বিবিসিকে খালেদা-তত্ত্বাবধায়কে রাজি হলেই কেবল সংলাপ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে রাজি হলেই কেবল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। আর সে আলোচনা প্রথমে অবশ্যই হতে হবে জাতীয় সংসদের বাইরে। এরপর বিল এনে সংসদে আলোচনা হতে পারে। অন্য কোনো কিছুই তাঁকে আন্দোলন থেকে সরাতে পারবে না।
গতকাল রবিবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের গণ-অনশন কর্মসূচির পর বিবিসির বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। তিনি টেলিফোনে সাক্ষাৎকারটি দেন।
সাক্ষাৎকারে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'আলোচনায় বসার প্রথম শর্ত হলো- সরকারকে এটা পরিষ্কার ভাষায় বলতে হবে যে, আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনায় রাজি আছি।'
খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, এ সরকারকে সব রকম সহযোগিতা করব। কিন্তু দেখা গেছে, এ সরকার প্রথম থেকেই বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন-অত্যাচার শুরু করেছে। মইনউদ্দিন-ফকরুদ্দীনের যে সরকার ছিল, সে সরকার একটি অসাংবিধানিক সরকার ছিল, সেই সরকার মামলা দিয়েছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া সব মামলা কিন্তু সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আগে যেসব মামলায় সাজা হয়েছে, এমনকি ফাঁসির আসামিকেও তারা খালাস করে দিয়েছে। অথচ বিএনপির বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা সেসব তারা প্রত্যাহার করেনি। এবং এমনভাবে তারা কোর্টকে সাজিয়েছে যে, কোর্ট থেকে যে ন্যায়বিচার পাব সেই পথটিও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। সে জন্যই আমরা আন্দোলন করছি। তার পাশাপাশি আমরা বলছি, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সরকার কাজ করলে আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু আজকে সুশাসন বলে কিছু নেই দেশে। দুর্নীতিতে দেশ ভরে গেছে। আজকে গুম-খুন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব নিয়ে অবশ্যই আমাদের প্রতিবাদ করতে হয়, তাই আন্দোলন করতে হচ্ছে।'
মীমাংসার চেষ্টা করবেন? নাকি আবার হরতালের মতো কর্মসূচি দেবেন?- এমন প্রশ্নে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'আমরা তো চাই। কিন্তু সমাধানের ব্যাপারটা তো আমাদের হাতে না, সরকারের হাতে।' তিনি বলেন, 'দেখেন, একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গণ-অনশন, সেই কর্মসূচিটার জন্য আমাদের একটা জায়গা দরকার, সেই জায়গাটা পর্যন্ত সরকার দেয় না। যদি আমাদের মিছিল করতে দেওয়া না হয়, যদি আমাদেরকে জনসভা করতে দেওয়া না হয়, তাহলে তখন হরতাল ছাড়া তো আর কোনো পথ খোলা থাকে না আমাদের। ওই পথে ঠেলে দেয় সরকার নিজেই।'
সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া আরো বলেন, 'সরকার সংবিধানের অনেক পরিবর্তন করেছে। তারা কোর্টের দোহাই দেয়। কিন্তু কোর্ট সেখানে বলেই দিয়েছেন, আরো দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। সেটা না করে সরকার সংবিধান পুরো পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি থেকে সবাই নির্বাচন করতে চান।'
যদি সরকার রাজি হয়, তবে আলোচনা কোথায় হবে? সংসদের বাইরে নাকি ভেতরে?- এ প্রশ্নে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'বাইরে অবশ্যই। সবাই তো আর সংসদে যাননি। আমাদের এমনও লোক আছেন বা অন্য দলেরও লোক থাকতে পারেন, বা এঙ্পার্ট আছেন, যাঁদেরকে আমরা নিতে চাই, তাঁরা সবাই তো সংসদ সদস্য নন। সেজন্য আলোচনা প্রথমেই হতে হবে সংসদের বাইরে। তারপর বিল আনলে তখন সংসদে আলোচনা হতে পারে।' তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধরন কী রকম হতে পারে- সে প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আগেরটাতে তো কারো আপত্তি ছিল না। আগে সবটাই তো পরিষ্কার ছিল। আর সরকার তো ছিল মাত্র ৯০ দিনের জন্য। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে- এটাই তো হওয়া উচিত। অনির্বাচিত একটা সরকারের এই দায়িত্বটুকুই থাকা উচিত। তাদের কাছে যদি আরো কোনো ভালো ফর্মুলা থাকে তো আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সেটা হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ। কোনো দলীয় ব্যক্তি নয়।'
