প্রতিকারহীন সড়ক দুর্ঘটনা by এম আবদুল হাফিজ
যখনই দেশে কোনো চাঞ্চল্যকর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, যার সঙ্গে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির বা একই পরিবারের একাধিক সদস্যের মৃত্যু জড়িত থাকে, চাঞ্চল্যের মাত্রা সাপেক্ষে কর্তাব্যক্তিরা নড়েচড়ে বসেন এবং তাদের ওপর এতদসংক্রান্ত অর্পিত দায়িত্ব দায়সারাভাবে সম্পন্ন করে দায়মুক্তির তৃপ্তি খোঁজেন।
তারপর যথারীতি সড়ক পরিবহনের ধারা আগের মতোই চলতে থাকে এবং আরেকটি দুর্ঘটনার আগে এ দেশের একটি জোড়াতালি দেওয়া সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে কারও টনক নড়ে না। তারপর আবার কিছুদিনের জন্য বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ-দুঃখ, বক্তৃতা-বিবৃতি, তদন্ত, প্রতীকী এবং লোক দেখানো শাস্তি। আবার সেই সাক্ষাৎ যমদূত চালকদের কিছু লঘুদণ্ডের পর চালকের আসনে প্রত্যাবর্তন। ট্রাকে, বাসে, কাভার্ড ভ্যানে, যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক নিছক পরিবহন সংগঠনগুলোর আনুকূল্যে আর চাপাবাজির জোরে এরা চষে বেড়াচ্ছে সারাদেশ। কার্যত দেশের ১৬ কোটি মানুষ এদের ঔদ্ধত্য এবং বিচার-বুদ্ধিহীনতার কাছে জিম্মি।
জীবনের তাগিদেই এই ১৬ কোটি মানুষকে স্থান থেকে স্থানান্তরে যেতে হয়, ঝুঁকিও নিতে হয়। কিন্তু কস্মিনকালেও তারা নিরুদ্বেগ হতে পারে না। নিরুদ্বেগ হতে পারে না তাদের স্বজন। হাওয়ায় অপমৃত্যুর কোনো গন্ধ পেলেই তারা নির্ঘুম রাত অতিক্রম করে প্রিয়জনটির গন্তব্যে নিরাপদে পেঁৗছা পর্যন্ত। অনেকে সেভাবে পেঁৗছতে পারে, অনেকে পারে না। যেমন সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার শামীমের স্বজনরা অন্য আটজনসহ এই জননেতাকে হারিয়েছেন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বালাগঞ্জে ট্রাক-বাস সংঘর্ষে। কাকতালীয় হলেও ওই একই দিনে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে একই পরিবারের চারজন মৃত্যুবরণ করে। সেদিনই এ রাজধানীতেই দু'জন সাংবাদিক বাসের চাকায় পিষ্ট হন।
অহরহ এমন সব দুর্ঘটনা রাজধানীসহ দেশের আনাচ-কানাচে সংঘটিত হয়েই চলেছে। এর একটি ভগ্নাংশই শুধু সংবাদপত্রে স্থান পায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক দুর্ঘটনাই অজ্ঞাত থেকে যায়। এসব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দু'চারদিন মাতম চলে, তারপর অপেক্ষা আরও কোনো অধিক বীভৎস এবং ট্র্যাজিক দুর্ঘটনার খবর জানার। ওই পর্যন্তই। কারও সাহস নেই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি শৃঙ্খলা ও নিয়মে আনার। তার কারণ অনেক হলেও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ওকালতি। যদিও অন্য মন্ত্রীরাও কম যান না।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে একজন মন্ত্রীর উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তার কথায়_ অ্যাকসিডেন্ট ইজ অ্যাকসিডেন্ট, এ নিয়ে হৈচৈয়ের কী আছে? দায়িত্বশীলদের মানসিক গড়নই (গরহফংবঃ) যখন এ রকম, সেখানে এত অপমৃত্যু এবং তা ঘিরে অশ্রুপাতের কী যথার্থতা আছে। কিন্তু দুর্ঘটনাকবলিতদের স্বজনরা কি তা বুঝবেন? এমনকি দুর্ঘটনার আশঙ্কাপীড়িতদেরও সে কথা বোঝানো যাবে না। আমি একবার রাতের বাসে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসছিলাম। আমার সহযাত্রী আমার পাশের সিটেই বসা ছিল এবং তার সেলফোনটি গড়ে ১০ মিনিট পরপরই বাজছিল, যাতে আমার ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছিল। পরে জেনেছিলাম, বগুড়া থেকে তার সহোদররা সে নিরাপদে কত দূরে পেঁৗছেছে, সেটাই মনিটর করছিল। হায়রে মানুষের মন! যা মন্ত্রী বা কর্তাব্যক্তিদের কাছে দুর্বোধ্য। তারা শুধু জানেন তাদের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখা বা নিজ নিজ লভ্যাংশ সামাল দেওয়ার কায়দাকানুন।
