বাণিজ্যের বলি হতে পারে না জাতীয় সম্পদ-কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত
ভূমিদস্যুতা আর বাণিজ্যের বলি হতে চলেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কক্সবাজার সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রতীরের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ঘোষিত এলাকা অজস্র অবৈধ স্থাপনায় ভরে গেছে। ঘিঞ্জি হোটেল-মোটেলে সৈকতের মোহনীয় ঝাউবন থেকে শুরু করে বিরল জীববৈচিত্র্যও ক্রমাগত ধ্বংস হয়ে চলেছে।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের এই ক্ষতি আঞ্চলিক নয়, জাতীয় এবং অপূরণীয়।
গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, সৈকতের আশপাশের ২০০টি হোটেল-মোটেলের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে মাত্র ৩০টির। কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এ ধরনের ভবন নির্মাণ কীভাবে চলতে পারছে, তার উত্তর অবশ্যই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দিতে হবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সৈকতপাড়ের অনেক জমি দলীয় লোকজনের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। বর্তমান সরকারের সময় এসব প্লটের অধিকারীদের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ইজারা বাতিল করা হলেও ঠিকই সেসব জমিতে ভরাটকাজ চলছে। কক্সবাজারের ভূমি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দায়িত্ব কী, এর উত্তর পাওয়া তাই জরুরি হয়ে পড়েছে।
সরকারি নির্দেশ প্রায়ই কাগুজে বাঘ হয়ে থাকতে দেখা যায় একশ্রেণীর ভূমি কর্মকর্তা এবং সরকারদলীয় রাজনৈতিক মহলের পৃষ্ঠপোষকতায়। বাণিজ্যিক স্বার্থের কাছে জাতীয় এই সম্পদের বিনষ্টি ঠেকানোর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এই অনাচার থামানো না গেলে পৃথিবীর দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতে ভবন-মার্কেট সবই থাকবে, কেবল থাকবে না প্রকৃতির অপরূপ শোভা।
গ্রিক পৌরাণিক রাজা মিডাস দেবতাদের কাছে সবকিছু স্পর্শ করে সোনায় পরিণত করার বর চান। বর পেয়ে তিনি যা ছুঁতেন তা-ই সোনা হয়ে যেত। সেই লোভীর ক্ষমতাই তাঁর সর্বনাশ ঘটায়। খাবারে হাত দিলে তা সোনা হয়ে যায়, কন্যাকে আদর করতে গেলে সে হয়ে যায় সোনার মূর্তি। কিন্তু সোনা খাওয়া যায় না, সোনার কন্যাকে বাঁচানো যায় না। আমাদের বন, নদী, পাহাড়ের পর এখন সৈকত দখলের নজির মিডাসের পরিণতির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। লোভের স্পর্শে সবই মুনাফার বলি হচ্ছে। কিন্তু একবার ধ্বংস হলে প্রকৃতি ও নিসর্গের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়েই পূরণ হবে না।
গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, সৈকতের আশপাশের ২০০টি হোটেল-মোটেলের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে মাত্র ৩০টির। কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এ ধরনের ভবন নির্মাণ কীভাবে চলতে পারছে, তার উত্তর অবশ্যই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দিতে হবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সৈকতপাড়ের অনেক জমি দলীয় লোকজনের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। বর্তমান সরকারের সময় এসব প্লটের অধিকারীদের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ইজারা বাতিল করা হলেও ঠিকই সেসব জমিতে ভরাটকাজ চলছে। কক্সবাজারের ভূমি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দায়িত্ব কী, এর উত্তর পাওয়া তাই জরুরি হয়ে পড়েছে।
সরকারি নির্দেশ প্রায়ই কাগুজে বাঘ হয়ে থাকতে দেখা যায় একশ্রেণীর ভূমি কর্মকর্তা এবং সরকারদলীয় রাজনৈতিক মহলের পৃষ্ঠপোষকতায়। বাণিজ্যিক স্বার্থের কাছে জাতীয় এই সম্পদের বিনষ্টি ঠেকানোর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এই অনাচার থামানো না গেলে পৃথিবীর দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতে ভবন-মার্কেট সবই থাকবে, কেবল থাকবে না প্রকৃতির অপরূপ শোভা।
গ্রিক পৌরাণিক রাজা মিডাস দেবতাদের কাছে সবকিছু স্পর্শ করে সোনায় পরিণত করার বর চান। বর পেয়ে তিনি যা ছুঁতেন তা-ই সোনা হয়ে যেত। সেই লোভীর ক্ষমতাই তাঁর সর্বনাশ ঘটায়। খাবারে হাত দিলে তা সোনা হয়ে যায়, কন্যাকে আদর করতে গেলে সে হয়ে যায় সোনার মূর্তি। কিন্তু সোনা খাওয়া যায় না, সোনার কন্যাকে বাঁচানো যায় না। আমাদের বন, নদী, পাহাড়ের পর এখন সৈকত দখলের নজির মিডাসের পরিণতির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। লোভের স্পর্শে সবই মুনাফার বলি হচ্ছে। কিন্তু একবার ধ্বংস হলে প্রকৃতি ও নিসর্গের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়েই পূরণ হবে না।
No comments