খালেদার দুর্নীতির বিচার না হলে অন্যদের করা যাবে না: হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীর আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য। তাঁর আন্দোলন নিজের এবং পুত্রদের দুর্নীতির বিচার বন্ধ করার জন্য। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচার করা না গেলে অন্যদের দুর্নীতির বিচারও করা যাবে না।
গতকাল রোববার গণভবনে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনির্বাচিত কেউ যেন ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে জন্য সংবিধান সংশোধন করে সেফটি ক্লজ বসিয়েছি। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ক্ষমতার মালিক জনগণ।’
১৮ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাগারে পাঠানো নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী গ্রেপ্তারের বাইরে ছিলেন না। ১৯৭৫-’৭৯ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের জেলে ঢোকানো হয়। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে খুন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ৪০ জনকে একসঙ্গে বন্দী করা হয়। সে সময় চোখ বেঁধে নেতাদের অত্যাচার করা হয়। এরপর ১৯৯১ সালে এরশাদ, রওশন এরশাদসহ জাতীয় পার্টির নেতাদেরও আটক করা হয়। সুশীল সমাজ কীভাবে এসব কাহিনি ভুলে যায়?
শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, যারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তারাই আবার নীতির কথা শোনায়। বিরোধী দলের এক নেতা, যিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাষ্ট্রপতির দয়ায় ক্ষমাপ্রাপ্ত, কখনো এদিক, কখনো ওদিক করে বেড়ান, যাঁর নাম নিতেও রুচিতে বাধে, তিনিও নীতির কথা বলেন।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের মডেল। তিনি বলেন, গত তিন বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে ১০ শতাংশ। কর্মসংস্থান হয়েছে ৬৮ লাখ লোকের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যখন উন্নয়ন করছে তখন বিএনপি বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। তারা নিজেরা খুনোখুনি করে অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপির সরকারের সময় দেশ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে যাকে-তাকে ধরে নিয়ে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়। আবার আইন করে এসব হত্যার বিচারও বন্ধ করা হয়। এরপর শুরু হয় ক্রসফায়ার।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্যাহ, মাহবুব উল আলম হানিফ, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনির্বাচিত কেউ যেন ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে জন্য সংবিধান সংশোধন করে সেফটি ক্লজ বসিয়েছি। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ক্ষমতার মালিক জনগণ।’
১৮ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাগারে পাঠানো নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী গ্রেপ্তারের বাইরে ছিলেন না। ১৯৭৫-’৭৯ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের জেলে ঢোকানো হয়। জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে খুন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ৪০ জনকে একসঙ্গে বন্দী করা হয়। সে সময় চোখ বেঁধে নেতাদের অত্যাচার করা হয়। এরপর ১৯৯১ সালে এরশাদ, রওশন এরশাদসহ জাতীয় পার্টির নেতাদেরও আটক করা হয়। সুশীল সমাজ কীভাবে এসব কাহিনি ভুলে যায়?
শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, যারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তারাই আবার নীতির কথা শোনায়। বিরোধী দলের এক নেতা, যিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাষ্ট্রপতির দয়ায় ক্ষমাপ্রাপ্ত, কখনো এদিক, কখনো ওদিক করে বেড়ান, যাঁর নাম নিতেও রুচিতে বাধে, তিনিও নীতির কথা বলেন।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের মডেল। তিনি বলেন, গত তিন বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে ১০ শতাংশ। কর্মসংস্থান হয়েছে ৬৮ লাখ লোকের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যখন উন্নয়ন করছে তখন বিএনপি বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। তারা নিজেরা খুনোখুনি করে অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপির সরকারের সময় দেশ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে যাকে-তাকে ধরে নিয়ে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়। আবার আইন করে এসব হত্যার বিচারও বন্ধ করা হয়। এরপর শুরু হয় ক্রসফায়ার।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্যাহ, মাহবুব উল আলম হানিফ, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
No comments