি কাজী
আকরাম উদ্দিন আহমেদের নির্দেশে সংগঠনটির সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন
আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করেন। হেলাল বলেন, আমরা সবাই এক আছি।
আমরা কোন জ্বালাও-পোড়াও চাই না। এদিকে আলোচনা সভা শেষে এফবিসিসিআই
সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী রোববার ১৫ মিনিটের জন্য সারা
দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায়
অবস্থান করে হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদ জানাবেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে সাদা
পতাকা হাতে নিয়ে আইন করে হরতাল-অবরোধ বন্ধ করার দাবিও জানাবেন তারা।
কাজী আকরাম বলেন, রোববার দেশব্যাপী পতাকা হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আমরা রাজনীতিবিদদের জানাতে চাই, আমরা ব্যবসায়ী; সংঘাত চাই না, ব্যবসা করতে চাই। দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১২.১৫মি. পর্যন্ত সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। উপস্থিত ব্যবসায়ীদের তিনি জানান, এফবিসিসিআইয়ের নির্ধারিত লেখা দিয়েই সবাইকে বেনার-ফেস্টুন বানাতে হবে। এর বাইরে কোন সংগঠন কিংবা রাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।
চলমান অস্থিতিশীল রাজনীতি প্রসঙ্গে কাজী আকরাম বলেন, কখন কোথায় আগুন দেয়া হলো তা নিয়ে প্রতিদিনই আতঙ্কে থাকি। হরতাল-অবরোধে সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হচ্ছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আইন করে এসব বন্ধ করা হোক। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আইন করা না গেলে হরতাল-অবরোধ বন্ধে অন্তত এমন আইন করা হোক যে, যারাই বিরোধী দলে থাকুক না কেন ব্যবসায়ীদের যেন কোন ক্ষতি করতে না পারে। দুই নেত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০১৩ সালে আমরা ব্যবসায়ীরা দুই নেত্রীকে চেষ্টা করেও আলোচনায় বসাতে পারিনি। আবারও চেষ্টা করবো। কর্মসূচি পালনের পর সময় নির্ধারণ করে দুই নেত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হবে। আলোচনায় বসার অনুরোধ করা হবে।
বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী নেতাদের আরও কঠোর হতে হবে। তাদের প্রতিবাদী ভাষা কেবল জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। কারণ গত এক মাসের হরতাল-অবরোধে ব্যবসা খাতে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর দাবি জানান তারা। হরতাল-অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে কোন ভ্যাট না দেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রথম সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, বর্তমান প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন ও পরিচালক এমএ মোমেন প্রমুখ।
কাজী আকরাম বলেন, রোববার দেশব্যাপী পতাকা হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আমরা রাজনীতিবিদদের জানাতে চাই, আমরা ব্যবসায়ী; সংঘাত চাই না, ব্যবসা করতে চাই। দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১২.১৫মি. পর্যন্ত সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। উপস্থিত ব্যবসায়ীদের তিনি জানান, এফবিসিসিআইয়ের নির্ধারিত লেখা দিয়েই সবাইকে বেনার-ফেস্টুন বানাতে হবে। এর বাইরে কোন সংগঠন কিংবা রাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।
চলমান অস্থিতিশীল রাজনীতি প্রসঙ্গে কাজী আকরাম বলেন, কখন কোথায় আগুন দেয়া হলো তা নিয়ে প্রতিদিনই আতঙ্কে থাকি। হরতাল-অবরোধে সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হচ্ছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আইন করে এসব বন্ধ করা হোক। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আইন করা না গেলে হরতাল-অবরোধ বন্ধে অন্তত এমন আইন করা হোক যে, যারাই বিরোধী দলে থাকুক না কেন ব্যবসায়ীদের যেন কোন ক্ষতি করতে না পারে। দুই নেত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০১৩ সালে আমরা ব্যবসায়ীরা দুই নেত্রীকে চেষ্টা করেও আলোচনায় বসাতে পারিনি। আবারও চেষ্টা করবো। কর্মসূচি পালনের পর সময় নির্ধারণ করে দুই নেত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হবে। আলোচনায় বসার অনুরোধ করা হবে।
বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী নেতাদের আরও কঠোর হতে হবে। তাদের প্রতিবাদী ভাষা কেবল জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। কারণ গত এক মাসের হরতাল-অবরোধে ব্যবসা খাতে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর দাবি জানান তারা। হরতাল-অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে কোন ভ্যাট না দেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রথম সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, বর্তমান প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন ও পরিচালক এমএ মোমেন প্রমুখ।
No comments