দুদক আইনের সংস্কার-অগ্রপথিক চাই, পশ্চাত্পথিক নয় by মোজাফ্ফর আহমদ
বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা নিয়ে জনমনে কোনো সন্দেহ নেই। প্রতিদিন সংবাদপত্রে দুর্নীতির খবরাখবর বের হয়। এক হিসাব অনুযায়ী, দুর্নীতির মাত্রা কমিয়ে আনা গেলে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে লক্ষণীয়ভাবে।
দুর্নীতির মাধ্যমে অনার্জিত আয়ের পথ উন্মুক্ত হয় বলেই উত্পাদনবিমুখ দ্রুত ধনশালী হওয়ার এক মানসিকতা সরকারি ও বেসরকারি খাতে পরিব্যাপ্ত হয়। এ ছাড়া, স্মরণ রাখা প্রয়োজন, দুর্নীতির অভিঘাত সবচেয়ে বেশি পড়ে ক্ষমতাহীন নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর। এর মাধ্যমে আয়-বৈষম্যের যে বৃদ্ধি ঘটে, তাও সুষম সমাজ গঠনে সহায়ক হয় না। দুর্নীতির চক্রে ক্ষমতার অবস্থান অত্যন্ত প্রকটভাবে ক্রিয়াশীল। এ জন্য সরকারি খাতে আমলাতন্ত্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুর্নীতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এর সঙ্গে সহায়ক ভূমিকায় থাকে ব্যবসায়ীদের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী এবং তাদের মদদে রাজনীতিবিদদের অবস্থানও জনস্বার্থবিরোধী হয়ে পড়ে। এই তিনের স্পর্শে জনসম্পদের পাচার ও অপচয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।
দুর্নীতি দমনের বিষয়ে এ দেশে যে আন্দোলন গত কয়েক দশক ধরে হয়ে আসছে, তার ধারাবাহিকতায় স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ দেশে দুর্নীতি দমন ব্যুরো অনেক কাল ধরে ক্রিয়াশীল ছিল। সে ব্যুরোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ এমন কঠিন ছিল যে তাদের প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এমন মামলাগুলো আদালতে অনেক সময়ই রুজু হয়নি অনুমতির অভাবে, যেগুলো রুজু হয়েছে দুর্বল উপস্থাপনার কারণে আদালতে সেগুলোর নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে অনেক কাল। ব্যুরোতেও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল ব্যাপক হারে। ব্যুরোর বেহাল দশার পেছনে ছিল রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। এ পরিপ্রেক্ষিতেই আইনের ভিত্তিতে অন্যান্য সংসদীয় সংস্থার আদলে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের দাবি ওঠে। কেবল বাংলাদেশে নয়, এ দাবি ওঠে পৃথিবীর নানা দেশে। নাগরিক সমাজের দাবির মুখে জাতিসংঘ এ সম্পর্কে একটি সনদ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সে সনদে স্বাক্ষর করেছে এবং পরবর্তী সময়ে সরকারিভাব অনুসমর্থন (র্যাটিফাই) করেছে। সম্প্রতি সরকার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট সম্পর্কীয় সনদে মানবতাবিরোধী বিচারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনুস্বাক্ষর দিয়েছে। সে সনদের মতোই জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদের বিভিন্ন করণীয় এখন সরকারের দায়িত্বের আওতায় পড়ে। স্মরণীয় যে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে স্বাধীন, কার্যকর ও শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী অনেকবার সংসদে ও সংসদের বাইরে দুর্নীতি দমনের জন্য কার্যকর প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের কিছু সংশোধনী এনে অধ্যাদেশ জারি করেছিল, যেটি বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশনে অনুমোদিত হয়নি। আদালতেও বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দুর্নীতি দমন কমিশনের নানা কর্মকে স্থবির করে তুলেছে এবং কিছু কিছু মামলায় প্রক্রিয়াকে মূল অভিযোগ ও তার সঙ্গে যে প্রমাণাদি উত্থাপিত হয়েছিল তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করায় এক জটিলতার সৃষ্টি হয়। মামলা স্থগিত করে জামিন নিয়ে সাজাপ্রাপ্ত কিছু লোক নির্বাচনী বিধিমালার ফাঁকফোকর গলে বর্তমানে সংসদে এসে বিভিন্ন অযৌক্তিক কথা বলে চলেছেন। তাঁদের অনেকে যেহেতু আগে আমলা ছিলেন তাঁদেরই প্রভাবে আমলাতন্ত্রের সুরক্ষার জন্য সচিব কমিটি ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। তারই ফলে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় দুর্নীতি দমন কমিশন-সম্পর্কিত আইনের কিছু সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে, যা সংসদের আগামী বৈঠকে আইন হিসেবে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে সেটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে দুর্বল