গাছ কেটে প্রতিশোধ! by আলম শাইন
গাছ প্রকৃতির বধির সন্তান। আমাদের বন্ধু। আত্মার আত্মীয়। গাছ দিতে জানে; নেওয়ার অভ্যাস নেই। একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি গাছের প্রয়োজনীয়তা বলার মতো নয়। যে কেউই বলে দিতে পারেন। কাজেই ও সব নিয়ে সাফাই গাওয়ার প্রয়োজনবোধ করছি না। প্রয়োজনবোধ করছি গাছপালা বিনষ্টকারীদের কথা জানানোর।
দেশবাসী জানেন। তারপরও জানাচ্ছি, জানাতে হচ্ছে। কারণ বন-বনাদি, ফলদ গাছ উজাড় হলে মাথায় হাত পড়বে আমাদেরই।
হ্যাঁ, আমরা প্রায়ই খবরের কাগজে পড়ি, দেশের কোথাও না কোথাও দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে মানুষের ফসলাদি কিংবা গাছপালা কেটে বিনাশ করে দিচ্ছে। কোনো ধরনের গাছপালাই এ থেকে বাদ পড়ছে না। লাউ, কলা, করলা, পেঁপে, আম, জামগাছসহ কোনো গাছই বাদ পড়েনি। পূর্বশত্রুতার জের ধরে জঘন্য এ কাজটি করতে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের হাতে কম্পন ধরেনি। অনেকটা বউ পেটানো মরদের মতো কাণ্ডটি করেন। যে কিনা কারও সঙ্গে না পেরে বাড়ি এসে বউকে আচ্ছা করে ধোলাই দিয়ে মনের খেদ মেটায়। ঠিক বিনষ্টকারীরাও অমনটি করছে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে না পেরে তার গাছপালার মাথা কেটে দিচ্ছে অগোচরে। আঃ কী বাহাদুর! একে কী বলব আমরা? হীনম্মন্যতার বহিঃপ্রকাশ নিশ্চয়ই? অসাধু লোকদের ঈর্ষান্বিত অপকর্মের জন্য ভুক্তভোগী মানুষটি যে কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হন, তারা কি তার হিসাব কষে দেখেছে? নাকি হিসাবটা কষেই মাঠে নেমেছে প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে?
যার ক্ষতি হয়েছে তিনি যদি ঋণ নিয়ে গাছ বা ফসলাদি লাগিয়ে থাকেন, তাহলে বেচারির অবস্থাটা কেমন হতে পারে ভেবে দেখুন, পিল্গজ। তা ছাড়া এসব ফসল বা গাছপালার ভোগের অংশীদার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমরা সবাই। সেটাও মনে রাখা প্রয়োজন আমাদের।
এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কাগজে বিস্তর খবর ছাপা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশের মানুষ খবরটা পড়ে আফসোসও করছেন। এলাকায় দু'চারদিন গুঞ্জন থাকে যে, কাজটি অমুকে ছাড়া কেউ করতে পারেনি। 'ছিঃ, ধিক'! ইত্যাদি শব্দ প্রকাশ করে মানুষ তাদের ক্ষোভও প্রকাশ করছেন। পারলে সেই দুর্বৃত্তের নামের ওপর একদলা থুথুও নিক্ষেপ করেন।
আমরা জানি, মন্দ কাজকে মানুষ ঘৃণা করবেই_ এটা চিরাচরিত নিয়ম। এ-ও জানি, ঘৃণা মানে বিচার নয়। বিচার মানে একটা শাস্তি ভোগ করা। অথচ সে ধরনের শাস্তি কিন্তু এরা পাচ্ছে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়ার কথা আমরা জানতে পারিনি কখনও। মামলা পর্যন্ত গড়ালেও দোষী ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে। যার ভূরি ভূরি প্রমাণও রয়েছে।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ অসাধু লোকগুলো রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে থানার ওসিদের প্রভাবিত করে। অতঃপর একটি দুর্বল চার্জশিট বের করে মামলা থেকে খালাস পেয়ে যায়। বিশেষ করে এ ধরনের দুষ্কৃতকারীদের সম্পর্ক থাকে ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে। অথবা দেখা গেছে, দুষ্কৃতকারী নিজেই ওয়ার্ড পর্যায়ের ছোটখাটো নেতা। খতিয়ানে অমনটিই পাওয়া গেছে। কারণ উচ্চ মানসিকতার লোক দ্বারা এ নাশকতা সম্ভব নয়। এ বখাটেরা প্রশ্রয় পেয়ে থাকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে। যার ফলে ওরা এ ধরনের হীনকর্ম করতে দ্বিধাবোধ করে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে হয়তো দেশের কোথাও আর এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস পেত না কেউ-ই। তাই আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করছি এ থেকে পরিত্রাণ পেতে। যাতে মানুষ গাছপালা লাগিয়ে নির্বিঘ্নে রাতে ঘুমাতে পারেন।
alamshine@gmail.com
হ্যাঁ, আমরা প্রায়ই খবরের কাগজে পড়ি, দেশের কোথাও না কোথাও দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে মানুষের ফসলাদি কিংবা গাছপালা কেটে বিনাশ করে দিচ্ছে। কোনো ধরনের গাছপালাই এ থেকে বাদ পড়ছে না। লাউ, কলা, করলা, পেঁপে, আম, জামগাছসহ কোনো গাছই বাদ পড়েনি। পূর্বশত্রুতার জের ধরে জঘন্য এ কাজটি করতে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের হাতে কম্পন ধরেনি। অনেকটা বউ পেটানো মরদের মতো কাণ্ডটি করেন। যে কিনা কারও সঙ্গে না পেরে বাড়ি এসে বউকে আচ্ছা করে ধোলাই দিয়ে মনের খেদ মেটায়। ঠিক বিনষ্টকারীরাও অমনটি করছে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে না পেরে তার গাছপালার মাথা কেটে দিচ্ছে অগোচরে। আঃ কী বাহাদুর! একে কী বলব আমরা? হীনম্মন্যতার বহিঃপ্রকাশ নিশ্চয়ই? অসাধু লোকদের ঈর্ষান্বিত অপকর্মের জন্য ভুক্তভোগী মানুষটি যে কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হন, তারা কি তার হিসাব কষে দেখেছে? নাকি হিসাবটা কষেই মাঠে নেমেছে প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে?
যার ক্ষতি হয়েছে তিনি যদি ঋণ নিয়ে গাছ বা ফসলাদি লাগিয়ে থাকেন, তাহলে বেচারির অবস্থাটা কেমন হতে পারে ভেবে দেখুন, পিল্গজ। তা ছাড়া এসব ফসল বা গাছপালার ভোগের অংশীদার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমরা সবাই। সেটাও মনে রাখা প্রয়োজন আমাদের।
এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কাগজে বিস্তর খবর ছাপা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশের মানুষ খবরটা পড়ে আফসোসও করছেন। এলাকায় দু'চারদিন গুঞ্জন থাকে যে, কাজটি অমুকে ছাড়া কেউ করতে পারেনি। 'ছিঃ, ধিক'! ইত্যাদি শব্দ প্রকাশ করে মানুষ তাদের ক্ষোভও প্রকাশ করছেন। পারলে সেই দুর্বৃত্তের নামের ওপর একদলা থুথুও নিক্ষেপ করেন।
আমরা জানি, মন্দ কাজকে মানুষ ঘৃণা করবেই_ এটা চিরাচরিত নিয়ম। এ-ও জানি, ঘৃণা মানে বিচার নয়। বিচার মানে একটা শাস্তি ভোগ করা। অথচ সে ধরনের শাস্তি কিন্তু এরা পাচ্ছে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়ার কথা আমরা জানতে পারিনি কখনও। মামলা পর্যন্ত গড়ালেও দোষী ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে। যার ভূরি ভূরি প্রমাণও রয়েছে।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ অসাধু লোকগুলো রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে থানার ওসিদের প্রভাবিত করে। অতঃপর একটি দুর্বল চার্জশিট বের করে মামলা থেকে খালাস পেয়ে যায়। বিশেষ করে এ ধরনের দুষ্কৃতকারীদের সম্পর্ক থাকে ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে। অথবা দেখা গেছে, দুষ্কৃতকারী নিজেই ওয়ার্ড পর্যায়ের ছোটখাটো নেতা। খতিয়ানে অমনটিই পাওয়া গেছে। কারণ উচ্চ মানসিকতার লোক দ্বারা এ নাশকতা সম্ভব নয়। এ বখাটেরা প্রশ্রয় পেয়ে থাকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে। যার ফলে ওরা এ ধরনের হীনকর্ম করতে দ্বিধাবোধ করে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে হয়তো দেশের কোথাও আর এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস পেত না কেউ-ই। তাই আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করছি এ থেকে পরিত্রাণ পেতে। যাতে মানুষ গাছপালা লাগিয়ে নির্বিঘ্নে রাতে ঘুমাতে পারেন।
alamshine@gmail.com
No comments