চারদিক-মুজাফফরাবাদ হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি by মুহাম্মদ শামসুল হক
তারিখটা ৩ মে। ভোরে মানুষ ঘুম থেকে ওঠার আগেই দোহাজারী থেকে আসা একদল পাকিস্তানি সেনা এবং পাশের খরনা ও এলাহাবাদের কতিপয় রাজাকার গ্রামটিকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে। সকাল সাত-আটটার দিকে শুরু হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে হত্যাযজ্ঞ।
পাঁচ-সাত বছরের শিশু থেকে ৭০-৮০ বছরের নারী-পুরুষ মিলে প্রায় ৩০০ মানুষকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। এ ছাড়া ৩ মের পর বিভিন্ন সময় রাজাকারদের জিঘাংসার শিকার হয়েছেন আরও অনেকে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শহর থেকে অনেকে মুজাফফরাবাদে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাঁদের অনেকের খোঁজও পরে আর মেলেনি।
নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছাড়াও সেদিন এই গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের যৌথ সশস্ত্র হামলার মুখে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের পূর্বপরিকল্পনা সেদিন ভেস্তে যায়।
১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মুজাফফরাবাদ গ্রামে হানাদার বাহিনীর এই বর্বরতা ‘মুজাফফরাবাদ হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে ব্যাপকভাবে আলোচিত। এলাকার মানুষ স্বাধীনতার এত বছর পরও সেদিনের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ছলছল পানিতে ভরে ওঠে স্বজনহারাদের চোখ। ১৬ এপ্রিল পটিয়া সদরে বর্বর বোমা হামলার পর থেকে মূলত পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম হানাদারদের নিয়ন্ত্রণে আসে। পটিয়া ও দোহাজারীতে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে তারা। এলাকায় গড়ে উঠতে থাকে রাজাকার-আলবদর।
এপ্রিলের শেষের দিকে স্থানীয় গুন্ডা-বদমায়েশ-রাজাকাররা লুটপাট ও নির্যাতনের টার্গেট করে পটিয়ার অন্যতম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা মুজাফফরাবাদকে। দুষ্কৃতকারীদের সন্দেহজনক আনাগোনা দেখে এলাকার লোকজন ঐক্যবদ্ধভাবে গ্রামে পাহারার ব্যবস্থা করে। গ্রামের চারদিকে ২০টি ক্যাম্প করে প্রতি ক্যাম্পে ২০ জন করে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়। সিদ্ধান্ত ছিল, গ্রামের কোনো এক জায়গায় হামলা হলে ক্যাম্পে কাঁসা বাজানো হবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়বে সবাই। এ রকম ব্যবস্থার ফলে স্থানীয় মতলববাজদের হামলার একাধিক অপচেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে যায়। একপর্যায়ে কুচক্রী মহলটি দোহাজারীতে অবস্থিত পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পে গিয়ে তাদের উসকে দেয় মুজাফফরাবাদে হামলা চালাতে। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীর ওপর নেমে আসে নৃসংশতা।
এলাকার প্রবীণ শিক্ষক মিলন কান্তি চৌধুরী, ইউএসটিসির সাবেক সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ ঘোষ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘সেদিন হত্যাকাণ্ড ও লুটপাটের সময় এমন লোককেও দেখা গেছে, যারা ঘটনার কয়েক দিন আগেও নিজেদের “জয় বাংলা”র লোক বলে আপন সেজে এসে এলাকাবাসীকে অভয়বাণী শোনাত। পরে বুঝতে পেরেছি, এরা ঘরে ঘরে লুটপাট ও সুন্দরী বউ-মেয়েদের চিহ্নিত করতেই ভদ্রবেশে এখানে এসেছিল। পরবর্তী সময়ে এদের অনেককে রাজাকার হিসেবে লুটপাটে অংশ নিতে দেখা গেছে।’ মুজাফফরাবাদ হত্যাকাণ্ডের সময় যে যেভাবে পারে, প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেদিন পুরো গ্রাম জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল।
সেদিনের হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতার কথা বলতে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েন মিলন কান্তি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় সেদিন রামায়ণ পাঠে নিয়োজিত ছিলেন ৭০ বছরের রজনী সেন। চোখ তুলে তাকাতেই দেখলেন, অস্ত্র হাতে পাকিস্তানি সেনা, সেই সঙ্গে বাঙালি দালালেরাও। অতিথি হিসেবেই পিঁড়ি এগিয়ে দিয়ে বসতে বলেন সেনবাবু। বাঙালিদেরই একজন তাঁকে “জয় বাংলা” বলতে বলে হেসে হেসে। চক্রান্ত বুঝতে না পেরে সরলপ্রাণ সেনবাবু “জয় বাংলা” উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখে রাইফেলের নল ঢুকিয়ে গুলি ছোড়ে বর্বর এক সেনা। রামায়ণ-এর ওপর পড়ে থাকে রজনী সেনের নিথর দেহ। একইভাবে গীতা পাঠরত অবস্থায় হত্যা করা হয় নবীন সাধুকে।’
মুজাফফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বাণীকাঞ্চন চৌধুরী জানান, স্কুলশিক্ষক রায়মোহন পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। ভেবেছিলেন, হয়তো নিরীহ মানুষ ভেবে মাছ ধরা অবস্থায় তাঁকে কিছু করা হবে না। কিন্তু না। এক মিলিটারি তাঁর জালটি কেড়ে নিয়ে সঙ্গে থাকা ছেলেসহ তাঁকে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর দুজনকেই নিষ্ঠুরভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মধ্যমপাড়ার সমাজসেবক নির্মল সেন ও তাঁর বাবা উপেন্দ্রলাল সেনকে ধানখেতে নিয়ে যাওয়া হয় টেনে-হিঁচড়ে। তারপর দুজনকে গামছা দিয়ে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয় ৩ মে। এর কিছুদিন পর হত্যা করা হয় মুজাফফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক বারেন রায় চৌধুরীকে। জোয়ারা মুন্সিরহাটে তিনি গিয়েছিলেন অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ আনতে। আসার সময় মোহাম্মদপুরের কাছে রাজাকাররা তাঁকে হত্যা করে। ‘গ্রামের কয়েকজন পূজারিকে ধরে নিয়ে জোর করে তাঁদের দিয়ে মন্দিরের বিগ্রহ ভেঙে ফেলা হয়। এরপর গুলি করে মারা হয় সেই পূজারিদের। সেই দিনটির কথা মনে পড়লে আজও সারা শরীর শিউরে ওঠে।’ বলছিলেন মুজাফফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের পিয়ন রণজিৎ চৌধুরী। তাঁর শ্বশুর নতুনচন্দ্র চৌধুরীকে মে মাসের ৭-৮ তারিখে রাতভর অমানুষিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে এলাহাবাদ থেকে আসা কয়েকজন রাজাকার। বাণীকাঞ্চন চৌধুরী ও রণজিৎ চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের গ্রামে পাকিস্তানিদের আগমনে আশপাশের রাজাকারদের ইন্ধন ছিল। খরনা গ্রামেই ছিল ১০০ জনের মতো রাজাকার। সেনারা হত্যাযজ্ঞ ও অধিকাংশ বাড়িঘরে আগুন দিয়ে চলে যাওয়ার পর অবশিষ্ট বাড়িঘরে রাজাকাররা এসে লুটপাট চালায়।’ তবে ওই সময় পাশের জোয়ারা ও শোভনদণ্ডী এলাকার অনেকের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও স্মরণ করেন তাঁরা। মুজাফফরাবাদ থেকে পালানো অনেক নারী-পুরুষকে শোভনদণ্ডী ও এর আশপাশের লোকজন যতটুকু পারে খাবারদাবার ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেছিল।
দিনটি স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ও আলোচনা সভার আয়োজন করছে এলাকাবাসী। মিলনকান্তি চৌধুরী জানালেন, শহীদ মিনারের আদলে গড়া পুরোনো জীর্ণ স্মৃতিসৌধটির সামনে নতুন একটি সৌধ হয়েছে এবার। ১৪ মে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছাড়াও সেদিন এই গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের যৌথ সশস্ত্র হামলার মুখে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের পূর্বপরিকল্পনা সেদিন ভেস্তে যায়।
১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মুজাফফরাবাদ গ্রামে হানাদার বাহিনীর এই বর্বরতা ‘মুজাফফরাবাদ হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে ব্যাপকভাবে আলোচিত। এলাকার মানুষ স্বাধীনতার এত বছর পরও সেদিনের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ছলছল পানিতে ভরে ওঠে স্বজনহারাদের চোখ। ১৬ এপ্রিল পটিয়া সদরে বর্বর বোমা হামলার পর থেকে মূলত পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম হানাদারদের নিয়ন্ত্রণে আসে। পটিয়া ও দোহাজারীতে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে তারা। এলাকায় গড়ে উঠতে থাকে রাজাকার-আলবদর।
এপ্রিলের শেষের দিকে স্থানীয় গুন্ডা-বদমায়েশ-রাজাকাররা লুটপাট ও নির্যাতনের টার্গেট করে পটিয়ার অন্যতম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা মুজাফফরাবাদকে। দুষ্কৃতকারীদের সন্দেহজনক আনাগোনা দেখে এলাকার লোকজন ঐক্যবদ্ধভাবে গ্রামে পাহারার ব্যবস্থা করে। গ্রামের চারদিকে ২০টি ক্যাম্প করে প্রতি ক্যাম্পে ২০ জন করে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়। সিদ্ধান্ত ছিল, গ্রামের কোনো এক জায়গায় হামলা হলে ক্যাম্পে কাঁসা বাজানো হবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়বে সবাই। এ রকম ব্যবস্থার ফলে স্থানীয় মতলববাজদের হামলার একাধিক অপচেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে যায়। একপর্যায়ে কুচক্রী মহলটি দোহাজারীতে অবস্থিত পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পে গিয়ে তাদের উসকে দেয় মুজাফফরাবাদে হামলা চালাতে। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীর ওপর নেমে আসে নৃসংশতা।