করবে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদাকে হাস্যকর করে তুলবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সরকারের (তথা প্রধানমন্ত্রীর) অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এখানে আমলাতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়ার অকারণ প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। বিয়াল্লিশের মন্বন্তর ও বার্মা থেকে আশ্রয়হীনদের ভারতে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে যে দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়, সেখানেও এমনতর সুরক্ষা ছিল না। সবচেয়ে সার্থক দুর্নীতি দমন কমিশন হংকং ও সিঙ্গাপুরে এমনটি নেই। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ অন্যান্য দেশেও এর উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন সুরক্ষা এটিই প্রমাণ করবে যে বাংলাদেশে নতুন করে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি হাস্যকার বিধান। তদন্তের জেরায় নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ব্যাপারে যুক্ত হতে পারবেন না। ফৌজদারি বিধিতেও এমন বিধান নেই। অপরাধী বা অভিযুক্তকে সে দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। না হলে মন্ত্রী অভিযুক্ত হলে তাঁকে জেরা করতে আবার মন্ত্রী নিয়োগের বিষয় এসে যাবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের জবাবদিহিতার জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে ব্যবহার করা যায় অথবা সংসদের একটি বিশেষ কমিটিকে এ দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। দুর্নীতি যেহেতু মূলত ‘একজিকিউটিভ’ ব্রাঞ্চের ব্যাপার, সে কারণে একে সে বিভাগের অধীনে আনার প্রস্তাব গ্রহণীয় নয়।
বিএনপির শাসনামলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন অকার্যকর ছিল। তেমনি বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে এটি স্থবির হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সচিব নিয়োগের প্রস্তাব এবং সচিবের ক্ষমতার এখতিয়ার। কমিশন প্রয়োজনে প্রেষণে সচিব নিয়োগের অনুরোধ করতেই পারে কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক করা হলে নির্বাচন কমিশনের উপাখ্যানের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। বর্তমান সরকার জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী যেসব করণীয় ছিল, সেদিকে এখনো দৃষ্টিপাত করেনি। বিশেষ করে, তথ্য প্রদানকারীর সুরক্ষা (whistleblowers protection) কিন্তু এর বিপরীতে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীর জন্য শাস্তির বিধান রাখছে। এসবই এ দেশে দুর্নীতির ব্যাপ্তি ও গভীরতাকে বাড়িয়ে দেবে, যেমন আমরা দেখছি নানা দখলের উন্মাদনার মধ্যে।
মোজাফ্ফর আহমদ: শিক্ষাবিদ, টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।
দুর্নীতি দমনের বিষয়ে এ দেশে যে আন্দোলন গত কয়েক দশক ধরে হয়ে আসছে, তার ধারাবাহিকতায় স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ দেশে দুর্নীতি দমন ব্যুরো অনেক কাল ধরে ক্রিয়াশীল ছিল। সে ব্যুরোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ এমন কঠিন ছিল যে তাদের প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এমন মামলাগুলো আদালতে অনেক সময়ই রুজু হয়নি অনুমতির অভাবে, যেগুলো রুজু হয়েছে দুর্বল উপস্থাপনার কারণে আদালতে সেগুলোর নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে অনেক কাল। ব্যুরোতেও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল ব্যাপক হারে। ব্যুরোর বেহাল দশার পেছনে ছিল রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। এ পরিপ্রেক্ষিতেই আইনের ভিত্তিতে অন্যান্য সংসদীয় সংস্থার আদলে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের দাবি ওঠে। কেবল বাংলাদেশে নয়, এ দাবি ওঠে পৃথিবীর নানা দেশে। নাগরিক সমাজের দাবির মুখে জাতিসংঘ এ সম্পর্কে একটি সনদ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সে সনদে স্বাক্ষর করেছে এবং পরবর্তী সময়ে সরকারিভাব অনুসমর্থন (র্যাটিফাই) করেছে। সম্প্রতি সরকার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট সম্পর্কীয় সনদে মানবতাবিরোধী বিচারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনুস্বাক্ষর দিয়েছে। সে সনদের মতোই জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদের বিভিন্ন