আদালতের মন্তব্য, যুগ্ম জেলা জজই জমিদারবাড়ি দখল করেছেন
ঢাকার নবাবগঞ্জের জমিদার ব্রজেন রায় ওরফে সুদর্শন রায়ের বাড়ির নাম কিভাবে 'জজবাড়ি' হলো, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, জমিদারবাড়ি কিভাবে জজবাড়ি হলো, তা জানতে তদন্ত হওয়া দরকার। আদালত মন্তব্য করেন, যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকার প্রত্যক্ষভাবে সুবিধাভোগী।
তিনিই বাড়িটি দখল করেছেন। পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চ গতকাল রবিবার শুনানিকালে এসব মন্তব্য করেন। আদালত এ বিষয়ে আজ সোমবার আদেশ দেবেন।
তবে ওই বাড়ির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকার। তিনি বলেছেন, বাড়িটি তাঁর মামার।
এদিকে ওই বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চে বিচারাধীন আলাদা দুটি মামলা একসঙ্গে একটি বেঞ্চে দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকার নবাবগঞ্জের জমিদার ব্রজেন রায় ওরফে সুদর্শন রায়ের বাড়ির নাম রাখা হয় 'ব্রজ নিকেতন'। এটি এখন 'জজবাড়ি' নামে পরিচিত। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক পরিবারের সদস্যদের দখলে আছে বাড়িটি। এটি চার একর ৫৭ শতক জমির ওপর তৈরি। খন্দকার আবু আশফাকের বড় ভাই খন্দকার আবুল হোসেন একজন যুগ্ম জেলা জজ। জমিদারবাড়ির পুরো সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছে সরকার। দখল বুঝে নিতে সরকার মামলাও করেছে। তবে খন্দকার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এটি তাঁদের কেনা সম্পত্তি।
এ নিয়ে গত ১০ মে ইংরেজি দৈনিক 'সান'-এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন এবং তিন ভাই যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকার, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক ও আবুল কালাম খন্দকার এবং তাঁদের চাচা অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল হাশেমকে তলব করেন। পরদিন ১১ মে 'জমিদারবাড়ি এখন জজবাড়ি' শিরোনামে কালের কণ্ঠে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আদালতের নির্দেশে গতকাল সকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হাজির হন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও শেখ গোলাম হাফিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
গতকাল সকালে আদালত বসার পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আদালতকে জানান, ১৯৬৭ সালে এ জমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মালিকানা নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন। একটি মামলায় আগামী ২২ মে সাক্ষীর জন্য ধার্য আছে। হাইকোর্টেও একটি মামলা বিচারাধীন।
যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকারসহ চারজনের পক্ষে আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম আদালতে বলেন, এ জমির মালিক হিসেবে গুলজার হোসেন তাঁর ভাগ্নে আবুল কালাম খন্দকারকে মামলা পরিচালনার জন্য তদবিরকারক হিসেবে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।
ওই সময় ডিএজি এ বি এম আলতাব হোসেন আদালতকে বলেন, হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে এ বাড়ি নিয়ে আরেকটি মামলা বিচারাধীন। ওই আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, অন্য একটি বেঞ্চে একটি রুল জারি হয়েছে, তাই কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দেওয়া হোক। এরপর আদালত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
ওই সময় আদালত বলেন, 'সেটি সিভিল (দেওয়ানি) মামলা। দেওয়ানি মামলা শুনানির এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে ওই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। কিন্তু দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি হতে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে।' আদালত আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শোনা দরকার। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলকে আসতে বলা হয়।