সাক্ষাৎকারে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'আলোচনায় বসার প্রথম শর্ত হলো- সরকারকে এটা পরিষ্কার ভাষায় বলতে হবে যে, আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনায় রাজি আছি।'
খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, এ সরকারকে সব রকম সহযোগিতা করব। কিন্তু দেখা গেছে, এ সরকার প্রথম থেকেই বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন-অত্যাচার শুরু করেছে। মইনউদ্দিন-ফকরুদ্দীনের যে সরকার ছিল, সে সরকার একটি অসাংবিধানিক সরকার ছিল, সেই সরকার মামলা দিয়েছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া সব মামলা কিন্তু সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আগে যেসব মামলায় সাজা হয়েছে, এমনকি ফাঁসির আসামিকেও তারা খালাস করে দিয়েছে। অথচ বিএনপির বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা সেসব তারা প্রত্যাহার করেনি। এবং এমনভাবে তারা কোর্টকে সাজিয়েছে যে, কোর্ট থেকে যে ন্যায়বিচার পাব সেই পথটিও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। সে জন্যই আমরা আন্দোলন করছি। তার পাশাপাশি আমরা বলছি, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সরকার কাজ করলে আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু আজকে সুশাসন বলে কিছু নেই দেশে। দুর্নীতিতে দেশ ভরে গেছে। আজকে গুম-খুন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব নিয়ে অবশ্যই আমাদের প্রতিবাদ করতে হয়, তাই আন্দোলন করতে হচ্ছে।'
মীমাংসার চেষ্টা করবেন? নাকি আবার হরতালের মতো কর্মসূচি দেবেন?- এমন প্রশ্নে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'আমরা তো চাই। কিন্তু সমাধানের ব্যাপারটা তো আমাদের হাতে না, সরকারের হাতে।' তিনি বলেন, 'দেখেন, একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গণ-অনশন, সেই কর্মসূচিটার জন্য আমাদের একটা জায়গা দরকার, সেই জায়গাটা পর্যন্ত সরকার দেয় না। যদি আমাদের মিছিল করতে দেওয়া না হয়, যদি আমাদেরকে জনসভা করতে দেওয়া না হয়, তাহলে তখন হরতাল ছাড়া তো আর কোনো পথ খোলা থাকে না আমাদের। ওই পথে ঠেলে দেয় সরকার নিজেই।'
সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া আরো বলেন, 'সরকার সংবিধানের অনেক পরিবর্তন করেছে। তারা কোর্টের দোহাই দেয়। কিন্তু কোর্ট সেখানে বলেই দিয়েছেন, আরো দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। সেটা না করে সরকার সংবিধান পুরো পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি থেকে সবাই নির্বাচন করতে চান।'
যদি সরকার রাজি হয়, তবে আলোচনা কোথায় হবে? সংসদের বাইরে নাকি ভেতরে?- এ প্রশ্নে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'বাইরে অবশ্যই। সবাই তো আর সংসদে যাননি। আমাদের এমনও লোক আছেন বা অন্য দলেরও লোক থাকতে পারেন, বা এঙ্পার্ট আছেন, যাঁদেরকে আমরা নিতে চাই, তাঁরা সবাই তো সংসদ সদস্য নন। সেজন্য আলোচনা প্রথমেই হতে হবে সংসদের বাইরে। তারপর বিল আনলে তখন সংসদে আলোচনা হতে পারে।' তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধরন কী রকম হতে পারে- সে প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আগেরটাতে তো কারো আপত্তি ছিল না। আগে সবটাই তো পরিষ্কার ছিল। আর সরকার তো ছিল মাত্র ৯০ দিনের জন্য। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে- এটাই তো হওয়া উচিত। অনির্বাচিত একটা সরকারের এই দায়িত্বটুকুই থাকা উচিত। তাদের কাছে যদি আরো কোনো ভালো ফর্মুলা থাকে তো আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সেটা হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ। কোনো দলীয় ব্যক্তি নয়।'
No comments