মে দিবস-কত কী ছিল যে লেখা রক্ত আর কাজলে by ফারুক ওয়াসিফ
সন্ধ্যার দিকে আমরা সেখানে পৌঁছলাম। বাড়িটায় যেতে একটা ডোবা পার হতে হয়। বাড়ি তো নয়, কয়েকটি টিনের ঘরের গলাগলি করে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা। ঘরগুলোর সামনে একটা পেয়ারাগাছ। সন্ধ্যার পর আসা আলোয় গাছের পাতাগুলো কালো দেখায়। তার তলায় এক মধ্যবয়সী নারী মুখে সেই কালো মেখে দাঁড়িয়ে আছেন।
আমরা দেখা দিতেই ইশারা করে ঘরের ভেতর চলে গেলেন। পিছু পিছু আমরাও।
চৌকির ওপর বসে আছি অনেকক্ষণ হয়ে গেল। এর মধ্যে মলিন কাপে মেটেরঙা চা খাওয়া হলো এক পাট। একটাই ঘর, মাঝখানে বেড়ার পার্টিশন। ভেতরে কেমন সোঁদা আর পান্তার মতো ঘ্রাণ। অবশেষে মেয়েটি এল। ১৮-১৯ হবে বয়স। গায়ে খয়েরি সাদা ফুটিফুটি কামিজ আর নীল সালোয়ার।
আমাদের সঙ্গে একজন সাংবাদিক। রেকর্ডার হাতে প্রথম প্রশ্নটি তাঁরই, ওই রাতে তুমি ওইখানে ছিলা?
আবার প্রশ্ন: ছিলা?
হ।
প্রথম থেকেই?
জি।
কী দেখলা?
মোড়ায় বসা মেয়েটি পায়ের নখ দিয়ে মাটির মেঝে খুঁটছে।
সাংবাদিকের মন আর্দ্র হলো। ‘বলো না, কী দেখলা? তোমার সামনে কেউ মারা গেছে? তোমাকেও কি...’ বলে কিছু ছবি বের করে দেখালেন।
ছবিগুলো স্থানীয় এক ফটোগ্রাফারের তোলা। ঘটনার পরদিনের পরদিন নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডে ঢুকে ছবি তুলেছিল সে। একটাতে রক্তে লাল নালার পানি। আরেকটা কারখানার সামনের রাস্তার দৃশ্য। দমকল এসে ধুইয়ে দেওয়ার পরও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ সেখানে। একটা ছোপের মধ্যে কয়েক টুকরা কাটা দড়ি। এই মেয়েটিই পরে বলবে, কারখানার ভেতর-বাইরের শ্রমিক-পুলিশ-মাস্তানদের সংঘর্ষের সময় ভেতরে আটকে পড়া ২৫-৩০ জন মেয়েকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে নাকি সে দেখেছে। পরে, সে সময়ের সংবাদপত্রে সেই মেয়েদের বেশ কয়েকজনের নিখোঁজ থাকার কথা এসেছিল।
মেয়েটা তখনো কিছু বলছে না। যেন নিঃশ্বাস বন্ধ করে একবার আমাদের দিকে তাকাল। মুখ-চোখ শীর্ণ। চোখের নিচে কাজল না কালি, বোঝা যাচ্ছে না। এখন ওকে বয়সের থেকে কম মনে হচ্ছে।
সেই ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসের কথা। নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডের একটি কারখানায় মজুরি, ছুটি ও অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভ ও পুলিশের গুলি মিলিয়ে বিরাট আন্দোলন হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং তার পরের কয়েকটা দিনের তুমুল উত্তেজনা-আগুন আর সংঘাতের পরপর তখন মাস পেরিয়ে গেছে। কারখানাগুলো আবার চালু হয়েছে। ওর সঙ্গীরা অনেকেই আবার কাজে ফিরেছে। তবে ওকে বলা হয়েছে না যেতে। চুপচাপ থাকলে বেতনও দেওয়া হবে, বলেছে।
মধ্যবয়সী নারীটি এতক্ষণ ওর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেয়েটির মাথায় হাত রেখে তিনি বলেন, ‘ক মা, কী দেখচস। ক না। ওনারা সাম্বাদিক, ক।’