একপর্যায়ে আদালত শ ম রেজাউল করিমের কাছে জানতে চান, বাড়িটির নাম জজবাড়ি হলো কিভাবে। জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ভাগ্নে জজ। তিনিই দেখাশোনা করতেন। তাই হয়তো জজবাড়ি হিসেবে পরিচিত পেয়ে থাকতে পারে। তবে এ বাড়ির সম্পত্তির সঙ্গে জজ সাহেবের নূ্যনতম সম্পর্ক নেই। এ সময় আদালত বলেন, 'এ বাড়ি তো তাঁর নয়। এটা তাঁর মামার বাড়ি। তাই মামার বাড়ি তাঁর নামে হবে কেন?' আদালতের সিনিয়র বিচারপতি বলেন, 'আমার নানাও একজন জেলা জজ ছিলেন। আমার বাড়ি তো জজ সাহেবের বাড়ি হিসেবে পরিচিত হয়নি। জজ সাহেবের নামে বাড়ি হওয়ায় সন্দেহ বাড়ছে। মনে হচ্ছে তিনিই সুবিধাভোগী। বেনামে কিছু হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার।'
এ পর্যায়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, কোনোভাবেই জজ সাহেব জড়িত নন। আদালত বলেন, ভাগ্নের নামে মামার জমি হতে পারে না। তাই জজ সাহেবের প্রত্যক্ষ স্বার্থ জড়িত আছে বলেই মনে হয়। জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, মামার স্নেহে বড় হয়েছেন। এ কারণেও হতে পারে। আদালত বলেন, এটা তাঁরই বাড়ি। এ পর্যায়ে দুপুর ২টায় পরবর্তী শুনানির সময় ধার্য করা হয়।
দুপুর ২টায় অ্যাটর্নি জেনারেল হাজির হয়ে আদালতে বলেন, 'এ বিষয় নিয়ে নিম্নআদালতে কয়েকটি মামলা আছে। হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে সিভিল আপিল বিচারাধীন। আপনিও রুল জারি করেছেন। তাই এ দুটি মামলা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাব।'
এরপর শ ম রেজাউল করিম আদালতে বলেন, এ জমির সঙ্গে জজ সাহেব কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। আদালত বলেন, 'আপনার মক্কেল ধোয়া তুলসিপাতা নন। তিনিই দখল করেছেন। তিনিই পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।'
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানি করে চলে যাওয়ার পর আদালত যুগ্ম জেলা জজের বিষয়ে তদন্তের জন্য আইন সচিবকে নির্দেশ দিয়ে আদেশ দিতে গিয়েও পরে তা স্থগিত রাখেন। আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে ওই যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট চারজনকে আজও আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চ গতকাল রবিবার শুনানিকালে এসব মন্তব্য করেন। আদালত এ বিষয়ে আজ সোমবার আদেশ দেবেন।
তবে ওই বাড়ির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকার। তিনি বলেছেন, বাড়িটি তাঁর মামার।
এদিকে ওই বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চে বিচারাধীন আলাদা দুটি মামলা একসঙ্গে একটি বেঞ্চে দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকার নবাবগঞ্জের জমিদার ব্রজেন রায় ওরফে সুদর্শন রায়ের বাড়ির নাম রাখা হয় 'ব্রজ নিকেতন'। এটি এখন 'জজবাড়ি' নামে পরিচিত। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক পরিবারের সদস্যদের দখলে আছে বাড়িটি। এটি চার একর ৫৭ শতক জমির ওপর তৈরি। খন্দকার আবু আশফাকের বড় ভাই খন্দকার আবুল হোসেন একজন যুগ্ম জেলা জজ। জমিদারবাড়ির পুরো সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছে সরকার। দখল বুঝে নিতে সরকার মামলাও করেছে। তবে খন্দকার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এটি তাঁদের কেনা সম্পত্তি।
এ নিয়ে গত ১০ মে ইংরেজি দৈনিক 'সান'-এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন এবং তিন ভাই যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকার, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক ও আবুল কালাম খন্দকার এবং তাঁদের চাচা অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল হাশেমকে তলব করেন। পরদিন ১১ মে 'জমিদারবাড়ি এখন জজবাড়ি' শিরোনামে কালের কণ্ঠে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আদালতের নির্দেশে গতকাল সকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হাজির হন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও শেখ গোলাম হাফিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
