রাজনীতির এই উত্তরাধিকার ছাড়তে হবে-হত্যা ও হরতাল
সহিংসতায় হত্যাকাণ্ড, তার প্রতিবাদে পাল্টা সহিংসতা ও হরতাল—এই না হলে কি ‘রাজনীতি’ জমে? আওয়ামী লীগ ও তার ছাত্রলীগ এবং বিএনপি ও তার শরিক সংগঠনগুলো এ পথেই আবারও ‘রাজনীতি’ জমিয়ে তুলছে। রাজশাহীতে মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া বিএনপির কর্মীদের বাস নাটোরের সিংড়ায় থামিয়ে হামলার ঘটনায় বগুড়ার বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে রাজশাহীর ওই সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেত্রী কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘হরতাল দিলে সফল করতে পারবেন তো?’ ইতিমধ্যে বগুড়ায় হামলা ও হত্যার বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপি হরতাল ডেকে দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড আর হরতাল ডাকার উৎসাহ—কোনোটাই কাঙ্ক্ষিত ছিল না।
বিএনপির আঞ্চলিক মহাসমাবেশে যেতে কাউকে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার বা অধিকার নাটোরের সিংড়ার ছাত্রলীগ কর্মীদের নেই। তাঁরা অহেতুক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং তাঁদের হামলায় ঝরে গেছে বিএনপির এক নেতার প্রাণ। কিন্তু এ ঘটনার যে প্রতিক্রিয়া বিএনপির কর্মীরা করেছেন, তাকে প্রতিবাদ না বলে প্রতিহিংসা বলাই ভালো। সেই পারস্পরিক প্রতিহিংসায় অনেকে আহত হয়েছেন, ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি পরিবহনসহ বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকান। সম্প্রতি ঢাকাতেও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের কর্মসূচি ভণ্ডুল এবং তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে গেছে। রাজনীতির মধ্যে বাদ-প্রতিবাদ থাকবে, থাকতে পারে বিরোধিতাও। কিন্তু এ রকম বেপরোয়া সহিংসতা রাজনীতি নয়; যাঁরা এগুলো করেন তাঁদেরও রাজনৈতিক কর্মী বলা রাজনীতিরই অপমান। এ রকম সহিংসতা অপরাধ এবং দিনের পর দিন যারা তা চালিয়ে যায় তারা স্পষ্টতই ‘অপরাধী’। অপরাধ আর অপরাধীদের দাপটই যদি রাজনীতি হয়, তাহলে মানুষ ভরসা করবে কিসের ওপর?
এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে হরতালের আওয়াজ ওঠানো আগুনে ঘি ঢালার সমান। প্রশ্নটা এই, রাজনীতি যদি জনগণের স্বার্থ দেখার জন্য হয়, তাহলে হরতালটা কার জন্য? জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছাড়া কেবল কর্মীদের দিয়ে সড়ক দখল করা রাজনীতির কর্মসূচি হতে পারে কি? এ কারণেই বেগম জিয়ার ওই উক্তিটি হরতালের জন্য হরতাল করার সমার্থক হয়ে যায়।
সরকারি দলের বিভিন্ন শাখার কর্মীদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির দায় দলের নেতৃত্বকেই নিতে হবে। সেখানেই উঠবে সরকারের দায়িত্বের কথাটিও। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার যেন প্রতিপক্ষকে গায়ের জোরে থামিয়ে দেওয়াতেই বেশি আগ্রহী। বিরোধী দল কিংবা জনমতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের ফল আখেরে বুমেরাং হতে পারে। অতীতে সহিংসতা আরও সহিংসতা ও বিপর্যয় টেনে এনেছে—সেই শিক্ষা যেন সরকারি ও বিরোধী দল মনে রাখে। সরকারি দল মার দেবে, বিরোধী দল মার খেয়ে হরতাল ডাকবে, এই ব্যাধি থেকে রাজনীতির নিরাময় প্রয়োজন।
বিএনপির আঞ্চলিক মহাসমাবেশে যেতে কাউকে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার বা অধিকার নাটোরের সিংড়ার ছাত্রলীগ কর্মীদের নেই। তাঁরা অহেতুক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং তাঁদের হামলায় ঝরে গেছে বিএনপির এক নেতার প্রাণ। কিন্তু এ ঘটনার যে প্রতিক্রিয়া বিএনপির কর্মীরা করেছেন, তাকে প্রতিবাদ না বলে প্রতিহিংসা বলাই ভালো। সেই পারস্পরিক প্রতিহিংসায় অনেকে আহত হয়েছেন, ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি পরিবহনসহ বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকান। সম্প্রতি ঢাকাতেও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের কর্মসূচি ভণ্ডুল এবং তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে গেছে। রাজনীতির মধ্যে বাদ-প্রতিবাদ থাকবে, থাকতে পারে বিরোধিতাও। কিন্তু এ রকম বেপরোয়া সহিংসতা রাজনীতি নয়; যাঁরা এগুলো করেন তাঁদেরও রাজনৈতিক কর্মী বলা রাজনীতিরই অপমান। এ রকম সহিংসতা অপরাধ এবং দিনের পর দিন যারা তা চালিয়ে যায় তারা স্পষ্টতই ‘অপরাধী’। অপরাধ আর অপরাধীদের দাপটই যদি রাজনীতি হয়, তাহলে মানুষ ভরসা করবে কিসের ওপর?
এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে হরতালের আওয়াজ ওঠানো আগুনে ঘি ঢালার সমান। প্রশ্নটা এই, রাজনীতি যদি জনগণের স্বার্থ দেখার জন্য হয়, তাহলে হরতালটা কার জন্য? জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছাড়া কেবল কর্মীদের দিয়ে সড়ক দখল করা রাজনীতির কর্মসূচি হতে পারে কি? এ কারণেই বেগম জিয়ার ওই উক্তিটি হরতালের জন্য হরতাল করার সমার্থক হয়ে যায়।
সরকারি দলের বিভিন্ন শাখার কর্মীদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির দায় দলের নেতৃত্বকেই নিতে হবে। সেখানেই উঠবে সরকারের দায়িত্বের কথাটিও। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার যেন প্রতিপক্ষকে গায়ের জোরে থামিয়ে দেওয়াতেই বেশি আগ্রহী। বিরোধী দল কিংবা জনমতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের ফল আখেরে বুমেরাং হতে পারে। অতীতে সহিংসতা আরও সহিংসতা ও বিপর্যয় টেনে এনেছে—সেই শিক্ষা যেন সরকারি ও বিরোধী দল মনে রাখে। সরকারি দল মার দেবে, বিরোধী দল মার খেয়ে হরতাল ডাকবে, এই ব্যাধি থেকে রাজনীতির নিরাময় প্রয়োজন।
No comments