ভারত-পাকিস্তান সংলাপ-সার্কে এক চিলতে আশা by সিদ্ধার্থ ভারাদারাজন
ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের ইতিহাসে এমন নজির ভূরি ভূরি, যেখানে দুই দেশের নেতারা পৃথিবীর দূরতম প্রান্তে পর্যন্ত গিয়েছেন আলোচনার জন্য। তাসখন্দ থেকে নিউইয়র্ক, শারম আল-শেইখ থেকে হাভানা পর্যন্ত ছুটেছেন, কিন্তু সেসব আলোচনা প্রায় নিষ্ফল হয়েছে।
কিন্তু যখনই তাঁরা উপমহাদেশেই বসেছেন তখনই সামান্য বা বেশি মাত্রায় সম্পর্কের জট খুলেছে। ভাবুন সিমলা বা লাহোরের বৈঠকের কথা, কিংবা ইসলামাবাদ ও দিল্লির সংলাপের কথা। এসব বৈঠকে উভয় পক্ষের ধ্যানধারণা বদলাতে দেখা গিয়েছিল, তৈরি হয়েছিল সামনে এগোনোর সংকল্প, যদিও তা ক্ষণিকের জন্য। পরপরই পুরোনো অভ্যাস, অবিশ্বাস ও জড়তা এসে বরাবরের মতো সেই অগ্রগতিকে থামিয়ে দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার আশাবাদী সম্মেলনগুলোর তালিকায় এখন থিম্পুর নাম যোগ করা যায়। ষোলোতম সার্ক সম্মেলনের এ সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। উভয় দেশের নিন্দুক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের বেশির ভাগের ভবিষ্যদ্বাণীকে খেলো করে দিয়ে উভয় দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ায় খুবই সাধারণ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা। কয়েক মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ যেখানে থমকে গিয়েছিল, সেখানে দুই নেতা সামনের দিকে এগোনোর একটা পথ রচনা করেছেন। একে গণ্য করা যায় উভয় দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদ মীমাংসার সংলাপের সূচনাবিন্দু হিসেবে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার আলোচনাগুলোর একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো, সমঝোতা পদে পদে হোঁচট খেয়ে থেমে যায়। এবার মনমোহন ও গিলানি বিচক্ষণতার সঙ্গে ঠিক করেছেন যে তাঁরা তাঁদের মধ্যকার পার্থক্যের ঘেরাটোপ ও পরিভাষা অতিক্রম করে যাবেন। তাঁরা যে প্রক্রিয়া চালু করেছেন, ঘটনার ধারাবাহিকতায় তা আবারও ‘জটিল’ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু সাফল্যের সম্ভাবনাও রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করছে দুটি উপাদানের ওপর: উভয় পক্ষের আচরণের পর্যালোচনার ফল এবং পরস্পরের মধ্যকার অবিশ্বাসের মাত্রা কমিয়ে আনার সামর্থ্য।
ভারতের দিক থেকে আস্থা নির্ভর করছে প্রধানত ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টিকে পাকিস্তানের দিক থেকে সম্মান করার ওপর। ভারত চায়, পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি পাকিস্তান পালন করুক। থিম্পুতে গিলানি সেই প্রতিশ্রুতি আবারও উচ্চারণ করলেও ভারত চায় তার বাস্তবায়ন। মুম্বাই হামলার দায়ে বিচারাধীন সাত লস্কর-ই-তাইয়েবা সদস্যের বিচারের নিশ্চয়তাও ভারতের দাবি। একই সঙ্গে লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও চেয়ে আসছে ভারত। ভারতের নীতি হলো বিশ্বাস করার পাশাপাশি যাচাই করে নেওয়া।
সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো যদি মতপ্রকাশ ও কার্যক্রমের স্বাধীনতা আগের মতো ভোগ করতে থাকে, কাশ্মীর বা সিয়াচেন নিয়ে বিবাদ বিষয়ে ভারতের দিক থেকে সংলাপের পথ সংকুচিত হয়ে যাবে। সিন্ধু নদের পানি বণ্টন বিষয়ে ইনডাস ওয়াটার ট্রিটিতে ভারতকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, বিশ্বাস ও আস্থার অভাব হলেও সেসব অধিকারও ছাড়তে চাইবে না ভারত। অন্য দিক থেকে সন্ত্রাসীদের দাপট কমিয়ে আনায় পাকিস্তানেরই লাভ।
সীমান্তের বিবাদপূর্ণ স্যার ক্রিক ও সিয়াচেন হিমবাহের বিষয়ে যতটা সম্ভব ততটা কাজ আমলা ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে হয়ে আছে। এখন প্রয়োজন রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় মীমাংসা করে ফেলা। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়েও প্রমাণিত হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের আনুষ্ঠানিক আলোচনার চেয়ে পেছনের সংলাপই অনেক ফলপ্রসূ। কিন্তু কাশ্মীর সমস্যাকে রাজনৈতিক চেহারা দেওয়া ঠিক হবে?