গতকাল সকালে আদালত বসার পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আদালতকে জানান, ১৯৬৭ সালে এ জমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মালিকানা নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন। একটি মামলায় আগামী ২২ মে সাক্ষীর জন্য ধার্য আছে। হাইকোর্টেও একটি মামলা বিচারাধীন।
যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকারসহ চারজনের পক্ষে আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম আদালতে বলেন, এ জমির মালিক হিসেবে গুলজার হোসেন তাঁর ভাগ্নে আবুল কালাম খন্দকারকে মামলা পরিচালনার জন্য তদবিরকারক হিসেবে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।
ওই সময় ডিএজি এ বি এম আলতাব হোসেন আদালতকে বলেন, হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে এ বাড়ি নিয়ে আরেকটি মামলা বিচারাধীন। ওই আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, অন্য একটি বেঞ্চে একটি রুল জারি হয়েছে, তাই কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দেওয়া হোক। এরপর আদালত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
ওই সময় আদালত বলেন, 'সেটি সিভিল (দেওয়ানি) মামলা। দেওয়ানি মামলা শুনানির এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে ওই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। কিন্তু দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি হতে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে।' আদালত আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শোনা দরকার। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলকে আসতে বলা হয়।
একপর্যায়ে আদালত শ ম রেজাউল করিমের কাছে জানতে চান, বাড়িটির নাম জজবাড়ি হলো কিভাবে। জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ভাগ্নে জজ। তিনিই দেখাশোনা করতেন। তাই হয়তো জজবাড়ি হিসেবে পরিচিত পেয়ে থাকতে পারে। তবে এ বাড়ির সম্পত্তির সঙ্গে জজ সাহেবের নূ্যনতম সম্পর্ক নেই। এ সময় আদালত বলেন, 'এ বাড়ি তো তাঁর নয়। এটা তাঁর মামার বাড়ি। তাই মামার বাড়ি তাঁর নামে হবে কেন?' আদালতের সিনিয়র বিচারপতি বলেন, 'আমার নানাও একজন জেলা জজ ছিলেন। আমার বাড়ি তো জজ সাহেবের বাড়ি হিসেবে পরিচিত হয়নি। জজ সাহেবের নামে বাড়ি হওয়ায় সন্দেহ বাড়ছে। মনে হচ্ছে তিনিই সুবিধাভোগী। বেনামে কিছু হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার।'
এ পর্যায়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, কোনোভাবেই জজ সাহেব জড়িত নন। আদালত বলেন, ভাগ্নের নামে মামার জমি হতে পারে না। তাই জজ সাহেবের প্রত্যক্ষ স্বার্থ জড়িত আছে বলেই মনে হয়। জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, মামার স্নেহে বড় হয়েছেন। এ কারণেও হতে পারে। আদালত বলেন, এটা তাঁরই বাড়ি। এ পর্যায়ে দুপুর ২টায় পরবর্তী শুনানির সময় ধার্য করা হয়।
দুপুর ২টায় অ্যাটর্নি জেনারেল হাজির হয়ে আদালতে বলেন, 'এ বিষয় নিয়ে নিম্নআদালতে কয়েকটি মামলা আছে। হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে সিভিল আপিল বিচারাধীন। আপনিও রুল জারি করেছেন। তাই এ দুটি মামলা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাব।'
এরপর শ ম রেজাউল করিম আদালতে বলেন, এ জমির সঙ্গে জজ সাহেব কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন। আদালত বলেন, 'আপনার মক্কেল ধোয়া তুলসিপাতা নন। তিনিই দখল করেছেন। তিনিই পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।'
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানি করে চলে যাওয়ার পর আদালত যুগ্ম জেলা জজের বিষয়ে তদন্তের জন্য আইন সচিবকে নির্দেশ দিয়ে আদেশ দিতে গিয়েও পরে তা স্থগিত রাখেন। আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে ওই যুগ্ম জেলা জজ আবুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট চারজনকে আজও আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments