সব মহলেই প্রশংসা গণ-অনশনের by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুক্তি, ইলিয়াস আলীর সন্ধান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে গণ-অনশন করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। প্রধান বিরোধী দল হরতাল না দিয়ে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি দেওয়ায় বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সুধীজনরা।
দেশের ক্ষতি না করে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায়ের রাজনৈতিক কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, বিরোধী দলের এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে অগণতান্ত্রিক আচরণ করবে না সরকার।
এদিকে বিএনপি দাবি করেছে, তারা হরতাল দিতে চায় না; বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে চায়। সরকারই তাদের হরতাল দিতে বাধ্য করে।
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, এ ধরনের কর্মসূচির সফলতা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। এ ধরনের কর্মসূচির কারণে সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করলে বিরোধী দল সহিংস কর্মসূচি দিতে উৎসাহী হবে না। তবে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে না সরলে আবার হরতালে ফিরে যাবে বিরোধী দল।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনসম্পৃক্ত যেকোনো আন্দোলনই ইতিবাচক। তিনি বলেন, 'হরতালের বিপক্ষে আমি নই; তবে হরতালের অপব্যবহারের বিপক্ষে।' তিনি আরো বলেন, বর্তমান পেক্ষাপটে আন্দোলন ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লড়াই। এ লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির দলগত লাভ হতে পারে, কিন্তু দেশের বা মানুষের জন্য কোনো সাফল্য বয়ে আনবে না।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপির গণ-অনশনের কর্মসূচি ইতিবাচক। হরতাল দেশের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করে, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকে নিরুৎসাহ করে। তাই হরতালের বদলে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অত্যন্ত ইতিবাচক। আস্তে আস্তে এ ধরনের কর্মসূচি দেশে জনপ্রিয়তা পাবে এবং হরতালের প্রয়োজনীয়তাও কমে আসবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, হরতালের মতো কর্মসূচি দেশে থাকবে কি থাকবে না, এটা নির্ভর করে সরকারের আচরণের ওপর। তিনি বলেন, বিরোধী দলের এ ধরনের শান্তিপূর্ণ আচরণে সরকার যদি তার অবস্থান পরিবর্তন করে তবে ভালো, নাহলে বিরোধী দলকে আবারও হরতালের পথে যেতে হবে। আর সরকার যদি এ ধরনের কর্মসূচিকে আমলে নেয়, তবে এটা আন্দোলনের ভালো উপায় হতে পারে।
ইমতিয়াজ আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও না হলে সরকার কোনো দাবির ব্যাপারে পাত্তা দেয় না। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সফলতা নিয়ে পুরোপুরি আশাবাদী নন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, নৈরাজ্যকর কর্মসূচির পরিবর্তে বিএনপির এ ধরনের কর্মসূচিতে আপত্তি নেই সরকারের। তিনি বলেন, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে অগণতান্ত্রিক আচরণ করবে না সরকার। তবে বিরোধী দল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কর্মসূচি দিলে সরকারও বসে থাকবে না।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু কালের কণ্ঠকে বলেন, হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে জ্বলাও-পোড়াও বাদ দিয়ে ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে সরকারকেও বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলার প্রথাগত প্রাচীন পদ্ধতিও পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, হরতাল ডাকার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে হরতাল হবে। এর বিরোধিতা করে লাভ নেই।
গতকাল রবিবার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে গণ-অনশন শেষে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা সহজে হরতাল দিতে চাই না, তবে সরকার আমাদের হরতাল দিতে বাধ্য করছে।' তিনি বলেন, হরতালের চেয়ে গণ-অনশনের মতো কর্মসূচি ভালো।
এদিকে বিএনপি দাবি করেছে, তারা হরতাল দিতে চায় না; বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে চায়। সরকারই তাদের হরতাল দিতে বাধ্য করে।
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, এ ধরনের কর্মসূচির সফলতা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। এ ধরনের কর্মসূচির কারণে সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করলে বিরোধী দল সহিংস কর্মসূচি দিতে উৎসাহী হবে না। তবে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে না সরলে আবার হরতালে ফিরে যাবে বিরোধী দল।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনসম্পৃক্ত যেকোনো আন্দোলনই ইতিবাচক। তিনি বলেন, 'হরতালের বিপক্ষে আমি নই; তবে হরতালের অপব্যবহারের বিপক্ষে।' তিনি আরো বলেন, বর্তমান পেক্ষাপটে আন্দোলন ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লড়াই। এ লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির দলগত লাভ হতে পারে, কিন্তু দেশের বা মানুষের জন্য কোনো সাফল্য বয়ে আনবে না।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপির গণ-অনশনের কর্মসূচি ইতিবাচক। হরতাল দেশের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করে, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকে নিরুৎসাহ করে। তাই হরতালের বদলে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অত্যন্ত ইতিবাচক। আস্তে আস্তে এ ধরনের কর্মসূচি দেশে জনপ্রিয়তা পাবে এবং হরতালের প্রয়োজনীয়তাও কমে আসবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, হরতালের মতো কর্মসূচি দেশে থাকবে কি থাকবে না, এটা নির্ভর করে সরকারের আচরণের ওপর। তিনি বলেন, বিরোধী দলের এ ধরনের শান্তিপূর্ণ আচরণে সরকার যদি তার অবস্থান পরিবর্তন করে তবে ভালো, নাহলে বিরোধী দলকে আবারও হরতালের পথে যেতে হবে। আর সরকার যদি এ ধরনের কর্মসূচিকে আমলে নেয়, তবে এটা আন্দোলনের ভালো উপায় হতে পারে।
ইমতিয়াজ আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও না হলে সরকার কোনো দাবির ব্যাপারে পাত্তা দেয় না। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সফলতা নিয়ে পুরোপুরি আশাবাদী নন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, নৈরাজ্যকর কর্মসূচির পরিবর্তে বিএনপির এ ধরনের কর্মসূচিতে আপত্তি নেই সরকারের। তিনি বলেন, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে অগণতান্ত্রিক আচরণ করবে না সরকার। তবে বিরোধী দল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কর্মসূচি দিলে সরকারও বসে থাকবে না।
ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু কালের কণ্ঠকে বলেন, হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে জ্বলাও-পোড়াও বাদ দিয়ে ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে সরকারকেও বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলার প্রথাগত প্রাচীন পদ্ধতিও পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, হরতাল ডাকার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে হরতাল হবে। এর বিরোধিতা করে লাভ নেই।
গতকাল রবিবার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে গণ-অনশন শেষে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা সহজে হরতাল দিতে চাই না, তবে সরকার আমাদের হরতাল দিতে বাধ্য করছে।' তিনি বলেন, হরতালের চেয়ে গণ-অনশনের মতো কর্মসূচি ভালো।
No comments