কারও প্রতি অনুকম্পার সুযোগ নেই-ঢাবির শিক্ষকদের অননুমোদিত ছুটি
জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই যদি আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান, তাহলে সমাজের অন্যান্য শ্রেণী ও পেশার মানুষ কী করবেন, সহজেই অনুমেয়। গত বুধবার প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন শিক্ষক দীর্ঘদিন গরহাজির রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার চিঠি দিয়েও সাড়া পায়নি।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে গরহাজির থাকা দুজন বহুল আলোচিত শিক্ষক কোথায় অবস্থান করছেন, তাও তাঁরা জানাননি অথবা জানানোর সাহস পাননি। তাঁদের একজন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত। তিনি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় আছেন বলে পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আগে কেবল অসাধু রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতার পালাবদলের পর বিদেশে পালিয়ে যেতেন মামলার ভয়ে। এখন তাঁদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও যুক্ত হলেন। আরেকজন এক-এগারোর পর জাতিকে গণতন্ত্রে দীক্ষা নেওয়ার জন্য ক্রমাগত নসিহত করে গেছেন। তা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু তাঁর মূল দায়িত্ব যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো, সে বিষয়টি সম্ভবত শিক্ষক মহোদয় ভুলে গেছেন। এ ছাড়া পরীক্ষার ফল কেলেংকারির সঙ্গেও তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত নয়জনের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করলেও অন্যদের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আইন সবার জন্য সমান। কারও প্রতি পক্ষপাত বা অনুকম্পার সুযোগ নেই। অনুপস্থিত শিক্ষকদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পড়াশোনাই ব্যাহত হচ্ছে না; অনেক সময় পরীক্ষা, টিউটরিয়াল গ্রহণ ও ফল প্রকাশেও বিলম্ব ঘটে থাকে।
সম্প্রতি পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় দুটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন। এরপর একটি বিভাগে ত্বরিত ফলও প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফল প্রকাশের জন্য যদি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে হয়, সেটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেসব শিক্ষক অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যাঁরা উচ্চ ডিগ্রি নেওয়ার জন্য বিদেশে যান, তাঁদের অনেকে ফিরে আসেন না। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেই বৃত্তি পান। এটিও দেশের জন্য বড় ক্ষতি। সে ক্ষেত্রে বিদেশে যাওয়ার আগেই তাঁদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিতে হবে যে ফিরে না এলে তাঁরা বেতন-ভাতা ফেরত দেবেন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের কাছে দায়িত্বশীল ও ন্যায়ানুগ আচরণই কাম্য। এর ব্যত্যয় যাঁরা ঘটাবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।
সম্প্রতি পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় দুটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন। এরপর একটি বিভাগে ত্বরিত ফলও প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফল প্রকাশের জন্য যদি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে হয়, সেটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেসব শিক্ষক অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যাঁরা উচ্চ ডিগ্রি নেওয়ার জন্য বিদেশে যান, তাঁদের অনেকে ফিরে আসেন না। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেই বৃত্তি পান। এটিও দেশের জন্য বড় ক্ষতি। সে ক্ষেত্রে বিদেশে যাওয়ার আগেই তাঁদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিতে হবে যে ফিরে না এলে তাঁরা বেতন-ভাতা ফেরত দেবেন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের কাছে দায়িত্বশীল ও ন্যায়ানুগ আচরণই কাম্য। এর ব্যত্যয় যাঁরা ঘটাবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।
No comments