এর মধ্যে একজন হারিকেন দিয়ে গেল। মেয়েটি চোখ তুলে তাকাল। দেখলাম, চোখের কাজল ধুয়ে ধুয়ে গালের ওপর দিয়ে দুটো নদীর মতো গড়িয়ে নামছে। বুঝলাম, এখন ও কথা বলবে। বলবে দুঃখ আর যন্ত্রণার ইতিহাস। তার ওই মুছে যাওয়া কাজলে কাজলে আর শ্রমিকদের গুলিবিদ্ধ দেহ থেকে গড়ানো রক্তে লেখা যেন সেই ইতিহাস। যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ও শোষিত মানুষেরা বলে এসেছে যে ইতিহাস।
মে দিবসের গায়ে সেই অশ্রু আর রক্তেরই দাগ। ১৮৮৬ সালের পয়লা মে আমেরিকার শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিক আর অভিবাসীরা আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েছিল। তিন দিনের বিক্ষোভে পুলিশসহ মারা যায় মোট ১৫ জন। ঘটনাটির কথা ধীরে ধীরে ইউরোপের শ্রমিকেরাও জানতে পারে। তারাও জানাতে থাকে সংহতি, তুলতে থাকে একই দাবি। একসময় আট ঘণ্টা কর্মদিবস আর বাঁচার মতো মজুরি হয়ে ওঠে শ্রমিকশ্রেণীর বৈশ্বিক দাবি। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পর অনেক দেশে সেই দাবি জয়ীও হয়। এভাবে পয়লা মে হয়ে ওঠে বিশ্বের সব শ্রমিকের সংহতির দিন।
কিন্তু আজ যখন অনেকেই এই দিনে ছুটি উপভোগ করছে, তখন অনেক শ্রমিকেরই ছুটি নেই। অনেকেই বেরিয়ে গেছে জীবিকার সন্ধানে। রিকশাচালক প্যাডেল চালাচ্ছে, দিনমজুর মাটি কাটছে, পরিবহনশ্রমিক গাড়ি ঠেলছে, ইট ভাঙছে কোনো শিশুশ্রমিক। ভোরবেলা দেশের বড় বড় শহর আর শিল্পাঞ্চলে দেখা যাবে দলে দলে কিশোরী-তরুণী হেঁটে কারখানায় যাচ্ছে। তাদের মে দিবস তাই কেবল অতীতের কোনো মহান লড়াইয়ের গৌরব নয়, বর্তমানের বাঁচা-মরার অংশ।
যে আমেরিকায় মে দিবসের জন্ম, সেই আমেরিকার বেশির ভাগ শ্রমিকই জানে না এর ইতিহাস। কারণ মার্কিন সরকার এই দিনকে ‘আইন দিবস’ হিসেবে পালন করে। তাহলেও এ দিনটি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রায় সব দেশের রাজপথে দেখা যায় শ্রমিকদের বর্ণাঢ্য মিছিল। তবে মার্কিন মুলুকে এবারের মে দিবস অন্য মাত্রা পাচ্ছে। আমেরিকার অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে বর্ণবাদী ও বঞ্চনামূলক অভিবাসন আইন পাস হয়েছে কদিন আগে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে সেখানে। সেখানকার শ্রমিকদের অধিকাংশই এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকা থেকে যাওয়া অভিবাসী। সারা আমেরিকায় একযোগে ওই কালো আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যমে মে দিবস উদ্যাপনের ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিক ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো। আমাদেরও প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রবাসী শ্রমিক হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বময় ছড়িয়ে আছে। এই মে দিবসে তাদের সবাই কি ছুটি পাবে? দেশি-বিদেশি সবাই কি পাচ্ছে আট ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে উপযুক্ত মজুরি?