হাজার সতর্কতা অবলম্বন করলেও দুর্ঘটনা হয়তো একেবারেই বন্ধ হবে না; কিন্তু তার যে মহামারীসদৃশ ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা তা অবশ্যই রোধ করা যাবে। তবে সমস্যা হলো, যিনি এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল পদ-পদবি আঁকড়ে ধরে আছেন তার এ ভয়াবহতা আমলে নেওয়ার প্রচণ্ড মানসিক অস্বীকৃতি। যদিও সবাই দায়িত্ব পালন করেন নিজের নিজের মতো করে। সম্প্রতি রাজধানীতে দুই সাংবাদিক পিষ্ট হওয়ার ব্যাপারে অপরাধী বাসচালককে গ্রেফতার করার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিক্রিয়া সংবাদপত্রে পড়েছি। অতীতে নির্বাহী প্রধানে এর চেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়ায়ও নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। উদ্ধত অযোগ্য-অদক্ষ বাস-ট্রাক চালকদের মধ্যে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। শুরুতেই বলেছি, কোনো চাঞ্চল্যকর দুর্ঘটনা ঘটলেই শুধু দায়িত্বশীলরা নড়েচড়ে বসেন। সম্ভব হলে চালককে গ্রেফতার করেন, অতঃপর দায়সারা একটি তদন্ত হয়; সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, যেখানে বিশেষজ্ঞরা তাদের মূল্যবান মতামত দেন_ তাও নিখুঁতভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। তারপর যখন চাঞ্চল্যের মাত্রা স্তিমিত হয়ে আসে এবং পুরো বিষয়টিই বিস্মৃতির আস্তরণে ঢেকে যায়_ কর্তাব্যক্তিরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যার কর্তৃত্বের আওতায় দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তিনি ঘোষণাই দিয়েছেন যে, তিনি একজন সফল মন্ত্রী। তার কি এ বোধশক্তি নেই যে, তার মতো সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকতে অহরহ সড়ক-মহাসড়কে মূর্তিমান মৃত্যুদূতসম ত্রুটিপূর্ণ এবং অদক্ষ চালক নিয়ন্ত্রিত বাস-ট্রাক অসংখ্য মূল্যবান জীবন কেড়ে নিচ্ছে। কেননা ওই অদক্ষ চালকদের জন্য কোনো কার্যকর প্রতিরোধক (উবঃবৎবহপব) নেই। পরিবহন শ্রমিকদের নেতা জনৈক মন্ত্রী এদের আইনের লম্বা হাত থেকে উদ্ধারে পারঙ্গম। নিজের স্বার্থেই তিনি নাকি এদের আগলে রাখেন এতটাই যে, এ অপরাধীদের 'ঘাতক'ও বলা যাবে না।
সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থায় আইনের সংশোধনী এনে এতে একটি আমূল পরিবর্তন না আনতে পারলে দুর্ঘটনার ছোবলে এবং এর যারা শিকার তাদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠবে দেশের আকাশ-বাতাস। সেই অনভিপ্রেত আবহ যাতে তৈরি হতে না পারে তার জন্য কর্তৃপক্ষ কি পারে না অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তির বিধান রাখতে বা লাইসেন্স ইস্যুতে দক্ষতা নিরূপণে কড়াকড়ি আরোপ বা ড্রাইভিংয়ের সময় নেশা, গতিবেগের সীমা লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত যাত্রী বা বোঝা বহন না করে নিরুপদ্রব ড্রাইভিং নিশ্চিত করতে? বরং দুঃখজনক যে, সরকারেরই কেউ কেউ উচ্ছৃঙ্খল ড্রাইভারদের অন্যায্য স্বার্থ রক্ষায় অসাধু তৎপরতায় মেতেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে কড়াকড়ি আরোপের বিরোধিতা করে রাজপথে গরু-ছাগলের পার্থক্য বুঝলেই প্রার্থীকে লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। কোথায় আছি আমরা?
