হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতিতে জড়িত, বিচার হবে: খালেদা
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতির সব প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। সময়মতো প্রমাণ দেওয়া হবে। দেশে না হলে, আন্তর্জাতিকভাবে এসব দুর্নীতির বিচার হবে।’
গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের গণ-অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, কোথায়, কখন ছুটতে হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের এক পা দেশের বাইরে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যে দুর্নীতি করেননি, এটা প্রমাণ করতে পারবেন না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল নিয়ে বিএনপি আলোচনা করতে চায়। কিন্তু সরকারকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনছে। এটা লিখিত হতে হবে। ওই সরকারের প্রধান কে হবে বা এর রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে বিএনপি আলোচনা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘আলোচনা না করলে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনের মুলা ঝোলাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ওই চিন্তা ভুলে যান। কেননা রাষ্ট্রপতি দলীয় লোক। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সেটি তত্ত্বাবধায়ক বা অন্য যেকোনো নামের সরকারের অধীনে হতে পারে। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয়।’ তিনি বলেন, সরকার তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। কেননা এরা দেশের জন্য কিছু করেনি। তাই নির্বাচনের সময় গ্রামে যেতে পারবে না। গ্রামের জনগণ তাদের বুঝিয়ে দেবে।
পত্রিকায় ছাপা হওয়া গফরগাঁওয়ে সরকারদলীয় সাংসদ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের ছবি দেখিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেখেন, তারা কীভাবে জনগণকে গুলি করছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা এসএমজি, এলএমজি নিয়ে বেরিয়ে পড়বে। কাউকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেবে না। নিজেরাই সব ব্যালটে সিল মেরে ভোটবাক্স ভরে দেবে।’
ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সব নেতাকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে গঠিত বিশেষ বাহিনী ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে। এ ছাড়া গভীর রাতে পুলিশ খারাপ উদ্দেশ্যে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর বাসায় গিয়েছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বিরোধীদলীয় নেতা দাবি করেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির কাছে সরকারের দুর্নীতির অনেক গোপন তথ্য ছিল। তাঁরা তা দেশে বা বিদেশে প্রকাশ করতেন। এটি জানতে পেরেই সরকার তাঁদের হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিরা গ্রেপ্তার হবে। তিন মাস হলো খুনিরা ধরা পড়ল না কেন? কারণ খুনিরা দেশে নাই। সরকার তাদের বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাঁরা দেশে আছেন, তাঁদের ধরা হচ্ছে না।’
খালেদা জিয়া ১৮ দলীয় জোটের কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি দাবি করে বলেন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে পুরে রেখেছে। তিনি বলেন, সরকার যদি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়, বাধা না দেয়; গণ-অনশন, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করতে দেয়, তাহলে আর হরতালের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সবরকার বাধা দিচ্ছে। গণ-অনশনের জায়গা দিতে চায়নি। পরে হরতালের কথা বলায় শেষ মুহূর্তে মহানগর নাট্যমঞ্চ বরাদ্দ দিয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের সব মন্ত্রণালয় চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। এখন আর ব্রিফকেসে টাকা ধরে না। মন্ত্রণালয়গুলো থেকে বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে তারা বিদেশে পাঠাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যেই প্রমাণ হয়, সরকার কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় কেবল দলীয়করণ। এই সরকার জনগণের নয়, দলের সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় উপাচার্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়মবহির্ভূতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য করা হয়েছে। তাঁকে ছোট করতে চাই না। কিন্তু এ নিয়োগে জাহাঙ্গীরনগরে সংকট কাটবে না, নতুন করে সংকট তৈরি হলো।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথায় গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। কেননা তারা জনগণকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছে। তারা ব্যস্ত কেবল লুটপাট আর দুর্নীতিতে। দেশে এখন কেবল নাই নাই অবস্থা। আর সরকারে কেবল খাই খাই অবস্থা। এই নাই নাই আর খাই খাই বন্ধ করতে হলে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে অথবা তার আগে। ১০ জুনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানা হলে ১১ জুনের সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল নিয়ে বিএনপি আলোচনা করতে চায়। কিন্তু সরকারকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনছে। এটা লিখিত হতে হবে। ওই সরকারের প্রধান কে হবে বা এর রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে বিএনপি আলোচনা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘আলোচনা না করলে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনের মুলা ঝোলাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ওই চিন্তা ভুলে যান। কেননা রাষ্ট্রপতি দলীয় লোক। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সেটি তত্ত্বাবধায়ক বা অন্য যেকোনো নামের সরকারের অধীনে হতে পারে। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয়।’ তিনি বলেন, সরকার তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। কেননা এরা দেশের জন্য কিছু করেনি। তাই নির্বাচনের সময় গ্রামে যেতে পারবে না। গ্রামের জনগণ তাদের বুঝিয়ে দেবে।
পত্রিকায় ছাপা হওয়া গফরগাঁওয়ে সরকারদলীয় সাংসদ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের ছবি দেখিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেখেন, তারা কীভাবে জনগণকে গুলি করছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা এসএমজি, এলএমজি নিয়ে বেরিয়ে পড়বে। কাউকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেবে না। নিজেরাই সব ব্যালটে সিল মেরে ভোটবাক্স ভরে দেবে।’
ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সব নেতাকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে গঠিত বিশেষ বাহিনী ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে। এ ছাড়া গভীর রাতে পুলিশ খারাপ উদ্দেশ্যে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর বাসায় গিয়েছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বিরোধীদলীয় নেতা দাবি করেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির কাছে সরকারের দুর্নীতির অনেক গোপন তথ্য ছিল। তাঁরা তা দেশে বা বিদেশে প্রকাশ করতেন। এটি জানতে পেরেই সরকার তাঁদের হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিরা গ্রেপ্তার হবে। তিন মাস হলো খুনিরা ধরা পড়ল না কেন? কারণ খুনিরা দেশে নাই। সরকার তাদের বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাঁরা দেশে আছেন, তাঁদের ধরা হচ্ছে না।’
খালেদা জিয়া ১৮ দলীয় জোটের কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি দাবি করে বলেন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে পুরে রেখেছে। তিনি বলেন, সরকার যদি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়, বাধা না দেয়; গণ-অনশন, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করতে দেয়, তাহলে আর হরতালের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সবরকার বাধা দিচ্ছে। গণ-অনশনের জায়গা দিতে চায়নি। পরে হরতালের কথা বলায় শেষ মুহূর্তে মহানগর নাট্যমঞ্চ বরাদ্দ দিয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের সব মন্ত্রণালয় চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। এখন আর ব্রিফকেসে টাকা ধরে না। মন্ত্রণালয়গুলো থেকে বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে তারা বিদেশে পাঠাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যেই প্রমাণ হয়, সরকার কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় কেবল দলীয়করণ। এই সরকার জনগণের নয়, দলের সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় উপাচার্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়মবহির্ভূতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য করা হয়েছে। তাঁকে ছোট করতে চাই না। কিন্তু এ নিয়োগে জাহাঙ্গীরনগরে সংকট কাটবে না, নতুন করে সংকট তৈরি হলো।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথায় গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। কেননা তারা জনগণকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছে। তারা ব্যস্ত কেবল লুটপাট আর দুর্নীতিতে। দেশে এখন কেবল নাই নাই অবস্থা। আর সরকারে কেবল খাই খাই অবস্থা। এই নাই নাই আর খাই খাই বন্ধ করতে হলে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে অথবা তার আগে। ১০ জুনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানা হলে ১১ জুনের সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
No comments