সংলাপের সম্ভাবনা অন্ধকারে ঢাকা by এস এম ফজলে আলী
বিএনপি
সংলাপ চায়। তারা সংলাপের জন্য দীর্ঘ একটি বছর অপেক্ষা করেছেÑ কোনো
আন্দোলনে যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার জোট সরকার নির্বাচনের আগে ও পরে
সে সংলাপ করার ওয়াদা করেও তা থেকে সরে গেছে। এরা এখন বলছে, তাদের সরকারের
মেয়াদ শেষ হলে ২০১৯ সালে এ ব্যাপারে ভেবে দেখবে। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ ও ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ প্রায় সবাই সংলাপে বসার তাগিদ
দিচ্ছেন। একই আহ্বান জানাচ্ছেন বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকেরাও।
জাতিসঙ্ঘ সঙ্ঘাত থামিয়ে সংলাপে বসার অনুরোধ জানিয়েছে উভয় দলকে। কিন্তু শাসক
দল আওয়ামী লীগ সংলাপের বিপক্ষে অনড়। সংলাপের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপিকে
মোকাবেলা করার জন্য পাড়ায় পাড়ায় কমিটির নামে দলীয় লাল বাহিনীকে
আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। অধিকন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে
আওয়ামী লীগ সরকারের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করে আন্দোলনকারীদের গুম, খুন,
মামলা-হামলা দেশের সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সমানে চালিয়ে যাচ্ছে। এরা
যে জনগণের টাকায় লালিতপালিত ও তাদের সেবক, সে কথা বেমালুম ভুলে গেছে।
পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির প্রধানেরা রাজনৈতিক নেতাদের মতো ধর মার কাটের মতো
বক্তব্য দিচ্ছেন। এরা জনগণকে গ্রেফতারের বাণিজ্য সমানে চালিয়ে যাচ্ছেন। এ
অবস্থায় বিভিন্ন মহলের আশঙ্কা, শিগগিরই সংলাপ হচ্ছে না। চলমান রাজনৈতিক
অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এরা।
অবরোধের ২১তম দিন আজ (২৪ জানুয়ারি ২০১৫)। শনিবার ১৭ জানুয়ারি রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া সরকারের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা পুলিশের আইজি শহিদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বিজিবির মহাপরিচালক আবদুল আজিজের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা বিএনপিসহ দেশের সব সচেতন মহল করে যাচ্ছে। এরা জনগণের সেবক হয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য কিভাবে দেন? তাদের রাজনীতি করার খায়েশ হলে এরা উর্দি ছেড়ে, সরকারের পদ-পদবি ছেড়ে মাঠে নামছেন না কেন? জনগণ তাদেরকে কোনো একটি দলীয় সরকারের লেজুড়বৃত্তি করার জন্য কোষাগার থেকে তাদের পেছনে খরচ করার নজির বিশ্বের কোথাও নেইÑ আছে শুধু বাংলাদেশে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িঘরে হানা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, গুম ও হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে দেশের সুশীল ও সচেতন নাগরিকেরা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তো প্রথম থেকেই বলে আসছেন, ‘সফলতা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’। সবশেষে তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত জনসভা করতে দিলে তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। শাসক দলের জনসভা করতে দিতে এত আপত্তি কেন? তিনি তো বলেছেন, জনসভা হবে শান্তিপূর্ণ। এর আগে তিনি ১১টি মহাসমাবেশ করেছেন; কোনোটায় তো কোনো অশান্তি হয়নি। তার গাজীপুরের সমাবেশকে অন্যায় ও অবৈধভাবে শাসক দল ও তাদের সাঙাতরা বানচাল করে দেয়ায় বিরোধের সৃষ্টি হয়। ২০ দল ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করতে চাইলে তার অনুমোদন সরকারের ইঙ্গিতে ডিএমপি দেয়নি। শুধু তা-ই নয়, বেগম খালেদা জিয়াকে তার অফিস কার্যালয়ে এমনভাবে বন্দী করে রাখা হয় যেন তিনি দেশদ্রোহী কোনো নেতা। এ ধরনের নজিরবিহীন বন্দী অবস্থা বাংলাদেশে এর আগে আর কখনো কেউ দেখেনি। খালেদা জিয়া কি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন? সরকারের এসব অমানবিক কাণ্ডে খালেদা জিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেনÑ ‘সফলতা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’। এরপর তিনি বলেন, ২০ দলকে সভা করতে দিলে তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু সরকার নিজেদের এমন নাজুক অবস্থায় মনে করছে যে, তা করতে দিলে তাদের মহা বিপর্যয় হয়ে যাবে।