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ :সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলাম লেখক
জীবনের তাগিদেই এই ১৬ কোটি মানুষকে স্থান থেকে স্থানান্তরে যেতে হয়, ঝুঁকিও নিতে হয়। কিন্তু কস্মিনকালেও তারা নিরুদ্বেগ হতে পারে না। নিরুদ্বেগ হতে পারে না তাদের স্বজন। হাওয়ায় অপমৃত্যুর কোনো গন্ধ পেলেই তারা নির্ঘুম রাত অতিক্রম করে প্রিয়জনটির গন্তব্যে নিরাপদে পেঁৗছা পর্যন্ত। অনেকে সেভাবে পেঁৗছতে পারে, অনেকে পারে না। যেমন সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার শামীমের স্বজনরা অন্য আটজনসহ এই জননেতাকে হারিয়েছেন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বালাগঞ্জে ট্রাক-বাস সংঘর্ষে। কাকতালীয় হলেও ওই একই দিনে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে একই পরিবারের চারজন মৃত্যুবরণ করে। সেদিনই এ রাজধানীতেই দু'জন সাংবাদিক বাসের চাকায় পিষ্ট হন।
অহরহ এমন সব দুর্ঘটনা রাজধানীসহ দেশের আনাচ-কানাচে সংঘটিত হয়েই চলেছে। এর একটি ভগ্নাংশই শুধু সংবাদপত্রে স্থান পায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক দুর্ঘটনাই অজ্ঞাত থেকে যায়। এসব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দু'চারদিন মাতম চলে, তারপর অপেক্ষা আরও কোনো অধিক বীভৎস এবং ট্র্যাজিক দুর্ঘটনার খবর জানার। ওই পর্যন্তই। কারও সাহস নেই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি শৃঙ্খলা ও নিয়মে আনার। তার কারণ অনেক হলেও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ওকালতি। যদিও অন্য মন্ত্রীরাও কম যান না।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে একজন মন্ত্রীর উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তার কথায়_ অ্যাকসিডেন্ট ইজ অ্যাকসিডেন্ট, এ নিয়ে হৈচৈয়ের কী আছে? দায়িত্বশীলদের মানসিক গড়নই (গরহফংবঃ) যখন এ রকম, সেখানে এত অপমৃত্যু এবং তা ঘিরে অশ্রুপাতের কী যথার্থতা আছে। কিন্তু দুর্ঘটনাকবলিতদের স্বজনরা কি তা বুঝবেন? এমনকি দুর্ঘটনার আশঙ্কাপীড়িতদেরও সে কথা বোঝানো যাবে না। আমি একবার রাতের বাসে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসছিলাম। আমার সহযাত্রী আমার পাশের সিটেই বসা ছিল এবং তার সেলফোনটি গড়ে ১০ মিনিট পরপরই বাজছিল, যাতে আমার ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছিল। পরে জেনেছিলাম, বগুড়া থেকে তার সহোদররা সে নিরাপদে কত দূরে পেঁৗছেছে, সেটাই মনিটর করছিল। হায়রে মানুষের মন! যা মন্ত্রী বা কর্তাব্যক্তিদের কাছে দুর্বোধ্য। তারা শুধু জানেন তাদের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখা বা নিজ নিজ লভ্যাংশ সামাল দেওয়ার কায়দাকানুন।
