মুসলিমবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে মিছিল
ড্রেসডেনের মিছিলে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়ে অংশ নেয় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। এএফপি |
জার্মানিতে উগ্রপন্থীদের চলমান মুসলিমবিরোধী সমাবেশের বিরুদ্ধে গত শনিবার প্রায় ৩৫ হাজার লোক মিছিল করেছেন। গত সোমবার মুসলিমবিরোধী যে জমায়েত হয়েছিল, ড্রেসডেন শহরে শনিবারের এই মিছিলে তার প্রায় দ্বিগুণ লোক যোগ দেন। খবর বিবিসির। জার্মানির পূর্বাঞ্চলের শহর ড্রেসডেনে গত বছরের অক্টোবর থেকেই প্রতি সোমবার সন্ধ্যায় ‘পাশ্চাত্যের ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমী ইউরোপীয়রা’ (সংক্ষেপে ‘পেগিডা’) আন্দোলনের সমর্থকেরা সমাবেশ করছেন। ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিদের তৎপরতার প্রতিক্রিয়ায় তাঁদের তৎপরতা চাঙা হয়েছে। ড্রেসডেন শহরে শনিবারের বিক্ষোভ মিছিলের একপর্যায়ে ফ্রান্সের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্যাক্সোনি রাজ্য সরকার এবং ড্রেসডেন নগর সরকার যৌথভাবে এর আয়োজন করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্টানেচলাফ টিলিচ এতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখানে সমবেত ৩৫ হাজার লোক এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে তাঁরা এই নগরকে ভালোবাসেন।
এই সহিষ্ণু নগরের মানুষ হিসেবে তাঁরা গর্বিত। এটি একটি বিশ্বজনীন নগর।’ ড্রেসডেনের মেয়র হেলমা ওরোজ পেগিডা আন্দোলনের সমর্থকদের তাঁদের মত পরিবর্তন করে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সমবেত হতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সমাজ যে এক জায়গায় দাঁড়িয়েছে, আজকের সমাবেশ তারই প্রমাণ। সোমবার পেগিডায় যাঁরা যাবেন, আমরা তাঁদের কথাও ভুলে যাইনি। আমরা তাঁদের পরিত্যাগও করছি না। আমাদের সমাবেশে আসার জন্য তাঁদের আহ্বান জানাই।’ এদিকে আজ সোমবার আবার পেগিডার সমাবেশ হবে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, ফ্রান্সের ঘটনার পর এবারের সমাবেশে আগের চেয়ে বেশি লোকের সমাগম হবে। গত সোমবার তাঁদের জমায়েতে ১৮ হাজার মানুষ যোগ দেন। পাশাপাশি আজ সন্ধ্যায় জার্মানির অনেক শহরে পেগিডা আন্দোলনের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নতুন বছরের শুরুতে দেওয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানিতে ইসলামবিরোধী আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জনগণকে এই আন্দোলন থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। আইএস ‘সমর্থক’ গ্রেপ্তার: এদিকে জার্মানির পুলিশ নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য থেকে আইএসের এক সন্দেহভাজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবক সম্প্রতি সিরিয়া গিয়েছিলেন। তবে নিলস ডি. নামে সংক্ষিপ্ত পরিচয় প্রকাশ করা ওই যুবকের কোনো হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল, এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
No comments