করণীয় এখন সরকারের দায়িত্বের আওতায় পড়ে। স্মরণীয় যে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে স্বাধীন, কার্যকর ও শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী অনেকবার সংসদে ও সংসদের বাইরে দুর্নীতি দমনের জন্য কার্যকর প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের কিছু সংশোধনী এনে অধ্যাদেশ জারি করেছিল, যেটি বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশনে অনুমোদিত হয়নি। আদালতেও বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দুর্নীতি দমন কমিশনের নানা কর্মকে স্থবির করে তুলেছে এবং কিছু কিছু মামলায় প্রক্রিয়াকে মূল অভিযোগ ও তার সঙ্গে যে প্রমাণাদি উত্থাপিত হয়েছিল তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করায় এক জটিলতার সৃষ্টি হয়। মামলা স্থগিত করে জামিন নিয়ে সাজাপ্রাপ্ত কিছু লোক নির্বাচনী বিধিমালার ফাঁকফোকর গলে বর্তমানে সংসদে এসে বিভিন্ন অযৌক্তিক কথা বলে চলেছেন। তাঁদের অনেকে যেহেতু আগে আমলা ছিলেন তাঁদেরই প্রভাবে আমলাতন্ত্রের সুরক্ষার জন্য সচিব কমিটি ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। তারই ফলে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় দুর্নীতি দমন কমিশন-সম্পর্কিত আইনের কিছু সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে, যা সংসদের আগামী বৈঠকে আইন হিসেবে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে সেটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে দুর্বল করবে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদাকে হাস্যকর করে তুলবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সরকারের (তথা প্রধানমন্ত্রীর) অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এখানে আমলাতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়ার অকারণ প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। বিয়াল্লিশের মন্বন্তর ও বার্মা থেকে আশ্রয়হীনদের ভারতে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে যে দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়, সেখানেও এমনতর সুরক্ষা ছিল না। সবচেয়ে সার্থক দুর্নীতি দমন কমিশন হংকং ও সিঙ্গাপুরে এমনটি নেই। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ অন্যান্য দেশেও এর উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন সুরক্ষা এটিই প্রমাণ করবে যে বাংলাদেশে নতুন করে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি হাস্যকার বিধান। তদন্তের জেরায় নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ব্যাপারে যুক্ত হতে পারবেন না। ফৌজদারি বিধিতেও এমন বিধান নেই। অপরাধী বা অভিযুক্তকে সে দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। না হলে মন্ত্রী অভিযুক্ত হলে তাঁকে জেরা করতে আবার মন্ত্রী নিয়োগের বিষয় এসে যাবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের জবাবদিহিতার জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে ব্যবহার করা যায় অথবা সংসদের একটি বিশেষ কমিটিকে এ দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। দুর্নীতি যেহেতু মূলত ‘একজিকিউটিভ’ ব্রাঞ্চের ব্যাপার, সে কারণে একে সে বিভাগের অধীনে আনার প্রস্তাব গ্রহণীয় নয়।
বিএনপির শাসনামলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন অকার্যকর ছিল। তেমনি বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে এটি স্থবির হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সচিব নিয়োগের প্রস্তাব এবং সচিবের ক্ষমতার এখতিয়ার। কমিশন প্রয়োজনে প্রেষণে সচিব নিয়োগের অনুরোধ করতেই পারে কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক করা হলে নির্বাচন কমিশনের উপাখ্যানের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। বর্তমান সরকার জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী যেসব করণীয় ছিল, সেদিকে এখনো দৃষ্টিপাত করেনি। বিশেষ করে, তথ্য প্রদানকারীর সুরক্ষা (whistleblowers protection) কিন্তু এর বিপরীতে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীর জন্য শাস্তির বিধান রাখছে। এসবই এ দেশে দুর্নীতির ব্যাপ্তি ও গভীরতাকে বাড়িয়ে দেবে, যেমন আমরা দেখছি নানা দখলের উন্মাদনার মধ্যে।
মোজাফ্ফর আহমদ: শিক্ষাবিদ, টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।
No comments