নারায়ণগঞ্জের সেই মেয়েটির সঙ্গে আর দেখা হয়নি। সে কি এখনো কারখানার সেলাইকলে অশ্রু আর ঘামে জীবনের স্বপ্ন সেলাই করছে? শহরের অলিগলি-রাজপথ দিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় দলে দলে যেসব তারুণ্যে ভরা কিন্তু ক্লান্ত মুখগুলো দেখি, দেখি যে শ্রমিক নারী-পুরুষ, তাদের জীবনের সঙ্গে আমাদের হয় নাকো দেখা। কেবল মাঝেমধ্যে রক্ত আর অশ্রুর ছবি দেখি খবরের কাগজে। চোখের কাজলের মতোই, কালিতে ছাপানো কাগজে লেখা সেই ইতিহাস ভোলার নয়।
চৌকির ওপর বসে আছি অনেকক্ষণ হয়ে গেল। এর মধ্যে মলিন কাপে মেটেরঙা চা খাওয়া হলো এক পাট। একটাই ঘর, মাঝখানে বেড়ার পার্টিশন। ভেতরে কেমন সোঁদা আর পান্তার মতো ঘ্রাণ। অবশেষে মেয়েটি এল। ১৮-১৯ হবে বয়স। গায়ে খয়েরি সাদা ফুটিফুটি কামিজ আর নীল সালোয়ার।
আমাদের সঙ্গে একজন সাংবাদিক। রেকর্ডার হাতে প্রথম প্রশ্নটি তাঁরই, ওই রাতে তুমি ওইখানে ছিলা?
আবার প্রশ্ন: ছিলা?
হ।
প্রথম থেকেই?
জি।
কী দেখলা?
মোড়ায় বসা মেয়েটি পায়ের নখ দিয়ে মাটির মেঝে খুঁটছে।
সাংবাদিকের মন আর্দ্র হলো। ‘বলো না, কী দেখলা? তোমার সামনে কেউ মারা গেছে? তোমাকেও কি...’ বলে কিছু ছবি বের করে দেখালেন।
ছবিগুলো স্থানীয় এক ফটোগ্রাফারের তোলা। ঘটনার পরদিনের পরদিন নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডে ঢুকে ছবি তুলেছিল সে। একটাতে রক্তে লাল নালার পানি। আরেকটা কারখানার সামনের রাস্তার দৃশ্য। দমকল এসে ধুইয়ে দেওয়ার পরও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ সেখানে। একটা ছোপের মধ্যে কয়েক টুকরা কাটা দড়ি। এই মেয়েটিই পরে বলবে, কারখানার ভেতর-বাইরের শ্রমিক-পুলিশ-মাস্তানদের সংঘর্ষের সময় ভেতরে আটকে পড়া ২৫-৩০ জন মেয়েকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে নাকি সে দেখেছে। পরে, সে সময়ের সংবাদপত্রে সেই মেয়েদের বেশ কয়েকজনের নিখোঁজ থাকার কথা এসেছিল।
মেয়েটা তখনো কিছু বলছে না। যেন নিঃশ্বাস বন্ধ করে একবার আমাদের দিকে তাকাল। মুখ-চোখ শীর্ণ। চোখের নিচে কাজল না কালি, বোঝা যাচ্ছে না। এখন ওকে বয়সের থেকে কম মনে হচ্ছে।
সেই ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসের কথা। নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডের একটি কারখানায় মজুরি, ছুটি ও অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভ ও পুলিশের গুলি মিলিয়ে বিরাট আন্দোলন হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং তার পরের কয়েকটা দিনের তুমুল উত্তেজনা-আগুন আর সংঘাতের পরপর তখন মাস পেরিয়ে গেছে। কারখানাগুলো আবার চালু হয়েছে। ওর সঙ্গীরা অনেকেই আবার কাজে ফিরেছে। তবে ওকে বলা হয়েছে না যেতে। চুপচাপ থাকলে বেতনও দেওয়া হবে, বলেছে।
মধ্যবয়সী নারীটি এতক্ষণ ওর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেয়েটির মাথায় হাত রেখে তিনি বলেন, ‘ক মা, কী দেখচস। ক না। ওনারা সাম্বাদিক, ক।’
এর মধ্যে একজন হারিকেন দিয়ে গেল। মেয়েটি চোখ তুলে তাকাল। দেখলাম, চোখের কাজল ধুয়ে ধুয়ে গালের ওপর দিয়ে দুটো নদীর মতো গড়িয়ে নামছে। বুঝলাম, এখন ও কথা বলবে। বলবে দুঃখ আর যন্ত্রণার ইতিহাস। তার ওই মুছে যাওয়া কাজলে কাজলে আর শ্রমিকদের গুলিবিদ্ধ দেহ থেকে গড়ানো রক্তে লেখা যেন সেই ইতিহাস। যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ও শোষিত মানুষেরা বলে এসেছে যে ইতিহাস।
