অহেতুক বিতর্কে সময়ক্ষেপণ কাম্য নয়-যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচার
ট্রাইব্যুনাল গঠন ও তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর দেশবাসী স্বভাবতই আশা করেছিল, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচারের কাজ দ্রুতই এগোবে। অন্তত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে তদন্ত কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে সে ক্ষেত্রে ঘাটতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
বরং নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ এমন সব বক্তব্য দিচ্ছেন, যাতে যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে তদন্তকাজ শুরু করার জন্য সংস্থার যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও অর্থের প্রয়োজন, তা এখনো যথাযথভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি। দেশবাসী যখন যুদ্ধকালীন অপরাধের তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষা করছে, তখন এ ধরনের পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
সরকার গঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে গঠিত কমিশনের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ তোলার আগে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি তদন্তকারী সংস্থার প্রধান আবদুল মতীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কার্যত অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আমরা মনে করি, যথাযথ তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ তোলা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকেই শুধু ব্যাহত করবে না, বরং সেই রাজনৈতিক শক্তিকে মদদ জোগাবে, যারা এই বিচারের বিরোধিতা করছে। যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর, মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে বোঝার উপায় নেই। একেক সময়ে তাঁদের একেক রকম কথাবার্তা বিচার নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। সরকার একাত্তরের যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচারে তদন্তকারী সংস্থা, আইনজীবী প্যানেল ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়ে তার প্রাথমিক দায়িত্ব শেষ করেছে। এখন এ নিয়ে বাহুল্য কথাবার্তা না বলাই শ্রেয়। সরকারের কর্তব্য হবে বিচার-প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগানো এবং কোথাও সমস্যা দেখা দিলে তা মিটিয়ে ফেলা।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হলেও আনুষঙ্গিক সহায়তা না দেওয়ায় তদন্তকাজও এগোতে পারছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় ট্রাইব্যুনালের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও এর কোনো অংশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। ফলে তদন্ত কর্মকর্তাদের যানবাহন ও অন্য আনুষঙ্গিক সমর্থনও জোগানো যাচ্ছে না। তাঁদের বসার জন্য ঘর দেওয়া হলেও আসবাব নেই। অতএব দ্রুত অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। আইনজীবী প্যানেলও পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। এসব সমস্যা দূর করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচার আমাদের জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আইনজীবী ও দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি আইনগত কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো অপরাধের বিচারের পূর্বশর্ত ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত। এ দায়িত্ব যাঁদের ওপর ন্যস্ত হয়েছে তাঁরা ঠিকমতো কাজটি করছেন কি না, সরকারের দায়িত্ব সেটি তদারক করা। বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে আমরাও বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব এ বিতর্কের মীমাংসা করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়াই হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রধান কর্তব্য।
সরকার গঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে গঠিত কমিশনের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ তোলার আগে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি তদন্তকারী সংস্থার প্রধান আবদুল মতীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কার্যত অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আমরা মনে করি, যথাযথ তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ তোলা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকেই শুধু ব্যাহত করবে না, বরং সেই রাজনৈতিক শক্তিকে মদদ জোগাবে, যারা এই বিচারের বিরোধিতা করছে। যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর, মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে বোঝার উপায় নেই। একেক সময়ে তাঁদের একেক রকম কথাবার্তা বিচার নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। সরকার একাত্তরের যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচারে তদন্তকারী সংস্থা, আইনজীবী প্যানেল ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়ে তার প্রাথমিক দায়িত্ব শেষ করেছে। এখন এ নিয়ে বাহুল্য কথাবার্তা না বলাই শ্রেয়। সরকারের কর্তব্য হবে বিচার-প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগানো এবং কোথাও সমস্যা দেখা দিলে তা মিটিয়ে ফেলা।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হলেও আনুষঙ্গিক সহায়তা না দেওয়ায় তদন্তকাজও এগোতে পারছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় ট্রাইব্যুনালের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও এর কোনো অংশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। ফলে তদন্ত কর্মকর্তাদের যানবাহন ও অন্য আনুষঙ্গিক সমর্থনও জোগানো যাচ্ছে না। তাঁদের বসার জন্য ঘর দেওয়া হলেও আসবাব নেই। অতএব দ্রুত অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। আইনজীবী প্যানেলও পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। এসব সমস্যা দূর করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচার আমাদের জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আইনজীবী ও দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি আইনগত কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সে ব্যাপারে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো অপরাধের বিচারের পূর্বশর্ত ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত। এ দায়িত্ব যাঁদের ওপর ন্যস্ত হয়েছে তাঁরা ঠিকমতো কাজটি করছেন কি না, সরকারের দায়িত্ব সেটি তদারক করা। বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে আমরাও বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব এ বিতর্কের মীমাংসা করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়াই হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রধান কর্তব্য।
No comments