এলাকার প্রবীণ শিক্ষক মিলন কান্তি চৌধুরী, ইউএসটিসির সাবেক সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ ঘোষ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘সেদিন হত্যাকাণ্ড ও লুটপাটের সময় এমন লোককেও দেখা গেছে, যারা ঘটনার কয়েক দিন আগেও নিজেদের “জয় বাংলা”র লোক বলে আপন সেজে এসে এলাকাবাসীকে অভয়বাণী শোনাত। পরে বুঝতে পেরেছি, এরা ঘরে ঘরে লুটপাট ও সুন্দরী বউ-মেয়েদের চিহ্নিত করতেই ভদ্রবেশে এখানে এসেছিল। পরবর্তী সময়ে এদের অনেককে রাজাকার হিসেবে লুটপাটে অংশ নিতে দেখা গেছে।’ মুজাফফরাবাদ হত্যাকাণ্ডের সময় যে যেভাবে পারে, প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেদিন পুরো গ্রাম জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল।
সেদিনের হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতার কথা বলতে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েন মিলন কান্তি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় সেদিন রামায়ণ পাঠে নিয়োজিত ছিলেন ৭০ বছরের রজনী সেন। চোখ তুলে তাকাতেই দেখলেন, অস্ত্র হাতে পাকিস্তানি সেনা, সেই সঙ্গে বাঙালি দালালেরাও। অতিথি হিসেবেই পিঁড়ি এগিয়ে দিয়ে বসতে বলেন সেনবাবু। বাঙালিদেরই একজন তাঁকে “জয় বাংলা” বলতে বলে হেসে হেসে। চক্রান্ত বুঝতে না পেরে সরলপ্রাণ সেনবাবু “জয় বাংলা” উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখে রাইফেলের নল ঢুকিয়ে গুলি ছোড়ে বর্বর এক সেনা। রামায়ণ-এর ওপর পড়ে থাকে রজনী সেনের নিথর দেহ। একইভাবে গীতা পাঠরত অবস্থায় হত্যা করা হয় নবীন সাধুকে।’
মুজাফফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বাণীকাঞ্চন চৌধুরী জানান, স্কুলশিক্ষক রায়মোহন পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। ভেবেছিলেন, হয়তো নিরীহ মানুষ ভেবে মাছ ধরা অবস্থায় তাঁকে কিছু করা হবে না। কিন্তু না। এক মিলিটারি তাঁর জালটি কেড়ে নিয়ে সঙ্গে থাকা ছেলেসহ তাঁকে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর দুজনকেই নিষ্ঠুরভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মধ্যমপাড়ার সমাজসেবক নির্মল সেন ও তাঁর বাবা উপেন্দ্রলাল সেনকে ধানখেতে নিয়ে যাওয়া হয় টেনে-হিঁচড়ে। তারপর দুজনকে গামছা দিয়ে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয় ৩ মে। এর কিছুদিন পর হত্যা করা হয় মুজাফফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক বারেন রায় চৌধুরীকে। জোয়ারা মুন্সিরহাটে তিনি গিয়েছিলেন অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ আনতে। আসার সময় মোহাম্মদপুরের কাছে রাজাকাররা তাঁকে হত্যা করে। ‘গ্রামের কয়েকজন পূজারিকে ধরে নিয়ে জোর করে তাঁদের দিয়ে মন্দিরের বিগ্রহ ভেঙে ফেলা হয়। এরপর গুলি করে মারা হয় সেই পূজারিদের। সেই দিনটির কথা মনে পড়লে আজও সারা শরীর শিউরে ওঠে।’ বলছিলেন মুজাফফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের পিয়ন রণজিৎ চৌধুরী। তাঁর শ্বশুর নতুনচন্দ্র চৌধুরীকে মে মাসের ৭-৮ তারিখে রাতভর অমানুষিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে এলাহাবাদ থেকে আসা কয়েকজন রাজাকার। বাণীকাঞ্চন চৌধুরী ও রণজিৎ চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের গ্রামে পাকিস্তানিদের আগমনে আশপাশের রাজাকারদের ইন্ধন ছিল। খরনা গ্রামেই ছিল ১০০ জনের মতো রাজাকার। সেনারা হত্যাযজ্ঞ ও অধিকাংশ বাড়িঘরে আগুন দিয়ে চলে যাওয়ার পর অবশিষ্ট বাড়িঘরে রাজাকাররা এসে লুটপাট চালায়।’ তবে ওই সময় পাশের জোয়ারা ও শোভনদণ্ডী এলাকার অনেকের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও স্মরণ করেন তাঁরা। মুজাফফরাবাদ থেকে পালানো অনেক নারী-পুরুষকে শোভনদণ্ডী ও এর আশপাশের লোকজন যতটুকু পারে খাবারদাবার ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেছিল।
দিনটি স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ও আলোচনা সভার আয়োজন করছে এলাকাবাসী। মিলনকান্তি চৌধুরী জানালেন, শহীদ মিনারের আদলে গড়া পুরোনো জীর্ণ স্মৃতিসৌধটির সামনে নতুন একটি সৌধ হয়েছে এবার। ১৪ মে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
No comments