এখানে একটি বাধা হলো কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ২০০৪-২০০৭ সালে যে সমঝোতায় পৌঁছানো হয়েছিল, পাকিস্তান ইতিমধ্যে তাকে আর গ্রাহ্য করছে না। সে সময় ঠিক হয়েছিল, কাশ্মীরের ভারতীয় ও পাকিস্তানি অংশের মধ্যে কার্যত কোনো সীমান্ত থাকবে না, সীমান্ত এলাকাকে বেসামরিকায়ন করা হবে এবং উভয় অংশের মধ্যে চলবে প্রশাসনিক যোগাযোগ। হয়তো এসবও বড় সমস্যা নয়। বড় সমস্যা হলো পাকিস্তানি পক্ষের সংলাপকারী কূটনীতিবিদ রিয়াজ মোহাম্মদ খান আসলে কার কাছে জবাবদিহি করবেন—সরকার না সেনাবাহিনী?
রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে একসময় পারভেজ মোশাররফই পাকিস্তানের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন। এবং ভারতও তাঁকে সেভাবেই গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এখন অনেক কিছুই স্পষ্ট নয়। এর জন্য আগামী দিনগুলোয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আরও পরিষ্কার হতে হবে। পাকিস্তানে দীর্ঘ মেয়াদে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতায় ভারতের স্বার্থ রয়েছে। এর অর্থ হলো, প্রধানমন্ত্রী গিলানি ও তাঁর সরকারের সঙ্গে সংলাপ চলতে থাকা অবস্থায় অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ বজায় রাখা। পাশাপাশি চিন্তা করা হচ্ছে যে উভয় দেশের গোয়েন্দাপ্রধানদের মধ্যে বৈঠকও ফল দিতে পারে।
এই চলমান প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়লে তার প্রতিক্রিয়ায় উভয় দেশের মধ্যে শান্তির জমিনও বেড়ে যাবে। এগুলো ভালোভাবে কাজ করতে হলে উভয় দেশের নেতাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মধ্যকার প্ররোচনা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যখনই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা এগোতে থাকে, তখনই কোনো না কোনো সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় সব মুখ থুবড়ে পড়ে। এবারও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই দুই দেশের নেতাদের প্রয়োজন উসকানি ও সংকটের মুখে শান্ত থাকা। দীর্ঘ মেয়াদে তা ফলদায়ক হবে।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি জাতীয়তাবাদী প্রশ্নের মুখেও সংযত উত্তর দিয়েছেন। আলোচনা ও সমঝোতার এই প্রাথমিক মাসগুলোই সবচেয়ে সংকটজনক। এই সময়টায় উভয় দেশের নেতারা, সরকারি কর্মকর্তাসহ তলার দিকের সবাইকেই ব্যাপক হুঁশিয়ার থাকতে হবে।
ভারতের দি হিন্দু পত্রিকা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত।
সিদ্ধার্থ ভারাদারাজন: ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
দক্ষিণ এশিয়ার আশাবাদী সম্মেলনগুলোর তালিকায় এখন থিম্পুর নাম যোগ করা যায়। ষোলোতম সার্ক সম্মেলনের এ সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। উভয় দেশের নিন্দুক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের বেশির ভাগের ভবিষ্যদ্বাণীকে খেলো করে দিয়ে উভয় দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ায় খুবই সাধারণ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা। কয়েক মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ যেখানে থমকে গিয়েছিল, সেখানে দুই নেতা সামনের দিকে এগোনোর একটা পথ রচনা করেছেন। একে গণ্য করা যায় উভয় দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদ মীমাংসার সংলাপের সূচনাবিন্দু হিসেবে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার আলোচনাগুলোর একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো, সমঝোতা পদে পদে হোঁচট খেয়ে থেমে যায়। এবার মনমোহন ও গিলানি বিচক্ষণতার সঙ্গে ঠিক করেছেন যে তাঁরা তাঁদের মধ্যকার পার্থক্যের ঘেরাটোপ ও পরিভাষা অতিক্রম করে যাবেন। তাঁরা যে প্রক্রিয়া চালু করেছেন, ঘটনার ধারাবাহিকতায় তা আবারও ‘জটিল’ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু সাফল্যের সম্ভাবনাও রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করছে দুটি উপাদানের ওপর: উভয় পক্ষের আচরণের পর্যালোচনার ফল এবং পরস্পরের মধ্যকার অবিশ্বাসের মাত্রা কমিয়ে আনার সামর্থ্য।