শান্তির জন্য সংলাপের আহ্বান দেশের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আসছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উভয় দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশে যা চলছে তা থেকে মুক্তি পেতে হলে দুই দলকেই আলোচনায় বসতে হবে। এরশাদের আগে আরেক সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি দুই দলকে উদ্দেশে করে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় বসুন। নিজেরা না বসলে বিদেশী চাপে বসতে হতে পারে। সেটা হবে খুবই লজ্জার ব্যাপার। চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন নিজেদের মধ্যে। তাদের বৈঠকের পর সম্প্রতি কূটনীতিকদের ডেকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের গুলশানের বাসায় বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী আটটি দেশের কূটনীতিকেরা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, বিএনপি বিদেশী কূটনীতিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। অথচ ওই কূটনীতিকদের নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফলাও করে বৈঠক করেছেন, তাতে কি দোষের কিছু নেই? আমরা মনে করি, দেশের রাজনৈতিক সমস্যা দেশের রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে। বিদেশী প্রেসক্রিপশনে এর আগেও কোনো সঙ্কটের সমাধান হয়নি।
দেশের সাধারণ জনগণ চায় অর্থপূর্ণ সংলাপ। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা নানাভাবে বলে যাচ্ছেন অতি দ্রুত অর্থপূর্ণ সংলাপ শুরু করার জন্য। সংলাপ শুরু হলে সমঝোতার পথও বেরিয়ে আসবে। এর মধ্য দিয়ে আগাম নির্বাচনের কথাও উঠে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ প্রশ্ন তুলেছেন, দেশে যখন রাজনৈতিক সঙ্কট রয়েছে তখন আলাপ-আলোচনা ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ আছে কি? এ ছাড়া বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, রাশেদা কে. চৌধুরী এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বাক্যে বলেছেন, সমঝোতা ছাড়া সঙ্কট নিরসনের অন্য কোনো উপায় নেই।
দেশে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিলে তা সমাধান করার জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হয়। গণতান্ত্রিক সরকারের এটাই নিয়ম। আর স্বৈরাচারী সরকার হলে গায়ের জোরে সব কিছু করতে চায়। ভবিষ্যতে এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে, একদিন এর জন্য তাকেই তার মাশুল দিতে হবে। দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে না হলে আগের মতো আবার তৃতীয় শক্তি এসে স্থান দখল করতে পারে। তখন সরকারি দলকেই বেশি খেসারত দিতে হয়।
সংলাপের ধোঁয়াসা দূর করার পদক্ষেপ নিয়ে হানাহানি, কাটাকাটি থেকে দেশকে মুক্তি দিন। এ কাজটি সরকারি দলের উদ্যোগেই হতে হবে। ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষ দেশের রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে। একে যদি আপনারা আরো উসকে দেন তাতে দেশ জ্বলেপুড়ে ছারখার হওয়ার আগেই জনগণ কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আশা করি, রাজনীতিবিদেরা সে পথে আর এগোবেন না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হারজিত কোনো ব্যাপারই নয়। এটা মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হয়।
লেখক : প্রকৌশলী
অবরোধের ২১তম দিন আজ (২৪ জানুয়ারি ২০১৫)। শনিবার ১৭ জানুয়ারি রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া সরকারের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা পুলিশের আইজি শহিদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বিজিবির মহাপরিচালক আবদুল আজিজের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা বিএনপিসহ দেশের সব সচেতন মহল করে যাচ্ছে। এরা জনগণের সেবক হয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য কিভাবে দেন? তাদের রাজনীতি করার খায়েশ হলে এরা উর্দি ছেড়ে, সরকারের পদ-পদবি ছেড়ে মাঠে নামছেন না কেন? জনগণ তাদেরকে কোনো একটি দলীয় সরকারের লেজুড়বৃত্তি করার জন্য কোষাগার থেকে তাদের পেছনে খরচ করার নজির বিশ্বের কোথাও নেইÑ আছে শুধু বাংলাদেশে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িঘরে হানা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, গুম ও হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে দেশের সুশীল ও সচেতন নাগরিকেরা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তো প্রথম থেকেই বলে আসছেন, ‘সফলতা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’। সবশেষে তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত জনসভা করতে দিলে তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। শাসক