মে দিবসের গায়ে সেই অশ্রু আর রক্তেরই দাগ। ১৮৮৬ সালের পয়লা মে আমেরিকার শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিক আর অভিবাসীরা আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েছিল। তিন দিনের বিক্ষোভে পুলিশসহ মারা যায় মোট ১৫ জন। ঘটনাটির কথা ধীরে ধীরে ইউরোপের শ্রমিকেরাও জানতে পারে। তারাও জানাতে থাকে সংহতি, তুলতে থাকে একই দাবি। একসময় আট ঘণ্টা কর্মদিবস আর বাঁচার মতো মজুরি হয়ে ওঠে শ্রমিকশ্রেণীর বৈশ্বিক দাবি। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পর অনেক দেশে সেই দাবি জয়ীও হয়। এভাবে পয়লা মে হয়ে ওঠে বিশ্বের সব শ্রমিকের সংহতির দিন।
কিন্তু আজ যখন অনেকেই এই দিনে ছুটি উপভোগ করছে, তখন অনেক শ্রমিকেরই ছুটি নেই। অনেকেই বেরিয়ে গেছে জীবিকার সন্ধানে। রিকশাচালক প্যাডেল চালাচ্ছে, দিনমজুর মাটি কাটছে, পরিবহনশ্রমিক গাড়ি ঠেলছে, ইট ভাঙছে কোনো শিশুশ্রমিক। ভোরবেলা দেশের বড় বড় শহর আর শিল্পাঞ্চলে দেখা যাবে দলে দলে কিশোরী-তরুণী হেঁটে কারখানায় যাচ্ছে। তাদের মে দিবস তাই কেবল অতীতের কোনো মহান লড়াইয়ের গৌরব নয়, বর্তমানের বাঁচা-মরার অংশ।
যে আমেরিকায় মে দিবসের জন্ম, সেই আমেরিকার বেশির ভাগ শ্রমিকই জানে না এর ইতিহাস। কারণ মার্কিন সরকার এই দিনকে ‘আইন দিবস’ হিসেবে পালন করে। তাহলেও এ দিনটি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রায় সব দেশের রাজপথে দেখা যায় শ্রমিকদের বর্ণাঢ্য মিছিল। তবে মার্কিন মুলুকে এবারের মে দিবস অন্য মাত্রা পাচ্ছে। আমেরিকার অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে বর্ণবাদী ও বঞ্চনামূলক অভিবাসন আইন পাস হয়েছে কদিন আগে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে সেখানে। সেখানকার শ্রমিকদের অধিকাংশই এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকা থেকে যাওয়া অভিবাসী। সারা আমেরিকায় একযোগে ওই কালো আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যমে মে দিবস উদ্যাপনের ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিক ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো। আমাদেরও প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রবাসী শ্রমিক হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বময় ছড়িয়ে আছে। এই মে দিবসে তাদের সবাই কি ছুটি পাবে? দেশি-বিদেশি সবাই কি পাচ্ছে আট ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে উপযুক্ত মজুরি?
নারায়ণগঞ্জের সেই মেয়েটির সঙ্গে আর দেখা হয়নি। সে কি এখনো কারখানার সেলাইকলে অশ্রু আর ঘামে জীবনের স্বপ্ন সেলাই করছে? শহরের অলিগলি-রাজপথ দিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় দলে দলে যেসব তারুণ্যে ভরা কিন্তু ক্লান্ত মুখগুলো দেখি, দেখি যে শ্রমিক নারী-পুরুষ, তাদের জীবনের সঙ্গে আমাদের হয় নাকো দেখা। কেবল মাঝেমধ্যে রক্ত আর অশ্রুর ছবি দেখি খবরের কাগজে। চোখের কাজলের মতোই, কালিতে ছাপানো কাগজে লেখা সেই ইতিহাস ভোলার নয়।
No comments