ভারতের দিক থেকে আস্থা নির্ভর করছে প্রধানত ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টিকে পাকিস্তানের দিক থেকে সম্মান করার ওপর। ভারত চায়, পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি পাকিস্তান পালন করুক। থিম্পুতে গিলানি সেই প্রতিশ্রুতি আবারও উচ্চারণ করলেও ভারত চায় তার বাস্তবায়ন। মুম্বাই হামলার দায়ে বিচারাধীন সাত লস্কর-ই-তাইয়েবা সদস্যের বিচারের নিশ্চয়তাও ভারতের দাবি। একই সঙ্গে লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও চেয়ে আসছে ভারত। ভারতের নীতি হলো বিশ্বাস করার পাশাপাশি যাচাই করে নেওয়া।
সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো যদি মতপ্রকাশ ও কার্যক্রমের স্বাধীনতা আগের মতো ভোগ করতে থাকে, কাশ্মীর বা সিয়াচেন নিয়ে বিবাদ বিষয়ে ভারতের দিক থেকে সংলাপের পথ সংকুচিত হয়ে যাবে। সিন্ধু নদের পানি বণ্টন বিষয়ে ইনডাস ওয়াটার ট্রিটিতে ভারতকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, বিশ্বাস ও আস্থার অভাব হলেও সেসব অধিকারও ছাড়তে চাইবে না ভারত। অন্য দিক থেকে সন্ত্রাসীদের দাপট কমিয়ে আনায় পাকিস্তানেরই লাভ।
সীমান্তের বিবাদপূর্ণ স্যার ক্রিক ও সিয়াচেন হিমবাহের বিষয়ে যতটা সম্ভব ততটা কাজ আমলা ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে হয়ে আছে। এখন প্রয়োজন রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় মীমাংসা করে ফেলা। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়েও প্রমাণিত হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের আনুষ্ঠানিক আলোচনার চেয়ে পেছনের সংলাপই অনেক ফলপ্রসূ। কিন্তু কাশ্মীর সমস্যাকে রাজনৈতিক চেহারা দেওয়া ঠিক হবে?
এখানে একটি বাধা হলো কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ২০০৪-২০০৭ সালে যে সমঝোতায় পৌঁছানো হয়েছিল, পাকিস্তান ইতিমধ্যে তাকে আর গ্রাহ্য করছে না। সে সময় ঠিক হয়েছিল, কাশ্মীরের ভারতীয় ও পাকিস্তানি অংশের মধ্যে কার্যত কোনো সীমান্ত থাকবে না, সীমান্ত এলাকাকে বেসামরিকায়ন করা হবে এবং উভয় অংশের মধ্যে চলবে প্রশাসনিক যোগাযোগ। হয়তো এসবও বড় সমস্যা নয়। বড় সমস্যা হলো পাকিস্তানি পক্ষের সংলাপকারী কূটনীতিবিদ রিয়াজ মোহাম্মদ খান আসলে কার কাছে জবাবদিহি করবেন—সরকার না সেনাবাহিনী?
রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে একসময় পারভেজ মোশাররফই পাকিস্তানের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন। এবং ভারতও তাঁকে সেভাবেই গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এখন অনেক কিছুই স্পষ্ট নয়। এর জন্য আগামী দিনগুলোয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আরও পরিষ্কার হতে হবে। পাকিস্তানে দীর্ঘ মেয়াদে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতায় ভারতের স্বার্থ রয়েছে। এর অর্থ হলো, প্রধানমন্ত্রী গিলানি ও তাঁর সরকারের সঙ্গে সংলাপ চলতে থাকা অবস্থায় অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ বজায় রাখা। পাশাপাশি চিন্তা করা হচ্ছে যে উভয় দেশের গোয়েন্দাপ্রধানদের মধ্যে বৈঠকও ফল দিতে পারে।
এই চলমান প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়লে তার প্রতিক্রিয়ায় উভয় দেশের মধ্যে শান্তির জমিনও বেড়ে যাবে। এগুলো ভালোভাবে কাজ করতে হলে উভয় দেশের নেতাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মধ্যকার প্ররোচনা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যখনই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা এগোতে থাকে, তখনই কোনো না কোনো সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় সব মুখ থুবড়ে পড়ে। এবারও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই দুই দেশের নেতাদের প্রয়োজন উসকানি ও সংকটের মুখে শান্ত থাকা। দীর্ঘ মেয়াদে তা ফলদায়ক হবে।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি জাতীয়তাবাদী প্রশ্নের মুখেও সংযত উত্তর দিয়েছেন। আলোচনা ও সমঝোতার এই প্রাথমিক মাসগুলোই সবচেয়ে সংকটজনক। এই সময়টায় উভয় দেশের নেতারা, সরকারি কর্মকর্তাসহ তলার দিকের সবাইকেই ব্যাপক হুঁশিয়ার থাকতে হবে।
ভারতের দি হিন্দু পত্রিকা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত।
সিদ্ধার্থ ভারাদারাজন: ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
No comments