দলের জনসভা করতে দিতে এত আপত্তি কেন? তিনি তো বলেছেন, জনসভা হবে শান্তিপূর্ণ। এর আগে তিনি ১১টি মহাসমাবেশ করেছেন; কোনোটায় তো কোনো অশান্তি হয়নি। তার গাজীপুরের সমাবেশকে অন্যায় ও অবৈধভাবে শাসক দল ও তাদের সাঙাতরা বানচাল করে দেয়ায় বিরোধের সৃষ্টি হয়। ২০ দল ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করতে চাইলে তার অনুমোদন সরকারের ইঙ্গিতে ডিএমপি দেয়নি। শুধু তা-ই নয়, বেগম খালেদা জিয়াকে তার অফিস কার্যালয়ে এমনভাবে বন্দী করে রাখা হয় যেন তিনি দেশদ্রোহী কোনো নেতা। এ ধরনের নজিরবিহীন বন্দী অবস্থা বাংলাদেশে এর আগে আর কখনো কেউ দেখেনি। খালেদা জিয়া কি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন? সরকারের এসব অমানবিক কাণ্ডে খালেদা জিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেনÑ ‘সফলতা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’। এরপর তিনি বলেন, ২০ দলকে সভা করতে দিলে তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু সরকার নিজেদের এমন নাজুক অবস্থায় মনে করছে যে, তা করতে দিলে তাদের মহা বিপর্যয় হয়ে যাবে।
শান্তির জন্য সংলাপের আহ্বান দেশের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আসছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উভয় দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশে যা চলছে তা থেকে মুক্তি পেতে হলে দুই দলকেই আলোচনায় বসতে হবে। এরশাদের আগে আরেক সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি দুই দলকে উদ্দেশে করে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় বসুন। নিজেরা না বসলে বিদেশী চাপে বসতে হতে পারে। সেটা হবে খুবই লজ্জার ব্যাপার। চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন নিজেদের মধ্যে। তাদের বৈঠকের পর সম্প্রতি কূটনীতিকদের ডেকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের গুলশানের বাসায় বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী আটটি দেশের কূটনীতিকেরা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, বিএনপি বিদেশী কূটনীতিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। অথচ ওই কূটনীতিকদের নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফলাও করে বৈঠক করেছেন, তাতে কি দোষের কিছু নেই? আমরা মনে করি, দেশের রাজনৈতিক সমস্যা দেশের রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে। বিদেশী প্রেসক্রিপশনে এর আগেও কোনো সঙ্কটের সমাধান হয়নি।
দেশের সাধারণ জনগণ চায় অর্থপূর্ণ সংলাপ। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা নানাভাবে বলে যাচ্ছেন অতি দ্রুত অর্থপূর্ণ সংলাপ শুরু করার জন্য। সংলাপ শুরু হলে সমঝোতার পথও বেরিয়ে আসবে। এর মধ্য দিয়ে আগাম নির্বাচনের কথাও উঠে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ প্রশ্ন তুলেছেন, দেশে যখন রাজনৈতিক সঙ্কট রয়েছে তখন আলাপ-আলোচনা ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ আছে কি? এ ছাড়া বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, রাশেদা কে. চৌধুরী এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বাক্যে বলেছেন, সমঝোতা ছাড়া সঙ্কট নিরসনের অন্য কোনো উপায় নেই।
দেশে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিলে তা সমাধান করার জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হয়। গণতান্ত্রিক সরকারের এটাই নিয়ম। আর স্বৈরাচারী সরকার হলে গায়ের জোরে সব কিছু করতে চায়। ভবিষ্যতে এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে, একদিন এর জন্য তাকেই তার মাশুল দিতে হবে। দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে না হলে আগের মতো আবার তৃতীয় শক্তি এসে স্থান দখল করতে পারে। তখন সরকারি দলকেই বেশি খেসারত দিতে হয়।
সংলাপের ধোঁয়াসা দূর করার পদক্ষেপ নিয়ে হানাহানি, কাটাকাটি থেকে দেশকে মুক্তি দিন। এ কাজটি সরকারি দলের উদ্যোগেই হতে হবে। ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষ দেশের রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে। একে যদি আপনারা আরো উসকে দেন তাতে দেশ জ্বলেপুড়ে ছারখার হওয়ার আগেই জনগণ কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আশা করি, রাজনীতিবিদেরা সে পথে আর এগোবেন না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হারজিত কোনো ব্যাপারই নয়। এটা মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হয়।
লেখক : প্রকৌশলী
No comments