মিঠাপুকুরের ভাইস চেয়ারম্যানসহ নিখোঁজ চার জনের সন্ধান দাবি
রংপুর
জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইসÑচেয়ারম্যান আবদুল বাসেত
মারজানসহ নিখোঁজ চার জনের সন্ধান চান তাদের পরিবারে সদস্যরা। গতকাল জাতীয়
প্রেসক্লাবে এক সাংবাদ সম্মেলনে পুলিশের হাতে আটক আবদুল বাসেত মারজানের
স্ত্রী রোকাইয়া খানম লুকি একই এলাকার আল-আমীন, তার স্ত্রী বিউটি বেগম ও
তাদের প্রতিবেশী মৌসুমীর সন্ধান দাবি করেন। রোকাইয়া খানম লুকি বলেন, ১৪ই
জানুয়ারী মিঠাপুকুর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় ৪জন নিহত
হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌথবাহিনী সাধারণ মানুষের বাড়িÑঘরে হামলা,
ভাংচুর ও গণহারে গ্রেপ্তার করে। ঘটনা স্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে
অবস্থিত সিটলি গ্রাম থেকে গত ১৫ই জানুয়ারী প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার
মানুষের উপস্থিতিতে যৌথবাহিনী আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার স্ত্রী
বিউটি বেগম ও প্রতিবেশী মৌসুমী আল-আমিনকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে
তাদের সবাইকে আটক করে র্যাব অফিসে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার পর প্রায় ২২ দিন
অতিবাহিত হচ্ছে, অথচ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়নি এবং পরিবারের কাছেও
ফেরৎ দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, ৩১শেজানুয়ারী আমার স্বামী মিঠাপুকুর উপজেলার
ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মারজান পরিষদের কাজে ঢাকায় আসেন। তিনি
মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। ১লা
ফেব্রুয়ারী ভোর রাতে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে আমার
স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এরপর ৫ দিন অতিবাহিত হচ্ছে তাকে এখনো কোন
আদালতে সোপর্দ করা হয়নি এবং পরিবারের কাছেও ফেরৎ দেয়া হয়নি। তিনি বলেন,
আমরা এ ঘটনার পর পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে
যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আমরা আইনের
প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা যদি কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে তাদের বিচারের জন্য
আদালত আছে। তারা কোন অন্যায় করলে আমরা যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নিতে
প্রস্তুত আছি। কিন্তু বিনা-বিচারে দিনের পর দিন তাদেরকে আটকিয়ে রাখা
সম্পূর্ণ অন্যায়, অমানবিক ও মানবাধিকার পরিপন্থী। আমাদের পরিবারের মাঝে
সর্বদা অশান্তি, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আমার শিশু সন্তানরা তাদের
পিতার জন্য এবং আল-আমিন ও বিউটি বেগমের সন্তানরা তাদের বাবা-মায়ের জন্য
সর্বদা কান্না-কাটি করছে। তাদের খাওয়া-দাওয়া প্রায় বন্ধ।
No comments