হাজার সতর্কতা অবলম্বন করলেও দুর্ঘটনা হয়তো একেবারেই বন্ধ হবে না; কিন্তু তার যে মহামারীসদৃশ ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা তা অবশ্যই রোধ করা যাবে। তবে সমস্যা হলো, যিনি এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল পদ-পদবি আঁকড়ে ধরে আছেন তার এ ভয়াবহতা আমলে নেওয়ার প্রচণ্ড মানসিক অস্বীকৃতি। যদিও সবাই দায়িত্ব পালন করেন নিজের নিজের মতো করে। সম্প্রতি রাজধানীতে দুই সাংবাদিক পিষ্ট হওয়ার ব্যাপারে অপরাধী বাসচালককে গ্রেফতার করার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিক্রিয়া সংবাদপত্রে পড়েছি। অতীতে নির্বাহী প্রধানে এর চেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়ায়ও নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। উদ্ধত অযোগ্য-অদক্ষ বাস-ট্রাক চালকদের মধ্যে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। শুরুতেই বলেছি, কোনো চাঞ্চল্যকর দুর্ঘটনা ঘটলেই শুধু দায়িত্বশীলরা নড়েচড়ে বসেন। সম্ভব হলে চালককে গ্রেফতার করেন, অতঃপর দায়সারা একটি তদন্ত হয়; সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, যেখানে বিশেষজ্ঞরা তাদের মূল্যবান মতামত দেন_ তাও নিখুঁতভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। তারপর যখন চাঞ্চল্যের মাত্রা স্তিমিত হয়ে আসে এবং পুরো বিষয়টিই বিস্মৃতির আস্তরণে ঢেকে যায়_ কর্তাব্যক্তিরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যার কর্তৃত্বের আওতায় দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তিনি ঘোষণাই দিয়েছেন যে, তিনি একজন সফল মন্ত্রী। তার কি এ বোধশক্তি নেই যে, তার মতো সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকতে অহরহ সড়ক-মহাসড়কে মূর্তিমান মৃত্যুদূতসম ত্রুটিপূর্ণ এবং অদক্ষ চালক নিয়ন্ত্রিত বাস-ট্রাক অসংখ্য মূল্যবান জীবন কেড়ে নিচ্ছে। কেননা ওই অদক্ষ চালকদের জন্য কোনো কার্যকর প্রতিরোধক (উবঃবৎবহপব) নেই। পরিবহন শ্রমিকদের নেতা জনৈক মন্ত্রী এদের আইনের লম্বা হাত থেকে উদ্ধারে পারঙ্গম। নিজের স্বার্থেই তিনি নাকি এদের আগলে রাখেন এতটাই যে, এ অপরাধীদের 'ঘাতক'ও বলা যাবে না।
সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থায় আইনের সংশোধনী এনে এতে একটি আমূল পরিবর্তন না আনতে পারলে দুর্ঘটনার ছোবলে এবং এর যারা শিকার তাদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠবে দেশের আকাশ-বাতাস। সেই অনভিপ্রেত আবহ যাতে তৈরি হতে না পারে তার জন্য কর্তৃপক্ষ কি পারে না অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তির বিধান রাখতে বা লাইসেন্স ইস্যুতে দক্ষতা নিরূপণে কড়াকড়ি আরোপ বা ড্রাইভিংয়ের সময় নেশা, গতিবেগের সীমা লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত যাত্রী বা বোঝা বহন না করে নিরুপদ্রব ড্রাইভিং নিশ্চিত করতে? বরং দুঃখজনক যে, সরকারেরই কেউ কেউ উচ্ছৃঙ্খল ড্রাইভারদের অন্যায্য স্বার্থ রক্ষায় অসাধু তৎপরতায় মেতেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে কড়াকড়ি আরোপের বিরোধিতা করে রাজপথে গরু-ছাগলের পার্থক্য বুঝলেই প্রার্থীকে লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। কোথায় আছি আমরা?
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ :সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলাম লেখক
No comments